ETV Bharat / state

NRC-র জের : প্রতিমা তৈরির বরাত কমায় মাথায় হাত মৃৎশিল্পীদের

অসমের পুজো কমিটিগুলো থেকে পালপাড়ার কুমোরটুলি ফি-বছর গড়ে 25-30টি দুর্গা প্রতিমার বরাত পায় ৷ কিন্তু চলতি বছর নাগরিকপঞ্জির জেরে পালপাড়ার কুমোরটুলি বরাত পেয়েছে 8 থেকে 10টি প্রতিমার ৷

author img

By

Published : Sep 20, 2019, 5:33 PM IST

Updated : Sep 20, 2019, 8:55 PM IST

কুমোরটুলি

আলিপুরদুয়ার, 20 সেপ্টেম্বর : নাগরিকপঞ্জি প্রকাশিত হয়েছে অসমে ৷ বাদ পড়েছে প্রায় 19 লাখ মানুষের নাম ৷ তার প্রভাব রাজ্যের মৃৎশিল্পে ৷ নাগরিকপঞ্জির জেরে অসম থেকে এরাজ্যে দুর্গা প্রতিমার বরাত এক ধাক্কায় অনেকটাই কমেছে ৷ ফলে পুজোর আগে লাভের মুখ দেখতে না পেয়ে সমস্যায় আলিপুরদুয়ারের মৃৎশিল্পীরা ৷

অসমের উপর নির্ভর করে ঋণ নিয়ে দুর্গাপ্রতিমা বানিয়ে বিপাকে পড়েছে আলিপুরদুয়ারের নোনাইপাড়, পালপাড়ার 40টি মৃৎশিল্পী পরিবার ৷ অসমের পুজো কমিটিগুলো থেকে পালপাড়ার কুমোরটুলি ফি-বছর গড়ে 25-30টি দুর্গা প্রতিমার বরাত পায় ৷ কিন্তু চলতি বছর নাগরিকপঞ্জির জেরে পালপাড়ার কুমোরটুলি বরাত পেয়েছে 8 থেকে 10টি প্রতিমার ৷

মৃৎশিল্পী মিত্র পাল জানান, "নাগরিকপঞ্জির জেরে অসমের পুজো কমিটিগুলোর থেকে এবার আমি একটিও প্রতিমার বরাত পাইনি ৷ প্রতি বছরই অসম থেকে 5-6টি প্রতিমার বরাত পেতাম ৷ অসমের পুজো কমিটিগুলো প্রতিমার ভালো দাম দেয় । লাভের মুখ দেখা যায় । চলতি বছর অসমের বরাত না পাওয়ার জেরে প্রতিমা তৈরির জন্য অনেক কম লোক রেখেছি ৷ "
আরেক শিল্পী গৌতম পাল জানান, " অসমের নাগরিকপঞ্জির জেরে এবার (আলিপুরদুয়ার জেলার) মৃৎশিল্পে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে ৷ অন্যান্য বছর অসম থেকে 8-10টি প্রতিমার বায়না পেতাম ৷ এবার মাত্র তিনটি প্রতিমার বরাত পেয়েছি ৷ অসমের ওপর নির্ভর করে যে প্রতিমাগুলো বানিয়েছিলাম সেগুলো কম দামে বিক্রি করে দিতে হচ্ছে । নতুন করে প্রতিমা বানানো হচ্ছে না ৷ "

আলিপুরদুয়ার 2 নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনুপ দাস বলেন, "এবার অসমে নাগরিকপঞ্জির জেরে পালপাড়ার কুমোরটুলিতে অসম থেকে তেমন বরাত না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন মৃৎশিল্পীরা । পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে শিল্পীদের আর্থিক সহযোগিতার জন্য আবেদন করা হবে ৷ "

আরও পড়ুন : আলিপুরদুয়ারে দুর্গাপুজোয় মাইক বাজবে না !

যদিও আলিপুরদুয়ার জেলা BJP-র সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, " গোটা এলাকাটিই তৃণমূল প্রভাবিত ৷ যেসব মৃৎশিল্পীরা দাবি করছেন অসম থেকে ঠাকুরের বরাত পাননি, তাঁরা তৃণমূলের ক্যাডার ৷ বিগত বছরগুলোতে তাদের কাছে অসম থেকে প্রতিমার যে বরাত এসেছিল তার কোনও প্রমাণ নেই ৷ "

দেখুন ভিডিয়ো

অসমে NRC প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, "দিদি দিল্লি গিয়ে NRC নিয়ে মোদিজি, অমিতজির সঙ্গে দেখা করলেন ৷ অথচ বাংলায় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে একটি কথাও বলছেন না ৷ আবার বাংলায় এসে NRC নিয়ে আন্দোলন করছেন ৷ তৃণমূলের এই দু-মুখো চরিত্র মানুষ বুঝে গেছে । অসম-বাংলা কেন, সারা দেশে NRC হলেও একজন হিন্দুর নাম তালিকা থেকে বাদ যাবে না ৷ আমরা সিটিজেন অ্যামেন্ডমেন্ট বিল (নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল) করে বাদ যাওয়া হিন্দুদের নাম তালিকাভুক্ত করব ৷ "

