কলকাতা, ৯ জুন: করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সম্মেলিত লড়াই এবং সচেতনতা বৃদ্ধির মধ্যে দিয়ে সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী । করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ সামলে এখনও স্বাভাবিক হয়নি । ফলে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে সব কিছু । যার প্রভাব পড়ছে ক্রীড়া জগতেও । টোকিও অলিম্পিকের জন্য যোগ্যতা অর্জনকারীরা অনুশীলনে ব্যস্ত থাকলেও বাকি ক্রীড়াবিদদের ছবিটা অন্ধকারে । কলকাতা ময়দানে বল না গড়ানোয় লিগ হচ্ছে না । ফলে নথিভুক্ত ছয়হাজার ফুটবলার তাদের জীবন নিয়ে আশঙ্কিত । অন্য খেলার ছবিটাও উজ্বল নয় । বাংলার অ্যাথলেটিক্স জগত পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে চিন্তায় ।
রাজ্য অ্যাথলেটিক্স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব কমল মৈত্র বাংলার অ্যাথলিটদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত । বিশেষ করে বয়স ভিত্তিক বিভাগের অ্যাথলিটদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত । কারণ রাজ্য পর্যায়ের মিটের সাফল্য অ্যাথলিটদের চাকরি পাওয়া এবং জাতীয় পর্যায়ে সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করে । কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে জাতীয় পর্যায়ের কোনও মিট হচ্ছে না । পূর্বাঞ্চলীয় মিটের কোনও খবর নেই । তার থেকেও বড় কথা,অ্যাথলিটদের মাঠে নামার সুযোগ নেই । বিধিনিষেধের গেরোয় তাদের কার্যত ঘরবন্দী থাকতে হচ্ছে । ফলে ফিটনেস বজায় রাখাই কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাদের পক্ষে ।
আরও পড়ুন:Tokyo Olympics: ভারতীয় অ্যাথলিটদের পোশাকে থাকবে না কোনও ব্র্যান্ডের নাম
রাজ্য অ্যাথলেটিক্স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব কমল মৈত্র বলছেন, আমরা সাধারণত জুন-জুলাই মাসে রাজ্য অ্যাথলেটিক্স মিট করে থাকি । বাংলার 1400-এর বেশি অ্যাথলিট অংশ নিয়ে থাকেন । এবার এই অবস্থায় করা সম্ভব হচ্ছে না । গতবছরও অতিমারির কারণে রাজ্য অ্যাথলেটিক্স মিট হয়নি । তাহলে কি এই বছরও রাজ্য মিট হবে না? হবে না এখনই বলব না । তবে যে সময় হয়ে থাকে সেই সময় করা সম্ভব হচ্ছে না । এখন সব কিছু বন্ধ । মাঠে নামার, স্টেডিয়াম খোলার অনুমতি নেই । এই অবস্থায় রাজ্য মিট করা সম্ভব নয় । তবে আমরা চেষ্টা করব নভেম্বর-ডিসেম্বরে বা আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে মিট আয়োজনের । তাই রাজ্য অ্যাথলেটিক্স মিট অনিশ্চিত বলা যেতেই পারে ।