ETV Bharat / state

দুটি পাতা একটি কুঁড়ির স্বপ্ন ম্লান, অনাহারে 30 হাজার চা শ্রমিক

পেটের তাগিদে বাড়ির ঘটি, বাটি, ঘরের টিন, দেওয়ালের ইট খুলে বিক্রি করছে ক্ষুধার্ত চা-বাগান শ্রমিকেরা । কর্মহীন অধিকাংশ চা-বাগান শ্রমিক পাড়ি দিয়েছেন ভিন রাজ্যে । বন্ধ বাগানগুলির অনেক মহিলাই পেটের জ্বালায় আজ বাগান ছাড়া । কেউ বেছে নিয়েছেন দেহ ব্যবসার অন্ধগলি ৷ কেউ আবার বেছে নিয়েছেন শহুরে পরিচারিকার পেশা । বয়সের ভারে ধুঁকতে থাকা বৃদ্ধ-বৃদ্ধা থেকে শুরু করে গৃহবধূ, এমনকি শিশুরাও পড়ে রয়েছেন খাদ্যহীন বন্ধ চা-বাগানের কোলে ।

dooars tea belt
কেমন আছো ডুয়ার্স?
author img

By

Published : Nov 27, 2019, 9:28 PM IST

আলিপুরদুয়ার, 24 নভেম্বর : পেটের জ্বালায় জ্বলছে ডুয়ার্সের চা বলয় । আলিপুরদুয়ার জেলার এথেলবাড়ি থেকে কুমারগ্রামের ভারত-ভুটান সীমান্ত ৷ বন্ধ হয়ে পড়ে আছে পাহাড়ের প্রায় গোটা সাতেক চা বাগান ৷ 5 টি বাগানে টানা দু'বছর ধরে চলছে অচলাবস্থা ৷ অনেক আগেই শ্রমিক-মালিক অসন্তোষের জেরে বন্ধ হয়ে গেছে মাদারিহাট ব্লকের ঢেকলাপাড়া, বান্দাপানি, লঙ্কাপাড়া চা-বাগান । বছর চারেক বন্ধ হয়েছে কালচিনির মধু চা-বাগান । কালচিনি ব্লকেই পুজোর আগে বন্ধ হয়েছে কালচিনি ও রায়মাটাং চা-বাগান । কুমারগ্রাম ব্লকে বন্ধ হয়ে পড়ে আছে তুততুরি চা-বাগান । এছাড়াও ডানকান গোষ্ঠীর পাঁচটি চা-বাগানে জারি রয়েছে অচলাবস্থা ।

পেটের তাগিদে বাড়ির ঘটি, বাটি, ঘরের টিন, দেওয়ালের ইট খুলে বিক্রি করছে ক্ষুধার্ত চা-বাগান শ্রমিকেরা । কর্মহীন অধিকাংশ চা-বাগান শ্রমিক পাড়ি দিয়েছেন ভিন রাজ্যে । বন্ধ বাগানগুলির অনেক যুবতি পেটের জ্বালায় আজ বাগান ছাড়া । কেউ বেছে নিয়েছেন দেহ ব্যবসা, দাবি স্থানীয়দের ৷ কেউ আবার বেছে নিয়েছেন শহুরে পরিচারিকার পেশা । বয়সের ভারে ধুঁকতে থাকা বৃদ্ধ-বৃদ্ধা থেকে শুরু করে গৃহবধূ, এমনকি শিশুরাও পড়ে রয়েছেন খাদ্যহীন বন্ধ চা-বাগানের কোলে ।

বন্ধ এবং অচল চা-বাগানের প্রায় 30 হাজার শ্রমিক দিন কাটাচ্ছে চরম খাদ্য সংকটে । চা-বলয়ের আদিবাসী মহল্লার কর্মহীন মানুষগুলোর মিলছে না কোনও সরকারি সাহায্য । সেই বাম জমানা থেকেই চা-বাগান ইশ্যুতে কেন্দ্র ও রাজ্যের দ্বৈরথ চলছে । বর্তমান সময়ে যা আরও প্রকট ভাবে ধরা দিয়েছে ৷ রাজনীতির যাঁতাকলে লাগাতার পিষতে থাকা বন্ধ চা-বাগানের হাজার হাজার শ্রমিকদের কাছে আজ 'পূর্নিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি '। পেটের তাগিদে অনেক আগেই বিক্রি হয়েছে বাগানের গাছপালা । এখন কেউ বেচছে ঘরের ঘটি-বাটি । কেউ বাড়ির টিন, দেওয়ালের ইট খুলে বিক্রি করে মেটাচ্ছে পেটের খিদে ।

সরকারি সাহায্য বলতে পরিবার পিছু মাসে 12 কেজি রেশনের চাল । আলিপুরদুয়ারের বন্ধ চা-বাগানের শ্রমিক মহল্লায় ঘুরলে দেখা মিলবে এসব করুণ দৃশ্য । বাগান বন্ধ হবার সঙ্গে সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নারী পাচারের সংখ্যা । বন্ধ বাগান নারী পাচার চক্রের ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে ।

