বীরভূম, 28 নভেম্বর: এ বার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) আতসকাঁচে অনুব্রত মণ্ডল ৷ বীরভুম থেকে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক মামলায় তাঁর ও তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের নাম জড়িয়েছে ৷ সায়গলকে তিহাড়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দিল্লি যাচ্ছেন এনআইএ আধিকারিকরা ৷ জেরা করা হতে পারে অনুব্রতকেও ৷
প্রসঙ্গত, বীরভূম থেকে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক (জিলেটিন স্টিক, ডিটোনেটর) উদ্ধার হয়েছিল । এই ঘটনায় চার অগস্ট তৃণমূল নেতা ইসলাম চৌধুরী-সহ আট জনকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ ৷ ধৃতদের জেরা করে অনুব্রত মণ্ডল-সহ তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের নাম পেয়েছেন গোয়েন্দারা । ইতিমধ্যেই সায়গলকে জেরা করতে তিহাড় যাচ্ছেন এনআইএ -র আধিকারিকরা ।
বীরভূমের মহম্মদবাজার থেকে 81 হাজার ডিটোনেটর-সহ 27 হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও জিলেটিন স্টিকের মতো বিস্ফোরক উদ্ধার করেছিল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাক্স ফোর্স ৷ বিস্ফোরকের বড়সড় কারবারের হদিশ পেয়ে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) মামলার তদন্ত শুরু করে । তদন্তে নেমেই চার অগস্ট পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় তৃণমূল কংগ্রেসের পাইকরের কুশমোড় 2 নম্বর অঞ্চল সভাপতি ইসলাম চৌধুরী ও পঞ্চায়েত সদস্য মনোজ ঘোষ-সহ আটজনকে গ্রেফতার করেছিলেন গোয়েন্দারা ৷ ধৃতদের বাড়ি থেকে ল্যাপটপ-সহ একাধিক নথি, ডায়েরি উদ্ধার করা হয়েছিল ৷
ধৃতদের জেরা করে তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পারেন যে, বড় অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সেফ প্যাসেজ তৈরি করে দিতেন এই তৃণমূল নেতারা । আরও জানা গিয়েছে, ধৃতদের জেরায় নাম উঠে এসেছে অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের । এই মুহূর্তে দুজনেই গরুপাচার ও মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় তিহাড় সংশোধনাগারে বন্দি । তাই সংশোধনাগারে গিয়ে সায়গলকে জেরা করার জন্য আগেই আদালতে আবেদন করেছিল এনআইএ । অনুমতি মেলায় বিস্ফোরক মামলায় তাঁকে সংশোধনাগারেই জেরা করতে দিল্লি যাচ্ছেন এনআইএ আধিকারিকরা । অনুব্রত মণ্ডলকেও জেরা করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে ৷ অর্থাৎ, সিবিআই, ইডির পর এ বার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে বীরভূমের 'কেষ্ট' ।
আরও পড়ুন: