ETV Bharat / sports

Tokyo Paralympics 2020 : অপেক্ষা করেও দেখা পাননি মুখ্যমন্ত্রীর, পদকের ছটায় অবহেলা মুছতে চান সাকিনা

বসিরহাটের সাকিনার খেলোয়াড়ি জীবনের শুরুটা হয়েছিল সাঁতার দিয়ে ৷ সেখানেও সাফল্য পেয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন কমনওয়েলথ গেমসের শিবিরে । কিন্তু শেষ পর্যন্ত দরজা খোলেনি ৷

Tokyo Paralympics 2020
Tokyo Paralympics 2020
author img

By

Published : Aug 19, 2021, 6:13 PM IST

কলকাতা, 19 অগস্ট : কমনওয়েলথ গেমসে পদক জয়ী একমাত্র মহিলা প্যারাঅ্যাথলিট কে জানেন ? তাঁর নাম সাকিনা খাতুন ৷ উত্তর 24 পরগনার বসিরহাটের মেয়ে ৷ 2014 সালের গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসে পাওয়ারলিফটিংয়ে ব্রোঞ্জ ইতিহাস গড়েন সাকিনা ৷ যদিও তাঁর এই উত্থানে বাংলার কোনও অবদান নেই ৷ বাংলার অবহেলায় চলে গিয়েছিলেন কর্নাটকে ৷ তা সত্ত্বেও বাংলার মেয়ে সাকিনা গ্লাসগো থেকে পদক নিয়ে সোজা বাংলায় এসেছিলেন ৷ দেখা করতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ৷ কিন্তু অপেক্ষা করেও মেলেনি সুযোগ ৷ ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রের সাবাসি পেলেও আর্থিক পুরস্কারের অঙ্কটা ছিল কম ৷ তাই সেই অর্থ নেননি ৷

সেই সাকিনাই এবার টোকিয়ো প্যারালিম্পিকসের মঞ্চে ৷ বসিরহাট থেকে ভায়া কর্নাটক হয়ে টোকিয়োতে পা ৷ সাকিনার এই উত্থান আদতে নারীশক্তির জয়গানের গল্প । ইতিমধ্যে কমনওয়েলথ গেমস, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ, এশীয় চ্যাম্পিয়নশিপে পদক নিয়ে আসা তরুণী এবার টোকিয়ো প্যারালিম্পিকসের পোডিয়ামকে বুলস আই করেছেন । সূর্যোদয়ের দেশে ইতিমধ্যে সামার অলিম্পিকে ভারতীয় দল সবচেয়ে বেশি পদক পেয়ে নতুন ইতিহাস গড়েছে । মীরাবাই চানুর রূপকথা শেষ হয়েছে নীরজ চোপড়ার সোনালি আলোয় । প্রায় সামার অলিম্পিকসের গা ঘেঁষাঘেঁষি করে শুরু হচ্ছে প্যারালিম্পিকস ।

মীরাবাই চানুর সাফল্য থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে টোকিয়ো থেকে পদক জয়ের লক্ষ্যে নেমেছেন বাঙালি তরুণী সাকিনা খাতুন । দুই বেলা অনুশীলন করছেন । পাওয়ার লিফটিংয়ের 50 কেজি বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৷ "কমনওয়েলথ গেমস, প্যারা এশিয়ান গেমস, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে পদক পেয়েছি । এবার অন্য লড়াই," কর্নাটক থেকে বলছিলেন সাকিনা । সাকিনার উত্তরণের গল্পটা সত্যিই অনুপ্রেরণার । কৃষক পরিবারের মেয়ে । দারিদ্র্য এবং অসচেতনতা নিত্যসঙ্গী । দুফোঁটা পোলিওর ভ্যাকসিন এখন মারণ রোগটিকে দেশ থেকে প্রায় মুছে দিয়েছে । তারই মধ্যে ইতিউতি পোলিওর শিকারের গল্প প্রশাসনকে নড়িয়ে দেয় । সাকিনার পরিবার সেই সময় পোলিওর টিকাকরণের বিষয়ে জানতই না । ঠিক করে চলাফেরা করতে পারতেন না ৷ চারবার অস্ত্রোপচার হয়েছে । তাতেও কাজ হয়নি । তবে সাফল্য পাওয়ার জন্য মানসিক জোরের ভূমিকা অনস্বীকার্য । আর সেটাই সাকিনার উত্তরণের নেপথ্য কাহিনী ।

