তারাপীঠ, 25 আগস্ট: বীরভূেমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের কথায় না কি বাঘে-হরিণে একঘাটে জল খেত! সেই দাপুটে নেতা এখন গরুপাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত । সিবিআই হেফাজতের পর এখন তাঁর ঠিকানা জেল । আপাতত 14 দিনের জেলেই থাকতে হবে তাঁকে । তারপর আবার শুনানি । কিন্তু এরইমধ্যে তারাপীঠের কৌশিকী অমাবশ্যার স্বাগত ব্যানারে দেখা গেল না কেষ্টর ছবি (Anubrata Mondal Picture Disappear from Kaushiki Amavasya Poster)। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি জ্বলজ্বল করছে।
2015 সালের 10 ফেব্রুয়ারি রামপুরহাটে তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করেন মুখ্যমন্ত্রী । এরপরেই জোর কদমে শুরু হয় তারাপীঠের উন্নয়ন। রামপুরহাট থেকে তারাপীঠে আসার রাস্তা কোথাও দুই কোথাও আবার চার লেনের হয়েছে । এই সমস্ত বিষয় সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে কৌশিকী অমাবস্যার আগে রামপুরহাট-তারাপীঠ রাস্তার দু’ধারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এবং দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ফ্লেক্সে ছেয়ে যেত প্রতি বছর। 2019 সালেও তার কোনও ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডল এখন জেলে । আর তারপরই ব্যানার থেকে উধাও হয়ে গেলেন তিনি। শুক্রবার কৌশিকী অমাবস্যা। তার আগে রাস্তার দু’ধারে ব্যানার লাগানো হয়েছে উন্নয়ন পর্ষদের পক্ষ থেকে । অথচ কোথাও অনুব্রত মণ্ডলের ছবি তো দুরের কথা তাঁর নামটুকুও দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: 2 বছর পর কৌশিকী অমাবস্যায় খুলছে তারাপীঠের দরজা, 5 লক্ষ ভক্ত সমাগমের সম্ভাবনা
যদিও এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি রাজ্যের ডেপুটি স্পিকার তথা রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা অবশ্য কড়া আক্রমণ করেছেন শাসকদলকে । তিনি বলেন,"চোরদের ছবি পোস্টারে থাকলে সাধারণ মানুষ থুতু দেবে। তাই অনুব্রত মণ্ডলের ছবি এইবছর স্বাগত ব্যানারে নেই। তৃণমূলের লোকেরা বিষয়টি বুঝেছে বলে ওদের ধন্যবাদ দিতে চাই।"