কলকাতা, 19 ডিসেম্বর: বিশ্বভারতীতে (Visva Bharati University) উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর (Vice Chancellor Bidyut Chakrabarty) নিরাপত্তার দাবিতে দায়ের করা হয় মামলা ৷ সেই মামলায় রাজ্যকে কলকাতা হাইকোর্টের আগের নির্দেশ কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে । এই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত ।
বিচারপতি রাজশেখর মান্থা গত বছর 3 সেপ্টেম্বর নির্দেশ দিয়েছিলেন, উপাচার্যের বাড়ির 50 মিটারের মধ্যে কোনও মঞ্চ বাঁধা যাবে না । তাঁর নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা যাবে না । আন্দোলনের জেরে কোনওভাবে বিশ্ব বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন বিঘ্নিত যেন না হয় ৷ এমন কিছু হলে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হবে । সেই নির্দেশ কার্যকর করার নির্দেশ দিল এদিন কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) ।
যদিও বিদ্যুৎ চক্রবর্তী মামলা করেছেন ব্যক্তিগতভাবে ৷ আর হাইকোর্টে সেই মামলায় সই করেছেন বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রার । এটা কী করে হয়, সেই প্রশ্নও তুলে মামলা খারিজের আবেদন ওঠে এদিন । আদালতে পুলিশের দাবি, তাদের 13 জন কর্মীকে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয়েছে । তবে আদালত পুলিশের এই দাবি মানতে নারাজ ।
আদালতের বক্তব্য, কত জন পুলিশ দেওয়া হয়েছে সেটা বড় কথা নয়, তারা কতটা সৎভাবে আদালতের নির্দেশ কার্যকর করতে প্রস্তুত সেটাই বড় কথা । সেটা রাজ্যের মাথায় রাখতে হবে । তিন সপ্তাহ পরে ফের শুনানি । তার আগে রাজ্য ও মামলার অন্যান্যদের কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছে ।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের ক্যামেরা-মোবাইল কেড়ে নিন, পুলিশকে নির্দেশ বিশ্বভারতীর উপাচার্যের
উপাচার্যের আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদুৎ চক্রবর্তী নিজে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা করেন ৷ সেখানে তিনি জানান, গত 23 নভেম্বর থেকে তাঁকে ঘেরাও করা হয় ৷ তাঁর অফিস ভাঙচুর করা হয় ৷ 6 ডিসেম্বর থেকে তাঁকে একেবারে ঘেরাও করে দেওয়া হয় ৷ উপাচার্যকে অফিসের বাইরে যেতে দেওয়া হয় না ৷ তাঁকে কার্যত অবরুদ্ধ করে রাখেন বিক্ষোভকারীরা ৷"
তিনি আরও বলেন, "বিদুৎ চক্রবর্তী অভিযোগে জানান, আন্দোলনকারীদের মধ্যে সবাই ছাত্র নন ৷ ছাত্রদের বাইরেও কেউ কেউ এই ঘেরাওয়ে ছিলেন ৷ পুলিশ নিরাপত্তায় ছিল তাঁর ৷ তা থাকা সত্বেও বারবার জানিয়েও তিনি পুলিশের নিরাপত্তা পাননি ৷ তাঁকে ইট মারা হয়েছে ৷ উপাচার্যের বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে ৷ অফিসে যেতে দেওয়া হচ্ছে না ৷"