বাঁকুড়া, 4 অক্টোবর: স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে রোগী ভরতি করেছিল নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ । ওই কার্ডেই অস্ত্রোপচারের কথা ছিল। অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের জন্য নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবি মতো 20 হাজার টাকা দিতে পারেনি রোগীর পরিবার ৷ তাই মাঝপথে থামিয়ে দেওয়া হল অস্ত্রোপচার। অত্যন্ত অমানবিক এই অভিযোগ সামনে এসেছে বাঁকুড়া শহরের গোবিন্দনগর এলাকার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে । সমস্ত ঘটনা জানিয়ে বাঁকুড়া সদর থানার দ্বারস্থ হয়েছে রোগীর পরিজনরা । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে ৷
জানা গিয়েছে, পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর এলাকার বাসিন্দা শেখ আলমগির বেশ কিছুদিন ধরে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সম্প্রতি, বেশ কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর জানতে পারেন তাঁর গলব্লাডারে স্টোন রয়েছে । অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন চিকিৎসক ৷ সেই মতোই সোমবার বাঁকুড়ার গোবিন্দনগর এলাকার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে রোগীকে অস্ত্রোপচারের জন্য ভর্তি করেন পরিবারের লোকজন। মঙ্গলবার অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা করা হয় ৷ রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, মঙ্গলবার রোগীকে অপারেশন টেবিলে তুলে অজ্ঞান করে ল্যাপারোস্কোপি শুরু হয় ৷ তারপর নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ পরিবারের লোকজনের কাছে 20 হাজার টাকা দাবি করে ৷ সেই দাবি মতো রোগীর পরিজনেরা সেই টাকা দিতে না-পারায় অস্ত্রোপচার মাঝপথে থামিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ৷
আরও পড়ুন: বেসরকারি হাসপাতাল-নার্সিংহোমে স্বাস্থ্যসাথীর চিকিৎসা নিয়ে আরও কড়া পদক্ষেপ স্বাস্থ্য ভবনের
নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ অবশ্য রোগীর পরিজনদের তরফে বাড়তি টাকা চাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে । নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবি, ল্যাপারোস্কোপি পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে চিকিৎসক দেখেন ওই অস্ত্রোপচারে জটিলতা রয়েছে । এই অবস্থায় অস্ত্রোপচার করতে গেলে রোগীর জীবনের ঝুঁকি থেকে যায় । সে কারণেই মাঝপথে অস্ত্রোপচার স্থগিত করা হয়েছে । এই ঘটনার সঙ্গে টাকা দেওয়া বা না-দেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই ।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসাথীতে 6 বছরে খরচ 9 হাজার কোটি, পরিষেবা পেয়েছেন 60 লক্ষ