আসানসোল, 7 অক্টোবর: মুখ্যমন্ত্রী আবেদন করেছিলেন উৎসবে ফিরুন। কিন্তু সেই আবেদনে সাড়া না দিয়ে সরকারি অনুদান ফিরিয়ে দিয়ে অনাড়ম্বর ভাবে দুর্গাপুজো করে প্রতিবাদে সামিল হলেন বার্নপুরের মহিলারা।
আসানসোলের বার্নপুর শিল্প শহরের পুরানোহাট সর্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটি মহিলা দ্বারা পরিচালিত। 17 বছর ধরে জাঁকজমকের সঙ্গেই পুজো হয়ে আসছে। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সেই মহিলারাই এবার সরকারি অনুদান ফিরিয়ে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, প্রতি বছরই যেখানে জাঁকজমক করে বড় মণ্ডপ এবং দারুণ আলোকসজ্জা নিয়ে পুজো হত সেখানে এবার একেবারেই সাদামাটা আয়োজন।
স্বল্প আয়োজনে শুধুই মায়ের আরাধনাটুকু তাঁরা করবেন বলে জানিয়েছেন মহিলা পুজো উদ্যোক্তারা। কোনওরকম ঢাক কিংবা মাইকের অতিরিক্ত আওয়াজও তাঁরা এই বছর পুজোয় চাইছেন না। শুধু তাই নয়, পুজো চলাকালীন প্রতিদিনই মণ্ডপের আলো বন্ধ করে বেশ কিছুক্ষণ ধরে তারা মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানাবেন বলেও তাঁরা জানিয়েছেন ৷
এছাড়াও রয়েছে নির্যাতিতার বিচারের জন্য প্রার্থনা সভা। পুজো কমিটির সদস্য সবিতা মুখোপাধ্যায় বলেন, "একটি মেয়ের সঙ্গে এরকমভাবে নির্মম অত্যাচার হল। তাঁর বাড়িতে উৎসব নেই। আলো, প্রদীপ জ্বলবে না। আমরাও তো মা। আরও এক মায়ের কথা ভাবছি। কী করে জাঁকজমকপূর্ণ উৎসব করতে পারি? তাই আমরা প্রতিবাদে অনুদানের টাকা ফিরিয়ে দিয়েছি। তাতে আমাদের এলাকার মানুষজন খুশি হয়েছেন। একেবারেই অনাড়ম্বর ভাবে শুধু মায়ের আরাধনা দিয়েই এ বছর পুজো হবে।"
পুজো কমিটির সম্পাদক রাখি দত্ত বলেন, "আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদেই আমরা এবছর আমাদের পুজো একেবারেই অনাড়ম্বরভাবে করছি। অযথা ঢাক ও মাইক বাজাব না। প্রতিদিনই আমাদের প্রতিবাদ থাকবে। আলো বন্ধ করে আমরা মণ্ডপে প্রতিবাদ জানাব। মোমবাতি জ্বালিয়ে আমরা প্রার্থনা করব, নির্যাতিতার জন্য। আমরা সবাই চাইছি যত দ্রুত হোক নির্যাতিতার পরিবার বিচার পাক।"