আলিপুরদুয়ার, 19 জুন : বীর শহিদকে শেষবার চোখের দেখা দেখতে শুক্রবার কাকভোর থেকেই আলিপুরদুয়ারের বিন্দিপাড়ায় ভিড় জমে । বৃষ্টি মাথায় নিয়েও শহিদ জওয়ান বিপুল রায়ের শেষকৃত্যে উপস্থিত হলেন অসংখ্য মানুষ ।
ভারত মাতা কী জয়-হাজার হাজার মানুষের চিৎকারে মুখরিত হল গ্রামের আকাশ-বাতাস৷ বিন্দিপাড়ায় তখন বৃষ্টি ভেজা সন্ধে নামছে, তখনই হাসিমারা বায়ুসেনা ছাউনি থাকে সামরিক বাহিনীর গাড়ি ঢুকল গ্রামের মেঠো পথে৷ সেনার গাড়ি দেখেই জনতার ভিড় স্লোগান দিল, ভারত মাতা কী জয় । কফিন নিয়ে সেই গাড়ি সোজা প্রবেশ করল শহিদের বাড়িতে । বাড়িতেও তখন থিকথিকে ভিড় । উঠোনে তুলসি তলায় রাখা হল শহিদের দেহ । তখনও আসেননি শহিদের স্ত্রী রূম্পা, কন্যা তমন্যা । মা কুসুমবালা দেবী জ্ঞান হারালেন । জল দিয়ে, হাওয়া করে তাঁকে কিছুটা সুস্থ করা গেল ৷ ঘণ্টাখানেক পরে বেশ কয়েকজন সেনাকর্মীর সঙ্গে বাড়িতে এলেন বিপুল রায়ের স্ত্রী ও কন্যা। শহিদ স্বামীর কফিন আঁকড়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন স্ত্রী । শিশুকন্যা তমন্যা কিন্তু কী হয়েছে জানে না! সে ঘুরে বেড়াচ্ছে অত্মীয়দের কোলে।
একটা সময় সেনার তরফে শহিদের দেহ নিয়ে যাওয়া হল বিন্দিপাড়া প্রাইমারি স্কুলের মাঠে। সেখানেই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন অনেকেই। সন্ধে 7 টায় শহিদের কফিনবন্দী দেহ নিয়ে সেনাবাহিনীর জওয়ানরা রওনা দিলেন গদাধর নদীর তীরে৷ শ্মশান ঘাটে। সেখানেও জমল ভিড় ৷ সেনাবাহিনীর তরফে দেওয়া হল গান স্যালুট৷ আলিপুরদুয়ারের বিন্দিপাড়ার বীর শহিদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হল যখন, তখন অন্ধকার নেমেছে ৷ পুরো দমে নেমেছে বৃষ্টি ৷ তবে, সেই বৃষ্টির থেকেও বড় বৃষ্টি তো বিন্দিপাড়া শ্মশানঘাটের ভিড়ের চোখে!