প্যারালিম্পিকসে অংশ নিতে চলেছেন বাংলার পাওয়ারলিফটার সাকিনা খাতুন

আরও পড়ুন : Afghan Para-athlete: কাবুল থেকে বেরোনোর পথ নেই, ছারখার জাকিয়ার প্যারালিম্পিকসের স্বপ্ন

বসিরহাটের সাকিনার খেলোয়াড়ি জীবনের শুরুটা হয়েছিল সাঁতার দিয়ে ৷ সেখানেও সাফল্য পেয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন কমনওয়েলথ গেমসের শিবিরে । কিন্তু শেষ পর্যন্ত দরজা খোলেনি । হতাশ হয়ে পড়েছিলেন । ছেড়ে দিয়েছিলেন সবকিছু । কিন্তু সেই সময় তাঁকে চাঙ্গা করে তোলেন সাঁতারের বন্ধুরা, স্থানীয় শিক্ষক, বসিরহাট মঠের স্বামীজি । সাকিনার কথায়, "জিমে আমি অনায়াসে ওজন তুলতে পারতাম । ওই সময় বন্ধুদের মাধ্যমে কোচ ফারমান বাশার সঙ্গে দেখা হয়েছিল । তিনি বলেছিলেন পরে যোগাযোগ করতে । এই সময় বসিরহাটের দিলীপ মজুমদার আমাকে সাহায্য করেছিলেন । 2010 সালে বাশা স্যারের কাছে আসার পরে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি ।"

শুধু আর্থিক নয়, সমাজের গঞ্জনার মুখেও পড়তে হয়েছে সাকিনাকে ৷ কমনওয়েলথ গেমসের আগে চারবছর ধরে গ্রামছাড়া ছিলেন ৷ তাই গ্রামের লোকেরা ভাবত কারও হাত ধরে পালিয়ে গিয়েছেন তিনি ৷ পরিবারকে গঞ্জনার মুখে পড়তে হয়েছিল । সাকিনা বলছেন, "মা কাঁদত । মুখ বুজে সহ্য করত ৷ কিন্তু আমাকে কোনওদিন বলেনি । তারপর গ্লাসগোর সাফল্যের পরে যারা অপবাদ দিয়েছিল তারা ভুল স্বীকার করেছিল । অভিনন্দনে ভরিয়ে দিয়েছিল ৷’’ বসিরহাটের মঠের জ্ঞান মহারাজের সাহায্যের কথা ভুলতে পারেননি পাওয়ারলিফটার সাকিনা । কর্নাটকের বাড়িতে বসেও তাঁকে ঘিরে শ্রদ্ধা তাঁর গলায় । দিলীপ মজুমদার, মহারাজ বাবা, বাশা স্যারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ সাকিনার ।

আরও পড়ুন : Tokyo Paralympics 2020 : শুরু হচ্ছে প্যারালিম্পিকস, পদক জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপাবেন দেবেন্দ্র-সাকিনারা

পদক জিতেও বাংলা থেকে জুটেছে অবহেলা । পদক নিয়ে এসেও মেলেনি সমাদর । তবুও নিজেকে বাংলার মেয়ে বলে পরিচয় দেন সাকিনা । নিজের উত্থানে কর্নাটক সরকারের কৃতিত্ব রয়েছে বলে জোর গলায় দাবি করেন । বললেন, "2014 সালে কমনওয়েলথ গেমসে পদক পাওয়ার পরে গিয়েছিলাম কলকাতায় । সেই সময়ের ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র সাবাসি দিলেও অর্থ পুরস্কারের সময় সুখেন মণ্ডলকে দিল পাঁচ লাখ টাকা । আর আমাকে এক লাখ টাকা দেবে বলেছিল । আমার স্যার ওই টাকা নিতে বারণ করেন । কর্নাটক সরকার আমাকে দশ লাখ টাকা দিয়েছে । যাবতীয় সুযোগ সুবিধা এখানেই পেয়েছি । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম । অপেক্ষা করেও সুযোগ মেলেনি । এখন আমি তো বাংলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করি না । কর্নাটকের হয়ে খেলি । তবে কোনও অভিযোগ নেই আমার ।"

