ETV Bharat / state

স্ত্রীকে খুন করে মাটিতে পুঁতে টাইলস বসিয়েছিল স্বামী !

স্ত্রীকে খুনের সাজা মিলল সাত বছর পর ৷ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি জরিমানার সাজাও শোনাল দুর্গাপুর মহকুমা আদালত ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 2 hours ago

Updated : 2 hours ago

Durgapur News
আসামী হায়দারকে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ (ইটিভি ভারত)

দুর্গাপুর, 7 অক্টোবর: স্ত্রীকে খুন করে মেঝেতে পুঁতে টাইলস বসিয়েছিল স্বামী ৷ 7 বছর পর সোমবার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিল দুর্গাপুর মহকুমা আদালত ।

2017 সালের মে মাসের ঘটনা ৷ দুর্গাপুরের বেনাচিতির উত্তরপল্লীতে স্ত্রীকে সন্দেহের বশে খুন করে বাড়ির মেঝেতে পুঁতে কংক্রিটের দেওয়াল করে দিয়েছিল গুণধর স্বামী হায়দার আলি। পরে সে কথা পুলিশের কাছে স্বীকারও করেছিল অভিযুক্ত । দীর্ঘ 7 বছর ধরে মামলা চলার পর এদিন দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা বিচারক প্রশান্ত চৌধুরী অভিযুক্ত হায়দার আলিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং 10 হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন । অনাদায়ে আরও তিনমাসের জেল ৷

স্ত্রীকে খুনে যাবজ্জীবন (ইটিভি বারত)

অভিযোগকারীদের আইনজীবী তুষার বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, খুনের ঘটনাটি ঘটে 2017 সালের মে মাসে। বেনাচিতির তরুণ রায়ের বাড়িতে স্ত্রী রীনা বেগম ও ছেলেমেয়েদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া থাকতেন বীরভূম জেলার নানুরের বাসিন্দা হায়দার আলি ৷ পেশায় রাজমিস্ত্রী হায়দার এরই মাঝে একদিন ছেলেমেয়েদের শ্বশুর বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় ৷ তারপরই তিনি স্ত্রীকে খুন করে। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে স্ত্রী দশ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন বলে গল্প ফাঁদে হায়দার । পুলিশে অভিযোগ জানায় সে ।

কয়েকদিনের মধ্যেই মানসিক তাড়নায় হায়দার বাড়ির মালিক তরুণ রায়কে ফোনে জানায় সে স্ত্রীকে খুন করে মেঝেতে পুঁতে দিয়েছে । তরুণবাবু বিষয়টি দুর্গাপুর থানার পুলিশকে জানালে, তারা এসে মেঝের কংক্রিট ভেঙে রীনা বেগমের মৃতদেহ উদ্ধার করে। এরপর স্থানীয় সিটি সেন্টার বাসস্ট্যান্ড থেকে হায়দারকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর থেকেই মামলা চলছিল । সেই মামলায় এদিন দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের বিচারক শেখ হায়দার আলিকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং 10 হাজার টাকার জরিমানার নির্দেশ দেন । দুর্গাপুর মহাকুম আদালতের এই রায় খুশি অভিযোগকারীরা ।

দুর্গাপুর, 7 অক্টোবর: স্ত্রীকে খুন করে মেঝেতে পুঁতে টাইলস বসিয়েছিল স্বামী ৷ 7 বছর পর সোমবার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিল দুর্গাপুর মহকুমা আদালত ।

2017 সালের মে মাসের ঘটনা ৷ দুর্গাপুরের বেনাচিতির উত্তরপল্লীতে স্ত্রীকে সন্দেহের বশে খুন করে বাড়ির মেঝেতে পুঁতে কংক্রিটের দেওয়াল করে দিয়েছিল গুণধর স্বামী হায়দার আলি। পরে সে কথা পুলিশের কাছে স্বীকারও করেছিল অভিযুক্ত । দীর্ঘ 7 বছর ধরে মামলা চলার পর এদিন দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা বিচারক প্রশান্ত চৌধুরী অভিযুক্ত হায়দার আলিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং 10 হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন । অনাদায়ে আরও তিনমাসের জেল ৷

স্ত্রীকে খুনে যাবজ্জীবন (ইটিভি বারত)

অভিযোগকারীদের আইনজীবী তুষার বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, খুনের ঘটনাটি ঘটে 2017 সালের মে মাসে। বেনাচিতির তরুণ রায়ের বাড়িতে স্ত্রী রীনা বেগম ও ছেলেমেয়েদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া থাকতেন বীরভূম জেলার নানুরের বাসিন্দা হায়দার আলি ৷ পেশায় রাজমিস্ত্রী হায়দার এরই মাঝে একদিন ছেলেমেয়েদের শ্বশুর বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় ৷ তারপরই তিনি স্ত্রীকে খুন করে। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে স্ত্রী দশ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন বলে গল্প ফাঁদে হায়দার । পুলিশে অভিযোগ জানায় সে ।

কয়েকদিনের মধ্যেই মানসিক তাড়নায় হায়দার বাড়ির মালিক তরুণ রায়কে ফোনে জানায় সে স্ত্রীকে খুন করে মেঝেতে পুঁতে দিয়েছে । তরুণবাবু বিষয়টি দুর্গাপুর থানার পুলিশকে জানালে, তারা এসে মেঝের কংক্রিট ভেঙে রীনা বেগমের মৃতদেহ উদ্ধার করে। এরপর স্থানীয় সিটি সেন্টার বাসস্ট্যান্ড থেকে হায়দারকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর থেকেই মামলা চলছিল । সেই মামলায় এদিন দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের বিচারক শেখ হায়দার আলিকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং 10 হাজার টাকার জরিমানার নির্দেশ দেন । দুর্গাপুর মহাকুম আদালতের এই রায় খুশি অভিযোগকারীরা ।

Last Updated : 2 hours ago
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.