শান্তিনিকেতন, 9 মার্চ : এবার পেনশনভোগীদের স্বাস্থ্য পরিষেবা বন্ধ করল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ । এই মর্মে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এবার অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী মনোনীত কর্মসমিতির সদস্য । এমনকি, অবস্থান বিক্ষোভে অংশ নেন শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সদস্যও । পেনশনভোগীদের স্বাস্থ্য পরিষেবা বন্ধ করার জন্য ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী মনোনীত সদস্য দুলাল চন্দ্র ঘোষ ।
বিশ্বভারতীতে দু'টি হাসপাতাল রয়েছে । বরাবরই বিশ্বভারতীর অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, কর্মী, আধিকারিক, পড়ুয়া, পেনশনভোগীরা এই হাসপাতাল থেকে পরিষেবা পেয়ে এসেছেন । হঠাৎ করেই পেনশনভোগীদের স্বাস্থ্য পরিষেবা বন্ধ করে দিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ । তারপরেই বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন কয়েক'শো পেনশনভোগী । প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীতে প্রায় 1900 পেনশনভোগী রয়েছেন ।
পেনশনভোগীদের এই অবস্থান বিক্ষোভে বিশ্বভারতীর আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মনোনীত বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক কর্মসমিতির সদস্য দুলাল চন্দ্র ঘোষ রয়েছেন । এছাড়াও, রয়েছেন শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সদস্য অনিল কোনার । উল্লেখ্য, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট । এই ট্রাস্টের সদস্যরা বিশ্বভারতীর হাসপাতাল ব্যবহার করার অধিকারী । অভিযোগ, তাঁকেও স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে । যা নিয়ে ইতিমধ্যেই নিন্দার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে ।
আরও পড়ুন : বিশ্বভারতীর সংগীত ভবন থেকে প্রশ্নপত্র লোপাট, বাতিল পরীক্ষা
প্রধানমন্ত্রী মনোনীত কর্মসমিতির সদস্য দুলাল চন্দ্র ঘোষ বলেন, "হঠাৎ করেই স্বাস্থ্য পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আমাদের । আমি প্রধানমন্ত্রীকে লিখিতভাবে সবটাই জানিয়েছি ।"
শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সদস্য অনিল কোনার বলেন, "একজন ট্রাস্টি হিসেবে আমি স্বাস্থ্যপরিসেবা পাওয়ার অধিকারী । কিন্তু, স্বাস্থ্য পরিষেবা তো দূর, চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে দেওয়া হচ্ছে না ।"
যদিও, এই প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কেউই ।