ETV Bharat / state

Sarenga Electricity Row: দফতরের ভুলে লক্ষ টাকা বিদ্যুৎ বিল সারেঙ্গাবাসীর, প্রতিবাদে বিক্ষোভ তৃণমূলের

একসময় মাওবাদীদের রাজত্ব ছিল ৷ সেই সময় মিটারের রিডিং নিতে আসতে ভয় পেতেন বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা ৷ তারপর করোনাকালেও একই সমস্যা ছিল ৷ কিন্তু এর মাঝে প্রায় দীর্ঘ এক দশক বিদ্যুৎ দফতরের গাফিলতিতে ঠিকমতো মিটার রিডিং নেওয়া হয়নি ৷ তাই সুদ-আসল মিলিয়ে তা লক্ষের ঘরে পৌঁছেছে ৷ যা শোধ করা প্রায় অসম্ভব সারেঙ্গা ব্লকের বাসিন্দাদের পক্ষে ৷

বিদ্যুৎ বিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ
বিদ্যুৎ বিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ
author img

By

Published : Sep 10, 2021, 11:34 AM IST

Updated : Sep 10, 2021, 1:46 PM IST

বাঁকুড়া, 10 সেপ্টেম্বর : বিদ্যুতের লক্ষ লক্ষ টাকা বিল এসেছে একাধিক গ্রাহকের ৷ তাই চরম বিপাকে সাধারণ মানুষ । ঘটনাটি সারেঙ্গা ব্লকের গড়গড়িয়া এলাকার ৷ অঞ্চলবাসীর পক্ষে এই বিপুল পরিমাণ বিল শোধ করা প্রায় অসম্ভব ৷ সে কথা জানিয়ে গতকাল স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব ডেপুটেশন জমা দিল স্থানীয় বিদ্যুৎ দফতরে (West Bengal State Electricity Distribution Company, WBSEDC) স্টেশন সুপারিনটেনডেন্টের কার্যালয়ে ৷ সেখানে শতাধিক মানুষ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন ৷ দীর্ঘক্ষণ আলোচনার পর স্থানীয় স্টেশন ম্যানেজারের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয় ৷ তবে তাঁদের সমস্যা না মিটলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা অভিজিৎ বিশ্বাস ।

দীর্ঘ সময় মাওবাদীদের দাপটে কোনও বিদ্যুৎ কর্মী সাহস করে মিটার রিডিং নিতে আসতেন না এলাকায় । বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে মিটার রিডিং নেওয়া হয়নি ৷ কিন্তু এর মাঝে প্রায় একদশক সময়েও স্থানীয় বিদ্যুৎ দফতর অনিয়মিত মিটার রিডিং নিয়েছে বলে অভিযোগ ৷ তার ফলে বিদ্যুৎ বিলের আসল পরিমাণের সঙ্গে সুদ যুক্ত হয়ে তা লক্ষ লক্ষ টাকা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৷

মাওবাদী জমানা থেকে এখনও পর্যন্ত ঠিকমতো মিটার রিডিং নেয়নি স্থানীয় বিদ্যুৎ দফতর, ফল লক্ষাধিক টাকার বিদ্যুৎ বিল

আরও পড়ুন : Lighting on Duare Sarkar Camp : বাঁকুড়ায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বজ্রপাত, আহত কমপক্ষে 10

