খাতড়া, (বাঁকুড়া) 1 এপ্রিল: জুতোর গোডাউনে বিধ্বংসী আগুন ৷ শুক্রবার রাতে খাতড়ার পাম্প মোড় সংলগ্ন এলাকায় ওই জুতোর গোডাউনে ভয়াবহ আগুন লাগে ৷ স্বভাবতই এতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ৷ খবর পেয়ে প্রথমে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় খাতড়া দমকল বিভাগের একটি ইঞ্জিন ৷ ইঞ্জিনের দীর্ঘক্ষণের চেষ্টাতেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি ৷ খবর দেওয়া হয় তালডাংরা, বাঁকুড়া, মানবাজার ও বিষ্ণুপুরের দমকল বিভাগে ৷ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে ইঞ্জিনের সংখ্যা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় খাতড়ার বিশাল পুলিশ বাহিনী ৷
দাউ দাউ করে পুরো গোডাউন জ্বলতে শুরু করে ৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ, রাতের ঘুম ছুটে গিয়েছে ৷ বাসিন্দারা জানান, এত বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা খাতড়া শহরে আগে কোনও দিন ঘটেনি ৷ প্রায় কয়েক কোটি টাকার সামগ্রী পুড়ে ছারখার হয়ে গিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর ৷ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোট সাতটি দমকলের ইঞ্জিন আগুন আয়ত্তে আনায় চেষ্টা চালায় ৷ শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত দমকলের মোট সাতটি ইঞ্জিনের অক্লান্ত পরিশ্রমে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে ৷ তবে এখনও উদ্ধারকার্য চালিয়ে যাচ্ছেন দমকল কর্মীরা ৷
বাঁকুড়া জেলার ছোট্ট শহর খাতড়াতে এই ধরনের অগ্নিকাণ্ড আগে কখনও ঘটেছে বলে মনে করতে পারছেন না স্থানীয়রা ৷ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকল বিভাগকে রীতিমতো বেগ পেতে হয়েছে ৷ শেষমেশ রাতভর দমকলের সাতটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে ৷ তা সত্ত্বেও আতঙ্কের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে এলাকাজুড়ে ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই জুতোর গোডাউনে প্রায় কোটি কোটি টাকার সামগ্রী রাখা ছিল ৷ সবই পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে ৷ দমকল আধিকারিক অভয় চৌধুরী বলেন, "এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে ৷ গতকাল যা হয়েছিল, একেবারে ভয়াবহ ৷ সাতটি ইঞ্জিন এসেছিল ৷ এরকম ঘনজনবসতিপূর্ণ এলাকায় এই ধরনের একটা গোডাউন রাখা দমকলের নিয়ম বিরোধী, বেআইনি ৷ কোনও মানুষের ক্ষতি হয়নি ৷"
আরও পড়ুন: উচ্ছেদের আশঙ্কায় বাড়িতে আগুন, আত্মহত্যার চেষ্টা মহিলার