বাঁকুড়া, 7 অগস্ট : কোভিড আবহে ভিড় কমেছে বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়ে ৷ করোনাকালের আগে সারাবছরই পর্যটকদের আনাগোনা দেখা যেত এই অঞ্চলে ৷ শ্রাবণ মাসে ভিড় করতেন পুণ্যার্থীরাও ৷ শুশুনিয়া পাহাড়ের জলধারা থেকে কলসীতে জল ভরে তাঁরা যেতেন এক্তেশ্বর শিবের থানে ৷ ব্যস্ততা বাড়ত স্থানীয় ব্যবসায়ী ও দোকানদারদের ৷ গোটা দিন ধরে চলত বিকিকিনি ৷ আমদানি হত ভালই ৷ এক করোনা বদলে দিয়েছে সবকিছু ৷ মূলত, পর্যটক ও পুণ্যার্থীদের কথা ভেবেই বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করেছে প্রশাসন ৷ তারপরও দেখা নেই ভ্রমণ পিপাসুদের ৷ শিবের মাথায় জল ঢালার লোকও কমেছে অনেক ৷
আরও পড়ুন : North Bengal Tourism : ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের থাবা, উদ্বেগের মাঝেই পুজোর মরসুমের প্রস্তুতি পর্যটন ব্যবসায়ীদের
শুশুনিয়া পাহাড় বিখ্যাত তার অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য ৷ বাঙালির খুদে টুর-তালিকার অন্যতম গন্তব্য বাঁকুড়ার এই পাহাড় ৷ তার উপর রয়েছে স্থান মাহাত্ম্য ৷ শুশুনিয়া পাহাড়ে একটি প্রাকৃতিক জলধারা রয়েছে ৷ ভক্তরা একে পবিত্র মনে করেন ৷ তাই শ্রাবণ মাস পড়লেই কাঁধে বাঁক নিয়ে হাজির হয়ে যান তাঁরা ৷ চলে জল ভরা আর ঢালার পালা ৷ একইসঙ্গে পাহাড়ের কোলে মাসভর বসে শ্রাবণী মেলা ৷ তাতে পসার নিয়ে আসেন কাছে-দূরের অসংখ্য ছোট, বড় দোকানি ৷ কিন্তু এবছর মেলার বহর অনেকটাই কমেছে ৷ দোকানিরা বেশিরভাগই আসেননি ৷ যাঁরা এসেছেন, খদ্দের না মেলায় তাঁদেরও বাজার মন্দা ৷
আরও পড়ুন : Digha tourism : দিঘায় যাবেন ? থাকতে হবে টিকাকরণের শংসাপত্র কিংবা করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট
পর্যটক ও পুণ্যার্থীরা এই পরিস্থিতির জন্য কোভিডকেই দায়ী করেছেন ৷ আসলে অধিকাংশ মানুষেরই এখনও টিকার দু’টি ডোজ নেওয়া হয়নি ৷ তাছাড়া, টিকা নিলেই যে কোভিডের হাত থেকে মুক্তি মিলবে, তাও নয় ৷ তাই কিছুটা ভয়ে আর কিছুটা সতর্কতার কারণেই এই ধরনের দ্রষ্টব্য স্থান এড়াচ্ছেন পর্যটক ও পুণ্যার্থীরা ৷ আর যাঁরা সাহস করে আসছেন, তাঁদের একাংশ কোভিডবিধি মানলেও বাকিরা কিন্তু সেসবের ধার ধারছেন না ৷ ফলে সংক্রমণে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে ৷