বাঁকুড়া, 2 সেপ্টেম্বর: রাজ্যজুড়ে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগে নাম জড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা, মন্ত্রী ও কর্মীদের ৷ দলের ভাবমূর্তি ফেরাতে তাই ব্যাপকভাবে সাংগঠনিক রদবদল শুরু করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব ৷ বাঁকুড়া জেলাও তার ব্যতিক্রম নয় ৷ কিন্তু, এই সাংগঠনিক রদবদল নিয়েই এবার শুরু হল কোন্দল (Bankura TMC Inner Conflict) ৷ দলেরই নেতা ও কর্মীদের একাংশের দাবি, যোগ্য ব্যক্তিদের পদ থেকে সরিয়ে অযোগ্যদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে ! তবে, পদে বহাল থাকা তৃণমূল নেতারা এ নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না ৷ অন্যদিকে, প্রধান বিরোধী দল বিজেপি-র দাবি, টাকার বিনিময়ে তৃণমূলে সাংগঠনিক পদ বিলি করা হচ্ছে ! আর, তার জেরেই প্রকাশ্য়ে চলে এসেছে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব !
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বাঁকুড়ার মেজিয়া ব্লকে তৃণমূলের সাংগঠনিক স্তরে কিছু রদবদল করা হয় ৷ ব্লকের সহ-সভাপতি এবং তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সহ-সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় দু'জন নতুন ব্যক্তিকে ৷ তবে, ব্লক সভাপতি পদে জন্মেঞ্জয় বাউড়িকেই বহাল রাখা হয় ৷ আর এতেই ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা রবিলোচন গোপ ও তাঁর অনুগামীরা ৷
আরও পড়ুন: মন্ত্রী অরূপ রায়ের পোস্টার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে আন্দুলের কলেজে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল
মেজিয়ায় একটি সাংগঠনিক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল ৷ সেখানে শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই মুখ খোলেন তৃণমূলের জেলাস্তরের নেতারা ৷ স্থানীয় তৃণমূল নেতা দুর্গাদাস বন্দ্য়োপাধ্য়ায় যেমন সাফ জানিয়ে দেন, তাঁরা এই রদবদল মানবেন না ! পরবর্তীতে একই সুর শোনা যায় মেজিয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি রবিলোচন গোপের গলাতেও ৷ যদিও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি মেজিয়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি জন্মেঞ্জয় বাউড়ি ৷ তিনি জানিয়েছেন, এটি শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত ৷ তাই যা বলার, শীর্ষস্তরের নেতা ও নেত্রীরাই বলবেন ৷
অন্যদিকে, জেলা বিজেপি-র সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল বলেন, তৃণমূল টাকা ছাড়া কিছুই চেনে না ৷ তারা সাধারণ মানুষের টাকা লুঠ করে ৷ এমনকী, তাদের দলেও টাকার বিনিময়ে পদ বণ্টন করা হয় ! তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ ও পালটা অভিযোগেই তার প্রমাণ মিলছে ৷ ওয়াকিবহাল মহল বলছে, পঞ্চায়েত ভোটের (West Bengal Panchayat Election 2022) আগে এই ধরনের ঘটনা তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়াবে ৷