আলিপুরদুয়ার, ৬ মার্চ : পাখির চোখ ২০১৯ লোকসভা নির্বাচন। চা বাগান অধ্যুষিত আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের বার্ষিক বাজেটের বরাদ্দ বাড়ল ১০ শতাংশ। এছাড়াও জেলার উন্নয়নের জন্য বাড়তি ফান্ড চাওয়া হবে রাজ্যের কাছে। তবে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত জেলা পরিষদের সভানেত্রী শিলা দাস সরকার বলেন, এটা নতুন জেলা। জেলার উন্নয়নের পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্যই বাড়ানো হয়েছে ২০১৯-২০ এর বরাদ্দ।
২০১৮-১৯ আর্থিকবর্ষে জেলা পরিষদের বাজেট ছিল ১৮২ কোটি ৮ লাখ টাকা। সেখানে ২০১৯-২০ আর্থিকবর্ষে এক ধাক্কায় বাজেটের বরাদ্দ বেড়েছে ১৯ কোটি টাকা। পরবর্তী আর্থিকবর্ষের জন্য বরাদ্দ বাজেটের পরিমাণ ২০১ কোটি ২৯ লাখ টাকা। বাজেটে জোর দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, খাদ্য, পূর্ত দপ্তরে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ হয়েছে পূর্ত দপ্তরের জন্য ১০৮ কোটি টাকা। জনস্বাস্থ্য দপ্তরের জন্য ৩৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চা বলয়ে পানীয় জলের সমস্যায় জেরবার সাধারণ মানুষ। লঙ্কাপাড়া, হান্টাপাড়া, রামঝোড়া, তুলসীপাড়া, বান্দাপানি, ঢেকলাপাড়া, মুজনাই, রহিমাবাদ, চুয়াপাড়াসহ সমস্ত বাগানেই পানীয় জলের আকাল। বর্তমান সরকার ৮ বছরেও ওই পানীয় জল সমস্যার সমাধান করতে পারেনি। বিরোধীদের অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনের আগে এই খাতে বিপুল পরিমাণ বরাদ্দ বাড়িয়ে পানীয় জলের সমস্যার সমাধান করে আদিবাসী ভোটারদের মন জয় করতে উদ্যোগ নিয়েছে জেলা পরিষদ। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোট থেকে শুরু করে ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রায় সবগুলো নির্বাচনেই চা বলয়ের ভোট চিন্তায় রেখেছে শাসকদলকে। তাই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে জেলা পরিষদের বাজেট বাড়িয়ে চা বলয়ের ভোট নিজেদের অনুকূলে রাখতে মরিয়া শাসকদল তৃণমূল।
জেলা কংগ্রেস সভাপতি গজেন বর্মণ বলেন, এটা নির্বাচনী চমক। তাঁর কথায়, "এই বাজেট বাড়িয়ে চা বলয়ের ভোট দখল করতে চাইছে তৃণমূল সরকার।" BJP-র জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, "এতদিন চা বলয়ের সমস্যার সমাধান হয়নি। পানীয় জলের অভাবে হাহাকার শুরু হয়েছে চা বলয়ে। সেখানে পানীয় জলের বদলে ভোট চাইছে। নিন্দার বিষয়।"