কাঁকরতলা (বীরভূম), 22 জুলাই: সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে গিয়ে মৃত্যু হল 3 জনের। ঘটনাটি কাঁকরতলা থানার হজরতপুরের হুটু পাড়ার। তিনজনের মৃত্যুতে এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে ৷ পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে ৷ মৃত তিন জনের নাম বীরবল বাদ্যকর (45) ,সনাতন ধীবর (48) ও অমৃত বাগদি (32) ৷ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ স্থানীয়দের ৷
বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, "সেপটিক ট্যাঙ্কে পড়ে 3 জনের মৃত্যু হয়েছে। দেহ ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে ৷ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।" মৃত সনাতন ধীবরের মেয়ে নমিতা ধীবর বলেন, "5 ঘন্টা ধরে সেপটিক ট্যাঙ্কে পড়েছিল তাঁরা ৷ 3 জনই শেষ হয়ে গেল ৷ বাঁচানো গেল না। ট্যাঙ্কের বিষাক্ত গ্যাস থেকেই এই কাণ্ড হয়েছে। আমাদের পরিবারটা ভেসে গেল।"
জানা গিয়েছে, এদিন বাড়ির মালিক সনাতন ধীবর সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করাতে এক মিস্ত্রিকে ডেকে পাঠান ৷ কথামতো সেটি পরিষ্কার ও সংস্কার করতে আসেন বছর পঁয়তাল্লিশের এক মিস্ত্রি বীরবল বাদ্যকর ৷ অভিযোগ, মিস্ত্রি ট্যাঙ্কে নামতেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। সেটা দেখামাত্রই তড়িঘড়ি বীরবলকে উদ্ধার করতে সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে পড়েন বাড়ির মালিক সনাতন।
দুর্ভাগ্যের বিষয়, একই ভাবে তিনিও জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন ট্যাঙ্কের ভিতরে ৷ দীর্ঘক্ষণ ট্যাঙ্ক থেকে না-ওঠায় অমৃত বাগদি নামে স্থানীয় এক যুবক সেপটিক ট্যাঙ্কে নামেন তাঁদের উদ্ধার করার জন্য। কিন্তু ট্যাঙ্কে নামার পরেই তিনিও তৎক্ষনাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন ৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশে খবর দিলেও পুলিশ দেরিতে পৌঁছয় ঘটনাস্থলে ৷ সেপটিক ট্যাঙ্কের বিষাক্ত গ্যাসের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ থাকার কারণেই মৃত্যু হয় তিনজনেরই ৷
আরও পড়ুন: দুর্গাপুরে বেসরকারি হোমে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে আটক এক
বিকেলে ঘটনাটি ঘটলেও অনেক রাতে পুলিশ স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় যৌথভাবে তিনটি দেহ উদ্ধার করে। এলাকায় এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। আশেপাশের গ্রাম থেকেও প্রচুর মানুষ ভিড় জমান এলাকায়। রাতেই দেহ তিনটি পরিষ্কার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিউড়ি জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া ৷