রামপুরহাট, 9 এপ্রিল: কীর্ণাহারে দলীয় সভা থেকে শনিবার বিস্ফোরক মন্তব্য শোনা গিয়েছিল নানুরের তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরার মুখে । সভা থেকে দলের এক নেতার পা-ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেন তিনি । তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে কড়া বার্তা দেওয়া হল বীরভূম জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির পক্ষ থেকে ৷ রবিবার জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন,"দল এই কথা সমর্থন করে না । আমরা তাঁকে ডাকব ৷ এই ধরনের কথা দল বরদাস্ত করবে না । দলের শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে । মিটিং মিছিলে এই ধরনের, কার পা ভাঙব-কার হাত ভাঙব, এসব বড় বড় কথা বলা চলবে না ।"
শনিবার কীর্ণাহারে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এক দলীয় নেতাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে পা ভেঙে দেওয়ায় কথা বলেছিলেন গদাধর হাজরা ৷ বলেছিলেন,"2011 সালে পা ভেঙে অনেক কষ্ট করে আমরা ক্ষমতায় এসেছি ৷ এক নেতার পা বড় হয়ে গিয়েছে ৷ ঠিকমতো না চললে তার পা ভেঙে দেব কিছুদিন পরে ৷" নাম না-করে দলের কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখের সঙ্গে সংঘাতেরও ইঙ্গিত দেন এই তৃণমূল নেতা ৷ যা নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক ৷ ফের সামনে আসে এই জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ৷
রামপুরহাটে তৃণমূল পার্টি অফিসে এদিন অনুষ্ঠিত হয় তৃণমূলের বীরভূম জেলা কোর কমিটির বৈঠক । এই বৈঠকে কমিটির 9 সদস্য উপস্থিত ছিলেন ৷ পাশাপাশি পর্যবেক্ষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন চট্টোপাধ্যায় । বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দলের মুখপাত্র বিকাশ রায়চৌধুরী জানান, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো প্রতি সপ্তাহে কোর কমিটির বৈঠক হচ্ছে । আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বীরভূমের 167টি পঞ্চায়েত যাতে তৃণমূলের দখলে থাকে সেই বিষয়ে পর্যালোচনা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: '2011 সালে পা ভেঙে দিয়ে ক্ষমতায় এসেছি', বিস্ফোরক নানুরের তৃণমূল নেতা
উল্লেখ্য, গরুপাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে দিল্লির তিহাড়ে জেলে রয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় কেষ্ট জেলে যাওয়ার পরেও এখনও একই পদে বহাল রয়েছেন ৷ কিন্তু তাঁর অনুপস্থিতিতে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই জেলায় দলের সংগঠনে যাতে আঁচ না পরে তার জন্য নিজেই এখানকার সংগঠন দেখবেন বলে জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তৈরি করে দিয়েছিলেন জেলায় তৃণমূলের কোর কমিটিও ৷ এই কমিটিকে নিয়মিত বৈঠকে বসার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা ৷