মহম্মদবাজার , 17 জুন : সাতদিন আগেই বোনের সঙ্গে কথা হয়েছিল । বলেছিলেন, "পাহাড়ে উঠতে হচ্ছে , আমাকে আর পাবি না " । তবে কয়েকদিনের জন্য নয় । চিরদিনের জন্য দাদার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গেল বোনের । সোমবার রাতে লাদাখের গালওয়ান ভ্যালিতে ভারত-চিন সীমান্তে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শহিদ হয়েছেন 25 বছরের রাজেশ ওরাং ।
সোমবার রাতে লাদাখের ভারত-চিন নিয়ন্ত্রণরেখায় নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয় ৷ যার জেরে শহিদ হন ভারতীয় সেনার তিন জন । গুরুতর জখম হয়েছিলেন 17 জন ৷ ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে ওই জখম 17 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ মোট 20 জওয়ান শহিদ হয়েছেন । তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বীরভূমের রাজেশ ওরাং । বাড়ি বীরভূমের মহম্মদবাজার থানা বেলঘড়িয়া গ্রামে । গতকাল বিকেলে তাঁর মৃত্যুর খবর এসে পৌঁছাতেই ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা ।
জানা গেছে , 2015 সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি । সরস্বতী পুজোয় শেষ বাড়িতে এসেছিলেন । এরপর বাড়িতে আসার কথা থাকলেও লকডাউনের জেরে পারেননি । বিয়ের জন্য দেখাশোনাও চলছিল । কিন্তু সোমবারের ঘটনায় সব শেষ হয়ে গেল । বাড়ি আসা আর হল না রাজেশের ।
রাজেশের ভাই অভিজিৎ ওরাং বলেন , "মৃত্যুর খবর আসতেই প্রশাসনের তরফে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় ।" প্রথমে গতকাল রাতে তাঁর বোনের কাছে ফোন আসে । রাজেশের মৃত্যুর খবর দেওয়া হয় । দাদার মৃত্যুর খবর শুনে ভেঙে পড়ে বোন । তিনি এর বদলা চান । বলেন , "বদলা চাই , প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানাব ।"