আলিপুরদুয়ার, 31 অক্টোবর : চা বাগানের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য সুখবর ৷ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে 18টি চা বাগানের স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রথম কোরোনা প্রতিষেধক দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে ৷ ইতিমধ্যেই এই সমস্ত চা বাগান থেকে কর্মীদের নামের তালিকা রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে পাঠানো হয়েছে ৷ রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগে খুশি চা বলয়ের কর্মীরা ৷ রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে চা বলয়ের তামাম আদিবাসী মহল্লা ৷
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ড: গিরিশ চন্দ্র বেরা বলেন, " রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জেলার বিভিন্ন চা বাগানে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত মানুষের একটি তালিকা তৈরি করে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল । 30 অক্টোবর সেই তালিকা পাঠানোর শেষ দিন ছিল । আমরা চূড়ান্ত তালিকা পাঠিয়েছি । চা বলয় ছাড়াও জেলার সরকারি, বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সকলের একটি তালিকা পাঠানো হচ্ছে ।" ধীরে ধীরে সমাজের সকল স্তরের মানুষের জন্য কোরোনা ভ্যাকসিনের তালিকা তৈরি করা হবে বলেও জানান তিনি ।
আলিপুরদুয়ার জেলায় এই মুহূর্তে সব মিলিয়ে 63 টি চা বাগান রয়েছে । তার মধ্যে মাত্র 18 টি চা বাগান থেকে কোরোনার ভ্যাকসিনের জন্য তালিকা পাঠানো হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে । বাকি বাগানগুলি তাদের তালিকা এখনও পাঠায়নি । তবে, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে খুব দ্রুত এই তালিকা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । আলিপুরদুয়ার দুই ব্লকের মাঝেরডাবরি চা বাগান থেকে মোট 14 জন স্বাস্থ্যকর্মীর নামের তালিকা দেওয়া হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে । বাকি অন্য 17 টি বাগানের থেকে গড়ে 10জনের নামের তালিকা প্রদান করা হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে ।
মাঝেরডাবরি চা বাগানের ম্যানেজার চিন্ময় ধর বলেন, "এই বিষয়টি রাজ্য সরকারের খুব বড় উদ্যোগ । কারণ চা বলয়ের রুরাল এলাকার স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা বিনা প্রোটেকশনেই কেরোনার চিকিৎসা করে গেছেন । অনেকেই সংক্রমণের ভয়ে বাড়ি ফিরতে পারেননি । তাঁদের ভ্যাকসিন দেওয়া হলে চা বলয়ের মানুষরা বাঁচবেন ।" চা বাগানের এক চিকিৎসক বলেন, "আমাদের প্রথম ভ্যাকসিন দেওয়া হলে আমরা রেহাই পাব । অনেকদিন বাড়ির মানুষদের সাথে যোগাযোগ করা হয় না ।"