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল ব্লক সহ-সভাপতি অভিজিৎ বিশ্বাস বলেন, "আমাদের এখানে 2008-10 পর্যন্ত মাওবাদী পিরিয়ড ছিল ৷ তারপর 2020-21-এ করোনা আবহের ফলে মানুষের একটা বিশাল পরিমাণ বিল বকেয়া রয়ে গিয়েছে ৷ দেখা যাচ্ছে, বিলের চেয়ে সুদ দ্বিগুণ ৷" তিনি জানান, এনিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ৷ স্টেশন ম্যানেজারের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, তিনি এই বকেয়া বিল নিয়ে মানুষকে হয়রান করছেন, নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দিচ্ছেন না ৷ দিনের পর দিন ধরে চক্রবৃদ্ধি হারে এই বিল বাড়ছে ৷ এর প্রতিবাদে তাঁরা শান্তিপূর্ণ ভাবে দাবিদাওয়ার কথা জানিয়ে ডেপুটেশন জমা দিয়েছেন ৷ তিনি বলেন, "আমাদের দাবি সুদটা বাদ দিয়ে বিলের হিসেব করতে হবে ৷ মানুষ যাতে সেটা দিতে পারেন আমরা সেই ব্যবস্থা করব ৷" স্টেশন ম্যানেজার ডিভিশনাল ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে 16 তারিখ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশ্বস্ত করছেন ৷

নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "বাবার সময় থেকে বিল বেড়ে 2 লক্ষ টাকা হয়েছে ৷ ছেলের পক্ষে সেই বিল শোধ করা সম্ভব নয় ৷ এই অবস্থায় ছেলেকে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে না ৷ আমাদের দাবি, ছেলেকেও নতুন সংযোগ দেওয়া হোক ৷" তাঁর অভিযোগ, কিছু ক্ষেত্রে অযৌক্তিক ভাবে ফাইন করা হচ্ছে ৷ আবার কিছু ক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে মিটমাট করে বিষয়টি সমাধান করে নেওয়া হচ্ছে ৷ আপাতত 16 তারিখ পর্যন্ত কাউকে বিল দিতে হবে না বলে জানিয়েছেন অভিজিৎ বিশ্বাস ৷

তৃণমূল নেতার দাবি

  • 2021-এর চলতি মাস পর্যন্ত যার যত টাকা বিল বাকি আছে, তার সুদ বাদ দিতে হবে ৷ সুদ বাদ দেওয়া টাকা 6 বারে শোধ করা হবে ৷
  • কারেন্ট বিল অর্থাৎ মাসের বিল মাসে জমা নিতে হবে ৷ অর্থাৎ কারওর 50 হাজার টাকা বাকি থাকলেও চলতি মাসে 5 হাজার টাকা বিল হলে, সেই টাকা নিতে হবে ৷
  • কারও জেঠু, দাদা, দাদুর বকেয়া বিল থাকলেও তাঁকে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে ৷
  • কেউ মারা গেলে তাঁর বকেয়া বিল মকুব করে তাঁর সন্তানকে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে হবে ৷

তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, এই দাবিগুলি মেনে নিয়েছেন স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট ৷

বাঁকুড়া, 10 সেপ্টেম্বর : বিদ্যুতের লক্ষ লক্ষ টাকা বিল এসেছে একাধিক গ্রাহকের ৷ তাই চরম বিপাকে সাধারণ মানুষ । ঘটনাটি সারেঙ্গা ব্লকের গড়গড়িয়া এলাকার ৷ অঞ্চলবাসীর পক্ষে এই বিপুল পরিমাণ বিল শোধ করা প্রায় অসম্ভব ৷ সে কথা জানিয়ে গতকাল স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব ডেপুটেশন জমা দিল স্থানীয় বিদ্যুৎ দফতরে (West Bengal State Electricity Distribution Company, WBSEDC) স্টেশন সুপারিনটেনডেন্টের কার্যালয়ে ৷ সেখানে শতাধিক মানুষ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন ৷ দীর্ঘক্ষণ আলোচনার পর স্থানীয় স্টেশন ম্যানেজারের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয় ৷ তবে তাঁদের সমস্যা না মিটলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা অভিজিৎ বিশ্বাস ।

দীর্ঘ সময় মাওবাদীদের দাপটে কোনও বিদ্যুৎ কর্মী সাহস করে মিটার রিডিং নিতে আসতেন না এলাকায় । বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে মিটার রিডিং নেওয়া হয়নি ৷ কিন্তু এর মাঝে প্রায় একদশক সময়েও স্থানীয় বিদ্যুৎ দফতর অনিয়মিত মিটার রিডিং নিয়েছে বলে অভিযোগ ৷ তার ফলে বিদ্যুৎ বিলের আসল পরিমাণের সঙ্গে সুদ যুক্ত হয়ে তা লক্ষ লক্ষ টাকা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৷