আপাতত পিছনে ফিরে তাকাতে নারাজ বছর বত্রিশের তরুণী । টোকিয়ো অলিম্পিকসের মঞ্চে ভারতীয় নারীশক্তির যে জয়গান চানু, সিন্ধু, লভলিনারা করে এসেছেন তা আরও ছড়িয়ে দিতে চান সাকিনা । সূর্যোদয়ের দেশে গল্প লিখতে চান বসিরহাটের কৃষক পরিবারের তরুণী ।

কলকাতা, 19 অগস্ট : কমনওয়েলথ গেমসে পদক জয়ী একমাত্র মহিলা প্যারাঅ্যাথলিট কে জানেন ? তাঁর নাম সাকিনা খাতুন ৷ উত্তর 24 পরগনার বসিরহাটের মেয়ে ৷ 2014 সালের গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসে পাওয়ারলিফটিংয়ে ব্রোঞ্জ ইতিহাস গড়েন সাকিনা ৷ যদিও তাঁর এই উত্থানে বাংলার কোনও অবদান নেই ৷ বাংলার অবহেলায় চলে গিয়েছিলেন কর্নাটকে ৷ তা সত্ত্বেও বাংলার মেয়ে সাকিনা গ্লাসগো থেকে পদক নিয়ে সোজা বাংলায় এসেছিলেন ৷ দেখা করতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ৷ কিন্তু অপেক্ষা করেও মেলেনি সুযোগ ৷ ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রের সাবাসি পেলেও আর্থিক পুরস্কারের অঙ্কটা ছিল কম ৷ তাই সেই অর্থ নেননি ৷

সেই সাকিনাই এবার টোকিয়ো প্যারালিম্পিকসের মঞ্চে ৷ বসিরহাট থেকে ভায়া কর্নাটক হয়ে টোকিয়োতে পা ৷ সাকিনার এই উত্থান আদতে নারীশক্তির জয়গানের গল্প । ইতিমধ্যে কমনওয়েলথ গেমস, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ, এশীয় চ্যাম্পিয়নশিপে পদক নিয়ে আসা তরুণী এবার টোকিয়ো প্যারালিম্পিকসের পোডিয়ামকে বুলস আই করেছেন । সূর্যোদয়ের দেশে ইতিমধ্যে সামার অলিম্পিকে ভারতীয় দল সবচেয়ে বেশি পদক পেয়ে নতুন ইতিহাস গড়েছে । মীরাবাই চানুর রূপকথা শেষ হয়েছে নীরজ চোপড়ার সোনালি আলোয় । প্রায় সামার অলিম্পিকসের গা ঘেঁষাঘেঁষি করে শুরু হচ্ছে প্যারালিম্পিকস ।

মীরাবাই চানুর সাফল্য থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে টোকিয়ো থেকে পদক জয়ের লক্ষ্যে নেমেছেন বাঙালি তরুণী সাকিনা খাতুন । দুই বেলা অনুশীলন করছেন । পাওয়ার লিফটিংয়ের 50 কেজি বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৷ "কমনওয়েলথ গেমস, প্যারা এশিয়ান গেমস, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে পদক পেয়েছি । এবার অন্য লড়াই," কর্নাটক থেকে বলছিলেন সাকিনা । সাকিনার উত্তরণের গল্পটা সত্যিই অনুপ্রেরণার । কৃষক পরিবারের মেয়ে । দারিদ্র্য এবং অসচেতনতা নিত্যসঙ্গী । দুফোঁটা পোলিওর ভ্যাকসিন এখন মারণ রোগটিকে দেশ থেকে প্রায় মুছে দিয়েছে । তারই মধ্যে ইতিউতি পোলিওর শিকারের গল্প প্রশাসনকে নড়িয়ে দেয় । সাকিনার পরিবার সেই সময় পোলিওর টিকাকরণের বিষয়ে জানতই না । ঠিক করে চলাফেরা করতে পারতেন না ৷ চারবার অস্ত্রোপচার হয়েছে । তাতেও কাজ হয়নি । তবে সাফল্য পাওয়ার জন্য মানসিক জোরের ভূমিকা অনস্বীকার্য । আর সেটাই সাকিনার উত্তরণের নেপথ্য কাহিনী ।

প্যারালিম্পিকসে অংশ নিতে চলেছেন বাংলার পাওয়ারলিফটার সাকিনা খাতুন

আরও পড়ুন : Afghan Para-athlete: কাবুল থেকে বেরোনোর পথ নেই, ছারখার জাকিয়ার প্যারালিম্পিকসের স্বপ্ন

