কলকাতা ও বাঁকুড়া, ২৬ জুলাই : বাঁকুড়ায় ঢোকার অনুমতি পেলেন সৌমিত্র খাঁ । আজ হাইকোর্টে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও মনোজিৎ মণ্ডলের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয় ।
সৌমিত্র খাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে হাইকোর্টে । তার মধ্যে বালিপাচার ও অস্ত্রমামলায় শর্তসাপেক্ষে তাঁর আগাম জামিন মঞ্জুর করেছে হাইকোর্ট । কিন্তু স্কুল সার্ভিস কমিশন ও গ্রুপ D-তে চাকরি দেওয়া সংক্রান্ত প্রতারণা মামলায় তাঁর বিচার চলছে হাইকোর্টে । তবে এই মামলা দুটিতে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না ৷ এবিষয়ে, আগেই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট ।
আগামী সপ্তাহে আবার এই সংক্রান্ত শুনানি রয়েছে । সৌমিত্র খাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ছিল, তার তদন্ত প্রায় শেষের দিকে ৷ সেজন্যই তাঁর ওপর বাঁকুড়ায় ঢোকার যে বিধিনিষেধ ছিল তা তুলে নিল হাইকোর্ট ।
এই রায়ের পর সৌমিত্র খাঁর আইনজীবী শুভাশিস দাসগুপ্ত বলেন, "যে চারটি মামলায় সৌমিত্র খাঁকে বাঁকুড়ায় ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল হাইকোর্ট ৷ সেটা পুরোপুরি তুলে নেওয়া হল ৷ তবে একটি শর্ত রয়েছে তদন্তের স্বার্থে যখন তাঁকে ডাকা হবে, তিনি যেন সহযোগিতা করেন ৷ আমরা আর্জি জানিয়েছিলাম ৷ যেহেতু তিনি বর্তমানে একজন সাংসদ তথা জনপ্রতিনিধি তাই ওই এলাকায় কাজ দেখার জন্য অন্তত সপ্তাহে একদিন তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হোক বাঁকুড়া জেলায় । রাজ্য আজ রিপোর্ট দিয়েছে প্রত্যেকটা মামলাতেই তদন্ত শেষের দিকে । তাঁর উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল কারণ তিনি একজন জনপ্রতিনিধি ছিলেন । ফলে তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারেন । তাই তদন্তের কাজ যেহেতু শেষ হয়ে গেছে ৷ তাই তাঁর বাঁকুড়াতে ঢোকার উপর আর কোনও নিষেধাজ্ঞা রইল না ।"
এই বিষয়ে, সৌমিত্র খাঁর স্ত্রী সুজাতা খাঁ বলেন, "বিচারপতি ও হাইকোর্টকে যথাযোগ্য সম্মান জানাই ৷ বিচারব্যবস্থার ওপর আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা ছিল ৷ দীর্ঘদিন একটা আইনি লড়াই লড়লাম, অনেক অবমাননা সহ্য করলাম ৷ এরপরও বিষ্ণুপুরের মানুষের আশীর্বাদে সৌমিত্র দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হয়েছেন ৷ তিনি আবার সাধারণ মানুষের মতো নিজের জেলায় ঢুকতে পারবেন ৷ পুরো ভোটের লড়াইটা সৌমিত্রর হয়ে লড়েছি ৷ এজন্য বিষ্ণুপুর লোকসভার মানুষকে ধন্যবাদ ৷ সবসময় তোমাদের কাজ করতে চাই ৷ আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই ৷"