ETV Bharat / state

নেই PPE কিট, ছেঁড়া গ্লাভস ও ফাটা রেনকোটই 'ঢাল' NBSTC-র কর্মীদের

ভিন জেলার শ্রমিকদের বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন NBSTC-র বাস চালক ও কন্ডাক্টররা । কিন্তু এই কাজ করতে গিয়ে তাঁদের সুরক্ষাকে কতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ? তার আসল ছবি ধরা পড়েছে ETV ভারতের ক্যামেরায় ।

author img

By

Published : May 16, 2020, 12:32 PM IST

Updated : May 16, 2020, 8:02 PM IST

NBSTC
এনবিএসটিসি

আলিপুরদুয়ার, 16 মে : ভিনরাজ্য থেকে ইতিমধ্যে শ্রমিকরা ফিরছেন । এখন তাঁদের নির্দিষ্ট জেলায় পৌঁছে দিতে রাজ্য সরকার উদ্যোগী হয়েছে । ভিনরাজ্যের এই শ্রমিকরাই শুধু নন, ভিন জেলায় আটকে থাকা শ্রমিকদেরও বাড়ি পৌঁছাতে উদ্যোগী সরকার । আর সরকারের এই উদ্যোগকে বাস্তবায়িত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থাকে(NBSTC) । নিজেদের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন NBSTC-র বাস চালক ও কন্ডাক্টররা । কিন্তু এই কাজ করতে গিয়ে তাঁদের সুরক্ষাকে কতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ? তার আসল ছবি ধরা পড়েছে ETV ভারতের ক্যামেরায় ।

গতকাল NBSTC-র চারটি বাস 84 জন শ্রমিককে নিয়ে মাধবমোড় থেকে রওনা দেয় । এই শ্রমিকরা উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা ও মুর্শিদাবাদের । ফলে, চারটি বাসের মধ্যে এক একটির গন্তব্য একটি করে জেলা । এই চারটি বাস রওনা দেওয়ার আগে চালক ও কন্ডাক্টরদের সুরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে তাঁদের কাছ থেকে জানতে চান ETV ভারতের প্রতিনিধি । আর তাতেই সামনে আসে আসল তথ্য ।

চালক ও কন্ডাক্টরদের সুরক্ষায় PPE দেওয়া তো দূরের কথা, দেওয়া হয়েছে রেনকোট । তাও আবার ফাটা । যে গ্লাভসগুলি চালক ও কন্ডাক্টররা পরে আছেন তাও ফাটা । চালকদের আক্ষেপ, এই ছেঁড়া রেনকোট ও গ্লাভস নাকি কোরোনার সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়াবে । অন্তত সংস্থার উচ্চপদাধিকারীরা তেমনটাই বলেছেন তাঁদের ।

মালদাগামী বাসটির চালক প্রদীপকুমার রায় বলেন, "PPE বলতে আমাদের একটা রেনকোট দেওয়া হয়েছে । তাও আবার ছিঁড়ে গেছে । সেটা পরেই শ্রমিকদের পৌঁছে দিতে মালদা যাচ্ছি ।" দক্ষিণ দিনাজপুরগামী বাসের কন্ডাক্টর মদন ঘোষ বলেন, "এর আগে আমি কলকাতায় শ্রমিকদের নিয়ে গেছিলাম । তখনও এই রেনকোট পরেই গিয়েছিলাম । সেটা এখন ফেটে গেছে । তাই ফেলে দিয়েছি । দ্বিতীয়বার আমাকে আর রেনকোটও দেওয়া হয়নি ।"

দেখুন ভিডিয়োয়...

