বিষ্ণুপুর, 28 জুলাই : বাঁকুড়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর বিষ্ণপুর ৷ পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ৷ বিষ্ণুপুর পৌরসভা এলাকায় সরকারি আবাস যোজনায় অনেকের বাড়ি তৈরি হয়েছে ৷ আবার অনেক বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন, পৌরসভা শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ৷ কাজের কাজ কিছু হয়নি ৷ এই নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে ৷
বাংলা আবাস যোজনায় এক লাখ টাকার ঘর তৈরি করে দেওয়ার একটি প্রকল্প নেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফে । পরবর্তীকালে এই প্রকল্পের খরচ 3 লাখ 65 হাজার টাকা করা হয় । বাঁকুড়া জেলার গুরুত্বপূর্ণ মহকুমা শহর বিষ্ণুপুর । জেলার আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র । বিষ্ণুপুর পৌরসভায় মোট 19টি ওয়ার্ড রয়েছে । বর্তমান শহরের জনসংখ্যা প্রায় এক লাখ । এখানকার আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামো তুলনামূলকভাবে অনুন্নত । ছোটখাটো ব্যবসা করেন কেউ কেউ ৷ তবে বেশিরভাগ মানুষ দিনমজুরের কাজ করেন । একদিকে যখন জেলা প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে, সরকারি আবাস যোজনাতে প্রচুর দুঃস্থ মানুষকে বাড়ি করে দেওয়া হয়েছে ৷ ঠিক তখন বিষ্ণুপুরের বেশ কিছু এলাকার ছবি বিপরীত । প্রায় বছর খানেক আগে শহরের ছ’নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পদ্মা সাঁতরা সরকারি আবাস যোজনায় বাড়ির জন্য পৌরসভায় আবেদন করেছিলেন ৷ কিন্তু এখনও তিনি টাকা পাননি ৷ পৌরসভা থেকে ‘‘বাড়ি পাবেন’’ এই প্রতিশ্রুতি একাধিকবার পেয়েছেন বলে জানান তিনি । আরেক বাসিন্দা ভারতী সাঁতরার অভিযোগ, ‘‘সমস্ত কাগজপত্র জমা দেওয়ার পরও বারবার হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে ৷ বাড়িও পাইনি ৷’’
অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দা তরুণ বাউরির অভিযোগ, ‘‘যাদের টাকা আছে তাঁরা বাড়ি পাচ্ছেন ৷ অথচ যাদের নেই তাঁদের পাশে কেউ দাঁড়াচ্ছেন না ।’’ CPI(M)-এর অভিযোগ, আবাস যোজনাতে স্বজনপোষণ চলছে বিষ্ণুপুর পৌরসভায় । অগ্রাধিকার অনুযায়ী মিলছে না দুঃস্থ মানুষদের বাড়ি ।’’ যদিও এই বিষয়ে বিশেষ কিছু না বলেননি বর্তমান পৌর প্রধান শ্যাম মুখোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন, ‘‘বিরোধীরা শুধু মুণ্ডপাত করার জন্য রয়েছে ৷ এই ধরনের অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই ।’’