ETV Bharat / state

Bankura Poor School Condition: স্কুলে মাত্র একজন শিক্ষক, নেই পাঁচিল; দুর্দশার ছবি বাঁকুড়ার ইন্দাসে - ছাত্রীদের নিরাপত্তা

স্কুল আছে, ছাত্রীও আছে ৷ তবে তাদের পড়ানোর শিক্ষক নেই ৷ ফাঁকা ক্লাসে এমনিই সময় কেটে যায় ৷ সিলেবাস শেষ হয় না ৷ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে বিষয়টি জানালেও সমাধান মেলেনি ৷ এর সঙ্গে ছাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টিও সুনিশ্চিত নয় স্কুলে ৷

Bankura Poor School Condition
বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকে শান্তাশ্রম জুনিয়র গার্লস হাইস্কুল
author img

By

Published : Aug 18, 2023, 3:29 PM IST

Updated : Aug 18, 2023, 5:06 PM IST

দুর্দশার ছবি বাঁকুড়ার ইন্দাসে

ইন্দাস, 18 অগস্ট: রাজ্যে শিক্ষা দুর্নীতির জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত ৷ আটকে আছে বহু চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ প্রক্রিয়া ৷ অন্যদিকে শহরে-গ্রামে সরকারি স্কুলগুলিতে নেই যথেষ্ট শিক্ষক ৷ এমন দুর্দশা বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের শান্তাশ্রম জুনিয়র গার্লস হাইস্কুলে ৷

গ্রামাঞ্চলে সরকারি স্কুলগুলিতে সাধারণত সেখানকার শিক্ষকরাই পড়ুয়াদের ভরসা ৷ শান্তাশ্রম জুনিয়র গার্লস হাইস্কুলেও তাই ৷ এই স্কুলটি ছাত্রীর সংখ্যা 320 জন ৷ এদিকে স্কুলে একজন মাত্র স্থায়ী শিক্ষক ৷ তিনি পড়ান, তিনিই অন্য কাজকর্মগুলিও করেন ৷ পঞ্চম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রীদের সিলেবাস সময় মতো শেষ হয় না ৷ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ছাত্রীদের, অভিভাবকদেরও ৷

আরও পড়ুন: সিআইডির রিপোর্টে অসন্তুষ্ট বিচারপতি! 'অনিমেষ তিওয়ারিদের' খুঁজতে কমিটি গড়ল আদালত

অভিভাবকরা তাই এলাকার তরুণ-তরুণীদের স্কুলে এসে পড়ানোর অনুরোধ করেছেন ৷ তাই যে সময় ক্লাসে পড়ানোর শিক্ষক থাকেন না, তখন তাঁরা বিনা পারিশ্রমিকে এসে পড়িয়ে যান ৷ তাও সবসময় নয়, মাঝেমধ্যে ৷ এই পরিস্থিতিতে স্কুলেরই গ্রুপ ডি কর্মী এগিয়ে এসেছেন ৷ ইতিহাসে স্নাতক ওই অশিক্ষক কর্মী ফাঁকা ক্লাসে ছাত্রীদের পড়ানোর কাজ করেন ৷

এই সমস্যা সম্পর্কে স্কুলের একমাত্র শিক্ষক শতাব্দী রায় বলেন, "2011 সালে আমি এই স্কুলে যোগ দিয়েছি ৷ তখন তিনজন শিক্ষিক ছিলেন ৷ 2021 সালে দু'জন শিক্ষিকা বদলি নিয়ে শহরে চলে যান ৷" এরপর শতাব্দী রায় অনেক বার ডিআই অফিসে বিষয়টি জানিয়েছেন ৷ অতিথি শিক্ষকের পদও শূন্য রয়েছে ৷ কারণ সেই পদে কোনও অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিকেই নেওয়া হয় ৷ এলাকায় এই যোগ্যতার শিক্ষক পাওয়া যাচ্ছে না ৷ তাই সেক্ষেত্রে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে স্কুলটিকে ৷

শুধু শিক্ষকের অভাবই নয়, সঙ্গে রয়েছে গার্লস স্কুলের নিরাপত্তাহীনতা ৷ স্কুলটির চারদিকে কোনও পাঁচিল দেওয়া নেই ৷ তাই মেয়েদের স্কুলে সুরক্ষার যথেষ্ট অভাব রয়েছে ৷ স্কুল ছুটির পরে স্কুলের ভিতরে, সিঁড়ির নীচে অসামাজিক কাজকর্ম হয় ৷ তার প্রমাণও মেলে সকালবেলা ৷ কিন্তু এইক্ষেত্রেও নিরুপায় একমাত্র শিক্ষক শতাব্দী রায় ৷ তাই সরকারের কাছে তাঁর আবেদন, স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের সঙ্গে মেয়েদের সুরক্ষার বিষয়ে পদক্ষেপ করা হোক ৷

আরও পড়ুন: যাদবপুরের ঘটনায় এখনও অধরা কমপক্ষে 15 জন, দাবি লালবাজারের

একজন স্থায়ী শিক্ষক, অতিথি শিক্ষক মিলিয়ে সব শ্রেণিতে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না ৷ দিনের পর দিন, মাসের পর মাস এই বিষয়টি জেলা শিক্ষা দফতরকে জানিয়েও সমাধান হয়নি বলেই অভিযোগ উঠেছে ৷ পড়ানো ছাড়া স্কুলের অন্য সব কাজ, মিড ডে মিল দেওয়া- এই সবকিছুর জন্য ভরসা একজন শিক্ষক শতাব্দী রায় ৷ অভিভাবক শ্যামদাস মণ্ডল ও প্রদ্যুৎ পাল জানালেন, এই পরিস্থিতিতে বিদ্যালয়ে সিলেবাস শেষ হচ্ছে না ৷ ফলে পরীক্ষার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ৷ স্নেহা পাল নামে এক ছাত্রী জানান, প্রতিদিন একটি থেকে দু'টি ক্লাস হয় ৷ বাকি সময়টা ফাঁকা ক্লাসে বসে সময় কেটে যায় ৷ সিলেবাস শেষ হয় না ৷ ফলে পরীক্ষায় লেখাও কঠিন হয়ে পড়ে ৷