এই বিষয় যদিও অজানা বলে জানালেন NBSTC-র বোর্ড অফ ডিরেক্টর মৃদুল গোস্বামী । তিনি বলেন, "বিষয়টি আমরা জানি না । প্রথমে আমরা স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে কথা বলব । তারপর স্বাস্থ্য দপ্তরের গাইডলাইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব ।"

বাস চালক ও কন্ডাক্টরদের সুরক্ষার বিষয়ে যে সতর্কতা বাড়ানো উচিত তা শিকার করেছেন আলিপুরদুয়ারের উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী । তিনি বলেন, "যে শ্রমিকরা অন্য জেলায় যাচ্ছেন তাঁদের একটা প্রাথমিক শারীরিক পরীক্ষা আমরা করি । তবে, বাস চালক ও কন্ডাক্টরদের ক্ষেত্রে একটু বেশি সতর্ক থাকা উচিত ।"


আলিপুরদুয়ার, 16 মে : ভিনরাজ্য থেকে ইতিমধ্যে শ্রমিকরা ফিরছেন । এখন তাঁদের নির্দিষ্ট জেলায় পৌঁছে দিতে রাজ্য সরকার উদ্যোগী হয়েছে । ভিনরাজ্যের এই শ্রমিকরাই শুধু নন, ভিন জেলায় আটকে থাকা শ্রমিকদেরও বাড়ি পৌঁছাতে উদ্যোগী সরকার । আর সরকারের এই উদ্যোগকে বাস্তবায়িত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থাকে(NBSTC) । নিজেদের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন NBSTC-র বাস চালক ও কন্ডাক্টররা । কিন্তু এই কাজ করতে গিয়ে তাঁদের সুরক্ষাকে কতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ? তার আসল ছবি ধরা পড়েছে ETV ভারতের ক্যামেরায় ।

গতকাল NBSTC-র চারটি বাস 84 জন শ্রমিককে নিয়ে মাধবমোড় থেকে রওনা দেয় । এই শ্রমিকরা উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা ও মুর্শিদাবাদের । ফলে, চারটি বাসের মধ্যে এক একটির গন্তব্য একটি করে জেলা । এই চারটি বাস রওনা দেওয়ার আগে চালক ও কন্ডাক্টরদের সুরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে তাঁদের কাছ থেকে জানতে চান ETV ভারতের প্রতিনিধি । আর তাতেই সামনে আসে আসল তথ্য ।

চালক ও কন্ডাক্টরদের সুরক্ষায় PPE দেওয়া তো দূরের কথা, দেওয়া হয়েছে রেনকোট । তাও আবার ফাটা । যে গ্লাভসগুলি চালক ও কন্ডাক্টররা পরে আছেন তাও ফাটা । চালকদের আক্ষেপ, এই ছেঁড়া রেনকোট ও গ্লাভস নাকি কোরোনার সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়াবে । অন্তত সংস্থার উচ্চপদাধিকারীরা তেমনটাই বলেছেন তাঁদের ।

মালদাগামী বাসটির চালক প্রদীপকুমার রায় বলেন, "PPE বলতে আমাদের একটা রেনকোট দেওয়া হয়েছে । তাও আবার ছিঁড়ে গেছে । সেটা পরেই শ্রমিকদের পৌঁছে দিতে মালদা যাচ্ছি ।" দক্ষিণ দিনাজপুরগামী বাসের কন্ডাক্টর মদন ঘোষ বলেন, "এর আগে আমি কলকাতায় শ্রমিকদের নিয়ে গেছিলাম । তখনও এই রেনকোট পরেই গিয়েছিলাম । সেটা এখন ফেটে গেছে । তাই ফেলে দিয়েছি । দ্বিতীয়বার আমাকে আর রেনকোটও দেওয়া হয়নি ।"

দেখুন ভিডিয়োয়...

এই বিষয় যদিও অজানা বলে জানালেন NBSTC-র বোর্ড অফ ডিরেক্টর মৃদুল গোস্বামী । তিনি বলেন, "বিষয়টি আমরা জানি না । প্রথমে আমরা স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে কথা বলব । তারপর স্বাস্থ্য দপ্তরের গাইডলাইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব ।"

বাস চালক ও কন্ডাক্টরদের সুরক্ষার বিষয়ে যে সতর্কতা বাড়ানো উচিত তা শিকার করেছেন আলিপুরদুয়ারের উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী । তিনি বলেন, "যে শ্রমিকরা অন্য জেলায় যাচ্ছেন তাঁদের একটা প্রাথমিক শারীরিক পরীক্ষা আমরা করি । তবে, বাস চালক ও কন্ডাক্টরদের ক্ষেত্রে একটু বেশি সতর্ক থাকা উচিত ।"


Last Updated : May 16, 2020, 8:02 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.