জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার, 26 জুন : রেকর্ড বৃষ্টি আলিপুরদুয়ারে । বৃষ্টির পরিমাণ 405.40 মিলিমিটার । জানাল জলপাইগুড়ি সেচ দপ্তর । এছাড়াও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হয়েছে কোচবিহার ও জলপাইগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় । বৃষ্টি হয়েছে শিলিগুড়িতেও ।
একদিকে ভুটানে প্রবল বৃষ্টির জেরে পাহাড় থেকে নেমে আসা জল এবং অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টির জেরে কার্যত বানভাসি অবস্থা আলিপুরদুয়ারের বিস্তীর্ণ এলাকা । হাসিমারা, দলসিংপাড়া, কুমারগ্রামসহ আলিপুরদুয়ার পৌরসভার অন্তত কুড়িটি ওয়ার্ড জলমগ্ন । হাসিমারা থেকে ভুটানে যাওয়ার এশিয়ান হাইওয়ে-48 এর উপর দিয়ে বইছে জল । মাদারিহাট থেকে হাসিমারা যাওয়ার রাজ্য সড়ক জলের নিচে । বারবিশায় ফ্ল্যান্ডসেন্টারে ইতিমধ্যেই লোকজন এসে আশ্রয় নিয়েছে । জলমগ্ন জলপাইগুড়ির অন্তর্গত ডুয়ার্সের বহু এলাকা । জলপাইগুড়ির বিন্নাগুড়ি, বানারহাট এলাকায় ভুটানের জলে জলমগ্ন বিভিন্ন এলাকা । বানারহাট হাসপাতালেও জল ঢুকেছে ।
অন্যদিকে প্রবল বৃষ্টির জেরে ভুটানের ফুঁৎসলিংয়ের বিভিন্ন এলাকায় ধস নেমেছে । ধসের জেরে বেশ কিছু এলাকায় বাড়ি এবং যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ।
গতকালই ভুটান সরকারের পক্ষ থেকে 48 ঘণ্টা ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে ।
ফুঁসছে উত্তরবঙ্গের নদীগুলিও । কালজানি, রায়ডাক, তোর্সা নদীতে হলুদ সংকেত জারি । কিছু এলাকায় নদীর জল বিপদসীমার খুব কাছ দিয়ে বইছে । এইভাবে বৃষ্টি চলতে থাকলে নদীর জলস্তর আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ।
খোলা হয়েছে 5 টা ত্রাণ শিবির ।
জলপাইগুড়ি সেচ দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কোথায় কী পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে :
- আলিপুরদুয়ার- 405.40 মিলিমিটার
- জলপাইগুড়ি- 148.50 মিলিমিটার
- তুফানগঞ্জ - 170.40 মিলিমিটার
- কোচবিহার -76.80 মিলিমিটার
- মাথাভাঙা- 31.40 মিলিমিটার
- হাসিমারায়- 251.80 মিলিমিটার
- ময়নাগুড়ি- 78.00 মিলিমিটার
- শিলিগুড়ি- 69.80 মিলিমিটার
- বানারহাট- 220.00 মিলিমিটার