আলিপুরদুয়ার, 19 জুন : দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা পর্যালোচনার বৈঠকে গরহাজির থাকলেন আলিপুরদুয়ার পৌরসভার 9 জন বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর। যা নিয়ে আলিপুরদুয়ার শহরের রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে । মঙ্গলবার কলকাতায় রাজ্যের ১২৫টি পৌরসভার দলীয় কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন মমতা । বৈঠকে রাজ্যের পৌর এলাকাগুলিতে দলের খারাপ ফলাফলের কারণ নিয়ে পর্যালোচনা হয় ।
আলিপুরদুয়ার পৌরসভার ২০ জন কাউন্সিলরের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের ১৬ জন । 4 জন কাউন্সিলর বামফ্রন্টের । কিন্তু দলনেত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে 16 জনের মধ্যে মাত্র 7 জন বিদায়ী কাউন্সিলর গতকাল কলকাতার বৈঠকে হাজির ছিলেন । গরহাজির ছিলেন খোদ পৌরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান আশিস দত্ত সহ মোট ৯ জন ।
রাজ্যের ১২৫ টি পৌরসভার মধ্যে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ফল সবচেয়ে খারাপ হয়েছে আলিপুরদুয়ারে । এই পৌরসভার ২০ টি ওয়ার্ডের কোনওটিতেই লিড পায়নি তৃণমূল কংগ্রেস । ২০ টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র ২ টি বুথে নামমাত্র ব্যবধানে লিড পেয়েছে তৃণমূল । কিন্তু পৌর এলাকায় সার্বিক ফলাফলে দেখা গেছে BJP-র প্রাপ্ত ভোট ২৬,৩২৭ এবং তৃণমূলের ১২,৪৪০ ।
২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর পৌরসভার মেয়াদ শেষ হয় । কিন্তু তারপর আর নির্বাচন হয়নি । পৌরসভায় প্রশাসক হিসেবে বসানো হয়েছে মহকুমা শাসক কৃষ্ণাভ ঘোষকে । যাঁরা বৈঠকে যোগ দেননি তাঁরা কি BJP-তে যোগ দিচ্ছেন ? আশিসবাবু বলেন, "আমি লোকসভা নির্বাচনের পর রাজনৈতিক সন্ন্যাস নিয়েছি । তাই যাওয়ার প্রশ্ন নেই । ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মধুমিতা কর বলেন, "ট্রেনের টিকিট পাইনি, তাই যেতে পারিনি ।" ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গৌতম তালুকদার বলেন, "আমার পেটে ব্যথা তাই যেতে পারিনি ।" ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবকান্ত বড়ুয়া বলেন, "মেয়ের পড়াশোনার জন্য যেতে পারিনি ।" তবে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা তৃণমূলের টাউন ব্লক সভাপতি দীপ্ত চ্যাটার্জি বলেন, "আমরা 7 জন বৈঠকে যোগ দিয়েছি । তবে বাকি 9 জন বিভিন্ন কারণে আসতে পারেননি । তবে যাঁরা আসেননি তাঁদের BJP-তে যোগ দেবেন বলে যে জল্পনা চলছে, তা অমূলক । "