আলিপুরদুয়ার, 10 জানুয়ারি: 2009 সালে আলিপুরদুয়ার শহরের দু'টি সোনার দোকানে চুরির অভিযোগে নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) বিরুদ্ধে আলিপুরদুয়ার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। 2019 সালে তিনি কোচবিহারের সাংসদ হওয়ার পর মামলাটি বারাসতের এমপি আদালতে স্থানান্তরিত হয়। নিশীথ প্রামাণিকের পক্ষে কোনও আইনজীবী উপস্থিত না-থাকার দরুণ থার্ড কোর্টের বিচারক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন গত নভেম্বর মাসের 15 তারিখে। মঙ্গলবার, অর্থাৎ আজ আলিপুরদুয়ার আদালতে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক স্বশরীরে উপস্থিত হন।
জানা গিয়েছে, নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আদালত। বারাসত আদালতে (Barasat Court)মামলা চলে গিয়েছিল। ফের এই মামলা আলিপুরদুয়ারে আসে। আলিপুরদুয়ার থার্ড কোর্টে তিনি গত নভেম্বর মাসের 11 তারিখে জামিনের আবেদন করেছিলেন। 2009 সালে নিশীথের বিরুদ্ধে দু'টো মামলা ছিল ৷ জিআর (GR)973/09 কেসে 457, 411, 380 এবং জিআর (GR)1040/09 461, 379, 411 ধারার মামলা। কোনও জায়গায় চুরি করা তো কোথাও চোরাই মাল পাওয়া যাওয়ার ঘটনা রয়েছে। নিশীথ প্রামাণিক যেহেতু সাংসদ তাই বারাসত আদালতে কেস চলে গিয়েছিল। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে কেস দু'টি ফের আলিপুরদুয়ার আদালতে আসে।
আরও পড়ুন: জঙ্গি দমনে রাজ্য ও কেন্দ্রকে একে অপরের পরিপূরক হয়ে কাজ করতে হবে, মত নিশীথের
নিশীথ প্রামাণিকের আইনজীবী সোম শঙ্কর দত্ত জানান, হাইকোর্টের নির্দেশ মতো নিশীথ আলিপুরদুয়ার আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। আদালত পুরনো জামিন বহাল রেখেছে। যেহেতু নিশীথ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাই তাঁকে আলিপুরদুয়ার আদালতে স্বশরীরে হাজিরা না-হলেও চলবে। তারপক্ষে তাঁর আইনজীবী মুভ করবেন। অন্যদিকে আলিপুরদুয়ার আদালতের সরকারি আইনজীবী প্রশান্ত নারায়ণ মজুমদার বলেন, "আজ নিশীথ প্রামাণিক আলিপুরদুয়ার আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন। আলিপুরদুয়ার আদালত তাঁর বিরুদ্ধে যে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল, তা হাইকোর্ট খারিজ করে দেয়। নিশীথ প্রামাণিক বলেছেন এফআইআর (FIR)-এ আমার নাম ছিল না। কিন্তু চার্জশিট দেবার সময় পুলিশ আমার নাম জুড়ে দেয়।