বসিরহাটের সাকিনার খেলোয়াড়ি জীবনের শুরুটা হয়েছিল সাঁতার দিয়ে ৷ সেখানেও সাফল্য পেয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন কমনওয়েলথ গেমসের শিবিরে । কিন্তু শেষ পর্যন্ত দরজা খোলেনি । হতাশ হয়ে পড়েছিলেন । ছেড়ে দিয়েছিলেন সবকিছু । কিন্তু সেই সময় তাঁকে চাঙ্গা করে তোলেন সাঁতারের বন্ধুরা, স্থানীয় শিক্ষক, বসিরহাট মঠের স্বামীজি । সাকিনার কথায়, "জিমে আমি অনায়াসে ওজন তুলতে পারতাম । ওই সময় বন্ধুদের মাধ্যমে কোচ ফারমান বাশার সঙ্গে দেখা হয়েছিল । তিনি বলেছিলেন পরে যোগাযোগ করতে । এই সময় বসিরহাটের দিলীপ মজুমদার আমাকে সাহায্য করেছিলেন । 2010 সালে বাশা স্যারের কাছে আসার পরে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি ।"

শুধু আর্থিক নয়, সমাজের গঞ্জনার মুখেও পড়তে হয়েছে সাকিনাকে ৷ কমনওয়েলথ গেমসের আগে চারবছর ধরে গ্রামছাড়া ছিলেন ৷ তাই গ্রামের লোকেরা ভাবত কারও হাত ধরে পালিয়ে গিয়েছেন তিনি ৷ পরিবারকে গঞ্জনার মুখে পড়তে হয়েছিল । সাকিনা বলছেন, "মা কাঁদত । মুখ বুজে সহ্য করত ৷ কিন্তু আমাকে কোনওদিন বলেনি । তারপর গ্লাসগোর সাফল্যের পরে যারা অপবাদ দিয়েছিল তারা ভুল স্বীকার করেছিল । অভিনন্দনে ভরিয়ে দিয়েছিল ৷’’ বসিরহাটের মঠের জ্ঞান মহারাজের সাহায্যের কথা ভুলতে পারেননি পাওয়ারলিফটার সাকিনা । কর্নাটকের বাড়িতে বসেও তাঁকে ঘিরে শ্রদ্ধা তাঁর গলায় । দিলীপ মজুমদার, মহারাজ বাবা, বাশা স্যারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ সাকিনার ।

আরও পড়ুন : Tokyo Paralympics 2020 : শুরু হচ্ছে প্যারালিম্পিকস, পদক জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপাবেন দেবেন্দ্র-সাকিনারা

পদক জিতেও বাংলা থেকে জুটেছে অবহেলা । পদক নিয়ে এসেও মেলেনি সমাদর । তবুও নিজেকে বাংলার মেয়ে বলে পরিচয় দেন সাকিনা । নিজের উত্থানে কর্নাটক সরকারের কৃতিত্ব রয়েছে বলে জোর গলায় দাবি করেন । বললেন, "2014 সালে কমনওয়েলথ গেমসে পদক পাওয়ার পরে গিয়েছিলাম কলকাতায় । সেই সময়ের ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র সাবাসি দিলেও অর্থ পুরস্কারের সময় সুখেন মণ্ডলকে দিল পাঁচ লাখ টাকা । আর আমাকে এক লাখ টাকা দেবে বলেছিল । আমার স্যার ওই টাকা নিতে বারণ করেন । কর্নাটক সরকার আমাকে দশ লাখ টাকা দিয়েছে । যাবতীয় সুযোগ সুবিধা এখানেই পেয়েছি । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম । অপেক্ষা করেও সুযোগ মেলেনি । এখন আমি তো বাংলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করি না । কর্নাটকের হয়ে খেলি । তবে কোনও অভিযোগ নেই আমার ।"

আপাতত পিছনে ফিরে তাকাতে নারাজ বছর বত্রিশের তরুণী । টোকিয়ো অলিম্পিকসের মঞ্চে ভারতীয় নারীশক্তির যে জয়গান চানু, সিন্ধু, লভলিনারা করে এসেছেন তা আরও ছড়িয়ে দিতে চান সাকিনা । সূর্যোদয়ের দেশে গল্প লিখতে চান বসিরহাটের কৃষক পরিবারের তরুণী ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.