সরকার থেকে দু'টাকা কিলো দরে রেশনে চাল,আটা দেওয়া হচ্ছে । তবে রেশনের ওই চাল, আটা কেনার জন্য যে টাকার প্রয়োজন সে টাকাও নেই শ্রমিকদের হাতে । বাধ্য হয়েই এখন তারা ঘরের জিনিস পত্র বিক্রি করে কিনে আনছে রেশনের চাল, আটা ।

প্রশ্ন উঠছে এভাবে কতদিন চলবে? ঘরের ঘটি, বাটি বিক্রির পর পেটের জ্বালা মেটাতে আর কী বিক্রি করবেন বন্ধ চা বলয়ের ক্ষুধার্ত শ্রমিক মহল্লা?

আলিপুরদুয়ার, 24 নভেম্বর : পেটের জ্বালায় জ্বলছে ডুয়ার্সের চা বলয় । আলিপুরদুয়ার জেলার এথেলবাড়ি থেকে কুমারগ্রামের ভারত-ভুটান সীমান্ত ৷ বন্ধ হয়ে পড়ে আছে পাহাড়ের প্রায় গোটা সাতেক চা বাগান ৷ 5 টি বাগানে টানা দু'বছর ধরে চলছে অচলাবস্থা ৷ অনেক আগেই শ্রমিক-মালিক অসন্তোষের জেরে বন্ধ হয়ে গেছে মাদারিহাট ব্লকের ঢেকলাপাড়া, বান্দাপানি, লঙ্কাপাড়া চা-বাগান । বছর চারেক বন্ধ হয়েছে কালচিনির মধু চা-বাগান । কালচিনি ব্লকেই পুজোর আগে বন্ধ হয়েছে কালচিনি ও রায়মাটাং চা-বাগান । কুমারগ্রাম ব্লকে বন্ধ হয়ে পড়ে আছে তুততুরি চা-বাগান । এছাড়াও ডানকান গোষ্ঠীর পাঁচটি চা-বাগানে জারি রয়েছে অচলাবস্থা ।

পেটের তাগিদে বাড়ির ঘটি, বাটি, ঘরের টিন, দেওয়ালের ইট খুলে বিক্রি করছে ক্ষুধার্ত চা-বাগান শ্রমিকেরা । কর্মহীন অধিকাংশ চা-বাগান শ্রমিক পাড়ি দিয়েছেন ভিন রাজ্যে । বন্ধ বাগানগুলির অনেক যুবতি পেটের জ্বালায় আজ বাগান ছাড়া । কেউ বেছে নিয়েছেন দেহ ব্যবসা, দাবি স্থানীয়দের ৷ কেউ আবার বেছে নিয়েছেন শহুরে পরিচারিকার পেশা । বয়সের ভারে ধুঁকতে থাকা বৃদ্ধ-বৃদ্ধা থেকে শুরু করে গৃহবধূ, এমনকি শিশুরাও পড়ে রয়েছেন খাদ্যহীন বন্ধ চা-বাগানের কোলে ।

বন্ধ এবং অচল চা-বাগানের প্রায় 30 হাজার শ্রমিক দিন কাটাচ্ছে চরম খাদ্য সংকটে । চা-বলয়ের আদিবাসী মহল্লার কর্মহীন মানুষগুলোর মিলছে না কোনও সরকারি সাহায্য । সেই বাম জমানা থেকেই চা-বাগান ইশ্যুতে কেন্দ্র ও রাজ্যের দ্বৈরথ চলছে । বর্তমান সময়ে যা আরও প্রকট ভাবে ধরা দিয়েছে ৷ রাজনীতির যাঁতাকলে লাগাতার পিষতে থাকা বন্ধ চা-বাগানের হাজার হাজার শ্রমিকদের কাছে আজ 'পূর্নিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি '। পেটের তাগিদে অনেক আগেই বিক্রি হয়েছে বাগানের গাছপালা । এখন কেউ বেচছে ঘরের ঘটি-বাটি । কেউ বাড়ির টিন, দেওয়ালের ইট খুলে বিক্রি করে মেটাচ্ছে পেটের খিদে ।

সরকারি সাহায্য বলতে পরিবার পিছু মাসে 12 কেজি রেশনের চাল । আলিপুরদুয়ারের বন্ধ চা-বাগানের শ্রমিক মহল্লায় ঘুরলে দেখা মিলবে এসব করুণ দৃশ্য । বাগান বন্ধ হবার সঙ্গে সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নারী পাচারের সংখ্যা । বন্ধ বাগান নারী পাচার চক্রের ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে ।

সরকার থেকে দু'টাকা কিলো দরে রেশনে চাল,আটা দেওয়া হচ্ছে । তবে রেশনের ওই চাল, আটা কেনার জন্য যে টাকার প্রয়োজন সে টাকাও নেই শ্রমিকদের হাতে । বাধ্য হয়েই এখন তারা ঘরের জিনিস পত্র বিক্রি করে কিনে আনছে রেশনের চাল, আটা ।

প্রশ্ন উঠছে এভাবে কতদিন চলবে? ঘরের ঘটি, বাটি বিক্রির পর পেটের জ্বালা মেটাতে আর কী বিক্রি করবেন বন্ধ চা বলয়ের ক্ষুধার্ত শ্রমিক মহল্লা?