দুর্দশার ছবি বাঁকুড়ার ইন্দাসে

ইন্দাস, 18 অগস্ট: রাজ্যে শিক্ষা দুর্নীতির জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত ৷ আটকে আছে বহু চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ প্রক্রিয়া ৷ অন্যদিকে শহরে-গ্রামে সরকারি স্কুলগুলিতে নেই যথেষ্ট শিক্ষক ৷ এমন দুর্দশা বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের শান্তাশ্রম জুনিয়র গার্লস হাইস্কুলে ৷

গ্রামাঞ্চলে সরকারি স্কুলগুলিতে সাধারণত সেখানকার শিক্ষকরাই পড়ুয়াদের ভরসা ৷ শান্তাশ্রম জুনিয়র গার্লস হাইস্কুলেও তাই ৷ এই স্কুলটি ছাত্রীর সংখ্যা 320 জন ৷ এদিকে স্কুলে একজন মাত্র স্থায়ী শিক্ষক ৷ তিনি পড়ান, তিনিই অন্য কাজকর্মগুলিও করেন ৷ পঞ্চম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রীদের সিলেবাস সময় মতো শেষ হয় না ৷ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ছাত্রীদের, অভিভাবকদেরও ৷

আরও পড়ুন: সিআইডির রিপোর্টে অসন্তুষ্ট বিচারপতি! 'অনিমেষ তিওয়ারিদের' খুঁজতে কমিটি গড়ল আদালত

অভিভাবকরা তাই এলাকার তরুণ-তরুণীদের স্কুলে এসে পড়ানোর অনুরোধ করেছেন ৷ তাই যে সময় ক্লাসে পড়ানোর শিক্ষক থাকেন না, তখন তাঁরা বিনা পারিশ্রমিকে এসে পড়িয়ে যান ৷ তাও সবসময় নয়, মাঝেমধ্যে ৷ এই পরিস্থিতিতে স্কুলেরই গ্রুপ ডি কর্মী এগিয়ে এসেছেন ৷ ইতিহাসে স্নাতক ওই অশিক্ষক কর্মী ফাঁকা ক্লাসে ছাত্রীদের পড়ানোর কাজ করেন ৷

এই সমস্যা সম্পর্কে স্কুলের একমাত্র শিক্ষক শতাব্দী রায় বলেন, "2011 সালে আমি এই স্কুলে যোগ দিয়েছি ৷ তখন তিনজন শিক্ষিক ছিলেন ৷ 2021 সালে দু'জন শিক্ষিকা বদলি নিয়ে শহরে চলে যান ৷" এরপর শতাব্দী রায় অনেক বার ডিআই অফিসে বিষয়টি জানিয়েছেন ৷ অতিথি শিক্ষকের পদও শূন্য রয়েছে ৷ কারণ সেই পদে কোনও অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিকেই নেওয়া হয় ৷ এলাকায় এই যোগ্যতার শিক্ষক পাওয়া যাচ্ছে না ৷ তাই সেক্ষেত্রে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে স্কুলটিকে ৷

শুধু শিক্ষকের অভাবই নয়, সঙ্গে রয়েছে গার্লস স্কুলের নিরাপত্তাহীনতা ৷ স্কুলটির চারদিকে কোনও পাঁচিল দেওয়া নেই ৷ তাই মেয়েদের স্কুলে সুরক্ষার যথেষ্ট অভাব রয়েছে ৷ স্কুল ছুটির পরে স্কুলের ভিতরে, সিঁড়ির নীচে অসামাজিক কাজকর্ম হয় ৷ তার প্রমাণও মেলে সকালবেলা ৷ কিন্তু এইক্ষেত্রেও নিরুপায় একমাত্র শিক্ষক শতাব্দী রায় ৷ তাই সরকারের কাছে তাঁর আবেদন, স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের সঙ্গে মেয়েদের সুরক্ষার বিষয়ে পদক্ষেপ করা হোক ৷

আরও পড়ুন: যাদবপুরের ঘটনায় এখনও অধরা কমপক্ষে 15 জন, দাবি লালবাজারের

একজন স্থায়ী শিক্ষক, অতিথি শিক্ষক মিলিয়ে সব শ্রেণিতে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না ৷ দিনের পর দিন, মাসের পর মাস এই বিষয়টি জেলা শিক্ষা দফতরকে জানিয়েও সমাধান হয়নি বলেই অভিযোগ উঠেছে ৷ পড়ানো ছাড়া স্কুলের অন্য সব কাজ, মিড ডে মিল দেওয়া- এই সবকিছুর জন্য ভরসা একজন শিক্ষক শতাব্দী রায় ৷ অভিভাবক শ্যামদাস মণ্ডল ও প্রদ্যুৎ পাল জানালেন, এই পরিস্থিতিতে বিদ্যালয়ে সিলেবাস শেষ হচ্ছে না ৷ ফলে পরীক্ষার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ৷ স্নেহা পাল নামে এক ছাত্রী জানান, প্রতিদিন একটি থেকে দু'টি ক্লাস হয় ৷ বাকি সময়টা ফাঁকা ক্লাসে বসে সময় কেটে যায় ৷ সিলেবাস শেষ হয় না ৷ ফলে পরীক্ষায় লেখাও কঠিন হয়ে পড়ে ৷

Last Updated : Aug 18, 2023, 5:06 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.