আলিপুরদুয়ার, 20 সেপ্টেম্বর : নাগরিকপঞ্জি প্রকাশিত হয়েছে অসমে ৷ বাদ পড়েছে প্রায় 19 লাখ মানুষের নাম ৷ তার প্রভাব রাজ্যের মৃৎশিল্পে ৷ নাগরিকপঞ্জির জেরে অসম থেকে এরাজ্যে দুর্গা প্রতিমার বরাত এক ধাক্কায় অনেকটাই কমেছে ৷ ফলে পুজোর আগে লাভের মুখ দেখতে না পেয়ে সমস্যায় আলিপুরদুয়ারের মৃৎশিল্পীরা ৷

অসমের উপর নির্ভর করে ঋণ নিয়ে দুর্গাপ্রতিমা বানিয়ে বিপাকে পড়েছে আলিপুরদুয়ারের নোনাইপাড়, পালপাড়ার 40টি মৃৎশিল্পী পরিবার ৷ অসমের পুজো কমিটিগুলো থেকে পালপাড়ার কুমোরটুলি ফি-বছর গড়ে 25-30টি দুর্গা প্রতিমার বরাত পায় ৷ কিন্তু চলতি বছর নাগরিকপঞ্জির জেরে পালপাড়ার কুমোরটুলি বরাত পেয়েছে 8 থেকে 10টি প্রতিমার ৷

মৃৎশিল্পী মিত্র পাল জানান, "নাগরিকপঞ্জির জেরে অসমের পুজো কমিটিগুলোর থেকে এবার আমি একটিও প্রতিমার বরাত পাইনি ৷ প্রতি বছরই অসম থেকে 5-6টি প্রতিমার বরাত পেতাম ৷ অসমের পুজো কমিটিগুলো প্রতিমার ভালো দাম দেয় । লাভের মুখ দেখা যায় । চলতি বছর অসমের বরাত না পাওয়ার জেরে প্রতিমা তৈরির জন্য অনেক কম লোক রেখেছি ৷ "
আরেক শিল্পী গৌতম পাল জানান, " অসমের নাগরিকপঞ্জির জেরে এবার (আলিপুরদুয়ার জেলার) মৃৎশিল্পে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে ৷ অন্যান্য বছর অসম থেকে 8-10টি প্রতিমার বায়না পেতাম ৷ এবার মাত্র তিনটি প্রতিমার বরাত পেয়েছি ৷ অসমের ওপর নির্ভর করে যে প্রতিমাগুলো বানিয়েছিলাম সেগুলো কম দামে বিক্রি করে দিতে হচ্ছে । নতুন করে প্রতিমা বানানো হচ্ছে না ৷ "

আলিপুরদুয়ার 2 নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনুপ দাস বলেন, "এবার অসমে নাগরিকপঞ্জির জেরে পালপাড়ার কুমোরটুলিতে অসম থেকে তেমন বরাত না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন মৃৎশিল্পীরা । পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে শিল্পীদের আর্থিক সহযোগিতার জন্য আবেদন করা হবে ৷ "

আরও পড়ুন : আলিপুরদুয়ারে দুর্গাপুজোয় মাইক বাজবে না !

যদিও আলিপুরদুয়ার জেলা BJP-র সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, " গোটা এলাকাটিই তৃণমূল প্রভাবিত ৷ যেসব মৃৎশিল্পীরা দাবি করছেন অসম থেকে ঠাকুরের বরাত পাননি, তাঁরা তৃণমূলের ক্যাডার ৷ বিগত বছরগুলোতে তাদের কাছে অসম থেকে প্রতিমার যে বরাত এসেছিল তার কোনও প্রমাণ নেই ৷ "

দেখুন ভিডিয়ো

অসমে NRC প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, "দিদি দিল্লি গিয়ে NRC নিয়ে মোদিজি, অমিতজির সঙ্গে দেখা করলেন ৷ অথচ বাংলায় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে একটি কথাও বলছেন না ৷ আবার বাংলায় এসে NRC নিয়ে আন্দোলন করছেন ৷ তৃণমূলের এই দু-মুখো চরিত্র মানুষ বুঝে গেছে । অসম-বাংলা কেন, সারা দেশে NRC হলেও একজন হিন্দুর নাম তালিকা থেকে বাদ যাবে না ৷ আমরা সিটিজেন অ্যামেন্ডমেন্ট বিল (নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল) করে বাদ যাওয়া হিন্দুদের নাম তালিকাভুক্ত করব ৷ "

