আলিপুরদুয়ার, 15 অগাস্ট : জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের টোল প্লাজায় ভাঙচুর করার অভিযোগে ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের । কুমারগ্রাম থানার অন্তর্গত কামাক্ষ্যাগুড়ি ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । অভিযোগ পত্রে কুমারগ্রাম ব্লকের তৃণমূল নেতাদের নাম রয়েছে বলে খবর ।
এদিকে এই ঘটনার পরে আলিপুরদুয়ার জেলাপরিষদের সভাধিপতি শীলা দাস সরকারকে, বারোবিশা পার্টি অফিসে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে । শীলা দাস সরকারের বিরুদ্ধে টোল প্লাজার ভাঙচুরকারীদের নাম বলে দেওয়ার অভিযোগ তুলে হেনস্থা করা হয় । এদিকে শীলা দাস সরকার বলেন, " আমি কিছুই জানি না। কিন্তু আমাকে হেনস্থা করা হয়েছে । গালিগালাজ করা হয়েছে। আমি শীর্ষ নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়েছি। "
আলিপুরদুয়ারের মহাকাল চৌপথি ও কামাক্ষ্যাগুড়ির মাঝে গুয়াবাড়ি টোল প্লাজাতে বুধবার রাতে দশরথ তিরকের গাড়ি আটকায় টোল প্লাজার কর্মীরা। সেই সময় তাঁর সঙ্গে থাকা একজন আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে প্লাজার কর্মীদের ভয় দেখান বলে অভিযোগ । বুধবার সকালে টোল প্লাজা ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। সেই দিন থেকেই বন্ধ রয়েছে টোল প্লাজা ।
টোল প্লাজার সুপারভাইজ়ার অভিযোগ করেন, "বুধবার রাতে দশরথ তিরকের গাড়ি টোল প্লাজা অতিক্রম করার সময় দায়িত্বে থাকা কর্মী তাঁর কাছে টোল ট্যাক্স দাবি করেন, তাতেই তিনি ক্ষেপে যান । এরপর আমাদের কর্মীদের ওপর চড়াও হন তিনি। তাঁর সাথে থাকা একজন আমাদের কর্মীদের আগ্নেয়াস্ত্র বের করে হুমকি দেন । এর পর বৃহস্পতিবার দশরথ তিরকে তাঁর অনুগামী নিয়ে এসে টোল প্লাজাতে ভাঙচুর চালায়। "
দশরথ তিরকে বলেন , " বুধবার রাতে আমার গাড়ি আটকে গালিগালাজ করছিল টোলের কর্মীরা । আমার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা টোলে ভাঙচুর করেছে বলে শুনেছি। আমি ভাঙচুরের সাঙ্গে জড়িত নই। আমি চেষ্টা করেছিলাম যাতে এমন ঘটনা না ঘটে ।"
এদিকে আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার আমিতাভ মাইতি বলেন, "ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে । খতিয়ে দেখা হচ্ছে ঘটনার সঙ্গে কারা কারা যুক্ত ।"