জয়গাঁ, 22 অগাস্ট : ভারত-ভুটান সীমান্তে অবস্থিত জয়গাঁ শহরে গত সাতদিনে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে 9 জনের । স্থানীয়দের বক্তব্য, ডেঙ্গিতেই আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে সবার । কিন্তু স্থানীয়দের এই বক্তব্য উড়িয়ে দিচ্ছে প্রশাসন ।
ভারত-ভুটান সীমান্তের জয়গাঁ শহরে জ্বরে আক্রান্ত অনেকেই । ইতিমধ্যেই সাতদিনে 1 ও 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট 9 জনের মৃত্যু হয়েছে । মৃতদের প্রত্যেকেরই বয়স 3 থেকে 12 বছর । রবিবার(18 অগাস্ট) গোপীমোহন এলাকার 12 বছরের রিয়া নন্দীর মৃত্যু হয় । অনেকদিন ধরেই জ্বরে আক্রান্ত ছিল সে । এই জ্বরেই আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় গুয়াবাড়ির নইম রহমান(4), কাশ্মিরা রহমান(8), ঝরনা বস্তির বাবলু শেখ(3), সুভাষ পল্লির রজনী সাহা(6) । মঙ্গলবার রাতে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় 10 বছরের গুণী বর্মণের । জয়গাঁ 2 নম্বর গ্রাম প়ঞ্চায়েতের লামাচকের বাসিন্দা রণজিৎ বর্মণের কন্যা গুণী । 6 দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ভরতি ছিল সে । স্থানীয়দের দাবি, মৃতরা ডেঙ্গিতেই আক্রান্ত ছিল । শুধু তাই নয়, চিকিৎসা পরিষেবার গাফিলতিরও অভিযোগ তোলে স্থানীয়রা । কিন্তু স্থানীয়দের এই দাবি মানতে নারাজ জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর । তাদের বক্তব্য, প্রতিবেশী দেশ ভুটান থেকেই এই জ্বর সীমান্তে অবস্থিত জয়গাঁ শহরে ছড়িয়ে পড়েছে ।
ডেঙ্গির চিকিৎসার জন্য অস্থায়ী 2 টি চিকিৎসা শিবির খুলেছে জয়গাঁ ডেভলপমেন্ট অথরিটি । সেই শিবিরে প্রতিদিন গড়ে 250-300 ডেঙ্গি আক্রান্তদের চিকিৎসা করা হচ্ছে । গতকাল ডেঙ্গি প্রতিরোধের জন্য জয়গাঁ ডেভলপমেন্ট অথরিটি দপ্তরে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ পূরণ শর্মী এক উচ্চপর্যায়ের জরুরি বৈঠক করেন । এই বৈঠকে হাজির ছিলেন কালচিনি ব্লকের BDO সহ জেলার সমস্ত স্বাস্থ্য আধিকারিক ও জয়গাঁর বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকরা ।
বৈঠকের পর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পূরণ শর্মা জানান, ডেঙ্গিতে মৃত্যুর কোনও খবর নেই । যাদের মৃত্যু হয়েছে তারা হয়ত অজানা জ্বরে বা অন্য কোনও রোগে আক্রান্ত ছিল । তিনি বলেন, "জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সজাগ আছে । ডেঙ্গির মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত । তবে, অন্যবারের তুলনায় এবছর ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি ।"