Intro:আলিপুরদুয়ার:-অসমের nrc এর জের পড়লো এ রাজ্যের মৃৎ শিল্পে। অসমে নাগরিক পঞ্জী প্রকাশের ফলে অসম থেকে এরাজ্যে দুর্গা প্রতিমার বরাত এক ধাক্কায় তলানিতে এসে ঠেকলো।


Body:অসমে নাগরিক পঞ্জী প্রকাশে এ রাজ্যের আলিপুরদুয়ার জেলার মৃৎ শিল্পীদের মাথায় হাত।অসমের উপর নির্ভর করে ঋনধার নিয়ে দূর্গা প্রতিমা বানিয়ে বিপাকে পড়েছে আলিপুরদুয়ার নোনাইপাড় ,পাল পাড়ার 40 টি মৃৎ শিল্পী পরিবার ।অসম সীমান্ত থেকে মাত্র 35 কিলোমিটার দূরে এই পাল পাড়ার কুমারটুলি থেকে ফি বছর গড়ে ২৫ থেকে ৩০ টি দুর্গা প্রতিমার বরাত মেলে অসমের পূজা কমিটি গুলো থেকে ।এবছর চুড়ান্ত নাগরিক পঞ্জীর জেরে মেরে কেটে মাত্র ৮-১০ টি মূর্তির বরাত এসেছে পাল পাড়ার কুমার টুলিতে ।তাতেই মুষড়ে পড়েছেন পাল পাড়ার মৃৎ শিল্পীরা । মৃৎ শিল্পী মিত্র পাল জানান নাগরিক পঞ্জীর জেরে অসমের থেকে একটি প্রতিমার বরাত জোটেনি ।অসমের পূজা কমিটি গুলো থেকে বরাত এলে মনের জোর পাই ।প্রতি বছরই অসম থেকে ৫-৬ টি প্রতিমার বরাত মিলতো ।অসমের পূজা কমিটি গুলো প্রতিমার ভালো দাম দেয় ।তাতেই লাভের মুখ দেখা যেত ।এবছর অসমের বরাত না পাওয়ার জেরে কারখানা থেকে কর্মী ছাটাই করেছি । পাল পাড়ার আরেক শিল্পী গৌতম পাল জানান অসমের নাগরিক পঞ্জীর প্রভাব এবার মৃৎ শিল্পে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে ।অন্যান্য বছর অসম থেকে ৮-১০ টা প্রতিমার অর্ডার পাওয়া যেত ।এবার মাত্র তিনটি প্রতিমার বরাত এসেছে ।অসমের ওপর নির্ভর করে যে প্রতিমা গুলো বানিয়ে ছিলাম সেগুলো এখন কম দামে বিক্রি করে দিচ্ছি ।নতুন করে প্রতিমা বানানো হচ্ছে না । আলিপুরদুয়ার ২ নম্বর ব্লকের পঞ্চয়েত সমিতির সভাপতি অনুপ দাস জানান এবার অসমে nrc এর জেরে পাল পাড়ার কুমারটুলি তে অসম থেকে তেমন বরাত মেলেনি ।বিপাকে পড়েছে মৃৎ শিল্পীরা ।পঞ্চায়েত সমিতির তরফ থেকে প্রশাসনের কাছে শিল্পীদের আর্থিক সহযোগিতার আবেদন করা হবে । আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপির সভাপতি গঙ্গা প্রসাদ শর্মা জানান ওই গোটা এলাকাটিই তৃণমূল প্রভাবিত ।যেই মৃৎ শিল্পীরা দাবি করছেন অসম থেকে তারা ঠাকুরের বরাত পাননি তারা তৃণমূলের ক্যাডার ।বিগত বছর গুলোতে তাদের কাছে অসম থেকে ঠাকুরের বরাত এসেছিলো তার কোন প্রমাণ নেই ।অসমের পূজো কমিটি গুলো অন্য জায়গাতেও ঠাকুরের বরাত দিতে পারে । অসম এন ,আর ,সি প্রসঙ্গে গঙ্গা প্রসাদ জানান দিদি দিল্লি গিয়ে এন,আর,সি নিয়ে মোদি জি ,অমিত জির সাথে দেখা করে বাংলার এন,আর,সি নিয়ে একটি কথাও বলছে না ।আবার বাংলায় এসে এন,আর,সি নিয়ে আন্দোলন করছে ।তৃণমূলের এই দোগলা চরিত্র মানুষ বুঝে গেছে ।


Conclusion:গঙ্গা প্রসাদ জানান এন,আর,সি নিয়ে কাউকে চিন্তা করতে হবে না ।অসম-বাংলা কেন সারা দেশে এন,আর,সি হলেও একজন হিন্দুর নাম বাদ যাবে না ।আমরা সিটিজেন আমেন্ডমেন্ট বিল (নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল) করে বাদ যাওয়া হিন্দুদের নাম তালিকা ভুক্ত করবো ।
Last Updated : Sep 20, 2019, 8:55 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.