মাওবাদী জমানা থেকে এখনও পর্যন্ত ঠিকমতো মিটার রিডিং নেয়নি স্থানীয় বিদ্যুৎ দফতর, ফল লক্ষাধিক টাকার বিদ্যুৎ বিল

আরও পড়ুন : Lighting on Duare Sarkar Camp : বাঁকুড়ায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বজ্রপাত, আহত কমপক্ষে 10

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল ব্লক সহ-সভাপতি অভিজিৎ বিশ্বাস বলেন, "আমাদের এখানে 2008-10 পর্যন্ত মাওবাদী পিরিয়ড ছিল ৷ তারপর 2020-21-এ করোনা আবহের ফলে মানুষের একটা বিশাল পরিমাণ বিল বকেয়া রয়ে গিয়েছে ৷ দেখা যাচ্ছে, বিলের চেয়ে সুদ দ্বিগুণ ৷" তিনি জানান, এনিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ৷ স্টেশন ম্যানেজারের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, তিনি এই বকেয়া বিল নিয়ে মানুষকে হয়রান করছেন, নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দিচ্ছেন না ৷ দিনের পর দিন ধরে চক্রবৃদ্ধি হারে এই বিল বাড়ছে ৷ এর প্রতিবাদে তাঁরা শান্তিপূর্ণ ভাবে দাবিদাওয়ার কথা জানিয়ে ডেপুটেশন জমা দিয়েছেন ৷ তিনি বলেন, "আমাদের দাবি সুদটা বাদ দিয়ে বিলের হিসেব করতে হবে ৷ মানুষ যাতে সেটা দিতে পারেন আমরা সেই ব্যবস্থা করব ৷" স্টেশন ম্যানেজার ডিভিশনাল ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে 16 তারিখ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশ্বস্ত করছেন ৷

নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "বাবার সময় থেকে বিল বেড়ে 2 লক্ষ টাকা হয়েছে ৷ ছেলের পক্ষে সেই বিল শোধ করা সম্ভব নয় ৷ এই অবস্থায় ছেলেকে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে না ৷ আমাদের দাবি, ছেলেকেও নতুন সংযোগ দেওয়া হোক ৷" তাঁর অভিযোগ, কিছু ক্ষেত্রে অযৌক্তিক ভাবে ফাইন করা হচ্ছে ৷ আবার কিছু ক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে মিটমাট করে বিষয়টি সমাধান করে নেওয়া হচ্ছে ৷ আপাতত 16 তারিখ পর্যন্ত কাউকে বিল দিতে হবে না বলে জানিয়েছেন অভিজিৎ বিশ্বাস ৷

তৃণমূল নেতার দাবি

  • 2021-এর চলতি মাস পর্যন্ত যার যত টাকা বিল বাকি আছে, তার সুদ বাদ দিতে হবে ৷ সুদ বাদ দেওয়া টাকা 6 বারে শোধ করা হবে ৷
  • কারেন্ট বিল অর্থাৎ মাসের বিল মাসে জমা নিতে হবে ৷ অর্থাৎ কারওর 50 হাজার টাকা বাকি থাকলেও চলতি মাসে 5 হাজার টাকা বিল হলে, সেই টাকা নিতে হবে ৷
  • কারও জেঠু, দাদা, দাদুর বকেয়া বিল থাকলেও তাঁকে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে ৷
  • কেউ মারা গেলে তাঁর বকেয়া বিল মকুব করে তাঁর সন্তানকে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে হবে ৷

তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, এই দাবিগুলি মেনে নিয়েছেন স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট ৷

Last Updated : Sep 10, 2021, 1:46 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.