Intro:আলিপুরদুয়ার:-পেটের জ্বালায় জ্বলছে ডুয়ার্সের চা বলয়। পেটের তাগিদে বাড়ির ঘটি, বাটি, ঘরের টিন,দেওয়ালের ইট খুলে বিক্রি করছে ক্ষুধার্ত বাগান শ্রমিকেরা।

Body:কর্মহীন অধিকাংশ বাগান শ্রমিক পাড়ি দিয়েছেন ভীন রাজ্যে।বন্ধ বাগান গুলোর অনেক তরুণী, যুবতি পেটের জ্বালায় বাগান ছাড়া।কেউ বেছে নিয়েছে দেহ ব্যাবসার অন্ধগলি। কেউ আবার বেছে নিয়েছে শহুরে বাবুদের ফ্লাটে পরিচারিকার পেশা। বয়সের ভারে নুব্জ্য বৃদ্ধ,বৃদ্ধা, এমন কি কিছু গৃহ বধু, শিশুরা পড়ে রয়েছেন খাদ্য হীন বন্ধ বাগানের কোলে।
আলিপুরদুয়ার জেলার এথেলবাড়ি থেকে কুমারগ্রামের ভারত-ভূটান সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত বিরাট চা বলয়ে এই মুহুর্তে বন্ধ গোটা সাতেক চা বাগান। ৫ টি বাগানে টানা দু-বছর ধরে জারি রয়েছে অচলাবস্থা।অনেক আগেই শ্রমিক মালিক অসন্তোষের জেরে বন্ধ হয়ে গেছে মাদারিহাট ব্লকের ঢেকলাপাড়া, বান্দাপানি,লংকাপাড়া চা বাগান। বছর চারেক বন্ধ হয়েছে কালচিনির মধু চা বাগান। কালচিনি ব্লকেই পুজোর আগে বন্ধ হয়েছে কালচিনি ও রায়মাটাং চা বাগান। কুমারগ্রাম ব্লকে বন্ধ হয়ে পড়ে আছে তুততুরি চা বাগান। এছাড়াও ডানকান গোষ্টির পাচটি চা বাগানে জারি আছে অচলাবস্থা।
বন্ধ এবং অচল চা বাগানের প্রায় ত্রিশ হাজার মানুষ খাদ্য সংকটে দিন গুজরান করছে।চা বলয়ের সহজ সরল আদিবাসী মহল্লার কর্মহীন এই মানুষ গুলোর মিলছে না কোন সরকারি সাহায্য। সেই বাম জমানা থেকেই চা বাগান ইশ্যুতে কেন্দ্র ও রাজ্যের দ্বৈরথ চলছে। বর্তমান সময়ে যা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। রাজনীতির যাঁতাকলে লাগাতার পিষতে থাকা বন্ধ চা বাগানের হাজার হাজার শ্রমিকদের কাছে আজ 'পূর্নিমার চাঁদ যেন ঝলচানো রুটি '।পেটের তাগিদে অনেক আগেই বিক্রি হয়ে গেছে বাগানের গাছ পালা।এখন শুরু হয়েছে ঘরের ঘটি বাটি বেচা। কেউ বাড়ির টিন, দেওয়ালের ইট খুলে বিক্রি করে যোগাচ্ছে পেটের রসদ।
সরকারি সাহায্য বলতে পরিবার পিছু মাসে বারো কেজি পোকায় ধরা রেশনের মোটা চাল।আলিপুরদুয়াররের বন্ধ চা বাগানের শ্রমিক মহল্লায় ঘুরলে দেখা মিলবে সমস্ত করুন দৃশ্য । বাগান বন্ধ হবার সাথে সাথেই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নারী পাচারের সংখ‍্যা । বন্ধ বাগান এখন নারী পাচার চক্রের সফট টার্গেটে পরিণত হয়েছে।
সরকার থেকে দুই টাকা কিলো দরে রেশনে চাল,আটা দেওয়া হচ্ছে। তবে রেশনের ওই চাল, আটা কেনার জন্য যে টাকার প্রয়োজন সে টাকাও নেই শ্রমিকদের হাতে। বাধ্য হয়েই এখন তারা ঘরের জিনিস পত্র বিক্রি করে কিনে আনছে রেশনের চাল, আটা।


Conclusion:প্রশ্ন উঠছে এভাবে কতদিন চলবে? ঘরের ঘটি, বাটি বিক্রির পর জটরজ্বালা মেটাতে আর কি বিক্রি করবেন বন্ধ চা বলয়ের ক্ষুধার্ত শ্রমিক মহল্লা?

পাঁচটা বাইট
ভিশুয়াল
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.