বাঁকুড়া, 25 নভেম্বর : বাঁকুড়ার সভা থেকে একযোগে CPI(M) ও BJP-কে আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বলেন, "CPI(M) লোভী, BJP হল ভোগী কিন্তু তৃণমূল হল ত্যাগী ৷ লোকসভা ভোটের সময় জগাই-মাধাই-গদাই এক হয়েছিল ৷ CPI(M)-এর হার্মাদরাই আজ রং পরিবর্তন করে BJP হয়েছে ৷" তিনি আরও বলেন, "আমায় জেলে পুরবে, পুরুক । জেলে বসেও নির্বাচনে লড়ব, জিতব । চ্যালেঞ্জ করে যাচ্ছি ।"
তিনি বলেন, "আপনারা কি CPI(M)-এর সেদিনের অত্যাচার ভুলে গেছেন ৷ সেদিনের লড়াইয়ের কথা ভুলে গেছেন ৷ আমি কিন্তু ভুলিনি ৷ বাঁকুড়ার ছেলেমেয়েরা আগে ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারত না ৷ কিন্তু আজ সেই বাঁকুড়া শান্তিতে আছে ৷ "
এরপর BJP-কে আক্রমণ করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, "অন্য সময় পাত্তা নেই ৷ আর আজ যখন বাংলার মানুষ শান্তিতে বাস করছে তখন মানুষের শান্তি কেড়ে নেওয়ার জন্য দিল্লি কা লাড্ডু কয়েকজনকে বাংলায় পাঠিয়েছে ৷" বহিরাগত তত্ত্ব তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, "তাঁরা কেউ বাংলার লোক নয় ৷ বাইরের লোক ৷ আপনাদের সব লুটে নেবে ৷ কিন্তু যখন নির্বাচন আসবে তখন দেখবেন আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিচ্ছে ৷ এলাকায় লুকিয়ে লুকিয়ে টাকা দিচ্ছে ৷ পুলিশের বিভিন্ন এজেন্সিতে যারা কাজ করে তাদের মাধ্যমেও টাকা দেওয়া হচ্ছে বলে শুনেছি ৷ "
তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, "তৃণমূল করতে গেলে ত্যাগী হতে হবে ৷ লোভী হওয়া চলবে না ৷ মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে ৷" তাই লোভী-ভোগীদের পাল্লায় তৃণমূল কর্মীদের না পড়ার পরামর্শ দেন তিনি ৷ বলেন, "কেউ কেউ ভাবছেন এখন থেকে লাইনটা করে রাখি, বাই চান্স যদি ক্ষমতায় চলে আসে ৷ চান্সই নেই তো বাইচান্স ৷ বাঁকুড়ার এক একটা আসন বুঝে নেব ৷ একটাতেও BJP বা CPI(M) থাকবে না ৷"
তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, "নির্বাচন এলেই সারদা-নারদের ভয় দেখানো, যাতে তৃণমূলের কিছু নেতা ভয় পেয়ে ওদের (BJP) সঙ্গে চলে যায় ৷ ওরা (BJP) বলছে হয় ঘরে থাক, নয় জেলে থাক ৷ ক্ষমতা থাকলে আমাকে গ্রেপ্তার করুক ৷ আমি জেলে থাকব ৷ আমি জেলে থেকে বাংলাকে জেতাব ৷ " বিহারের নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, "লালুপ্রসাদ যাদবকে তো অনেক দিন ধরেই জেলে ভরে রেখে দিয়েছে ৷ কিন্তু তাতে কি আটকাতে পেরেছে ? বিহারে ওটা জেতা নাকি কারচুপি ? মনে রাখবেন আমি চমকানি-ধমকানিতে ভয় পাই না ৷ "