কলকাতা, 2 সেপ্টেম্বর: শনিবার বিকেলেই ডুরান্ড কমিটির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল বড় ম্যাচের টিকিট 'সোল্ড আউট' ৷ দুই ক্লাবে তো বটেই, ফ্যান গ্রুপগুলোতে টিকিটের হাহাকারের মধ্যে আয়োজকদের ঘোষণায় হতবাক বনে যান সদস্য-সমর্থকেরা ৷ 48 ঘণ্টা আগে ডুরান্ড ফাইনালের সব টিকিট কীভাবে বিক্রি হতে পারে, ভেবে পাচ্ছিলেন না কেউই ৷ তাই ডুরান্ড আয়োজক কমিটির ঘোষণা সত্ত্বেও ভোর থেকে ডার্বির একটা টিকিটের আশায় দুই ক্লাবের ফটকের সামনে ভিড় জমাতে শুরু করেন সমর্থকেরা ৷ দিনের আলো ফুটতেই সেই লাইন ছাড়িয়ে যায় কয়েক কিলোমিটার ৷
এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল ৷ কিন্তু ঝামেলাটা অন্য জায়গায় ৷ ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়ানোর পরেও টিকিট না-মিলতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন দু'দলের অনুরাগীরা ৷ সবমিলিয়ে শনিবার সকালে ডার্বির টিকিট ঘিরে অন্যরকম বিক্ষোভের সাক্ষী রইল কলকাতার রাজপথ। ডুরান্ড আয়োজকরা 'সোল্ড আউট' বললেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল দুই ক্লাব থেকে ৷ আশ্বাসমতো এদিন সকালে দুই ক্লাবের কাউন্টারে লাইন দিয়েছিলেন হাজারো সমর্থক ৷ কিন্তু আচমকাই জানানো হয় টিকিট শেষ। খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। টিকিট পাওয়া যাবে বুঝতে না-পেরে ইস্ট-মোহন সমর্থকরা একজোট হয়ে ইডেনের সামনের রাস্তা অবরোধ করেন। খেলার টিকিটের জন্য রাস্তা অবরোধের ছবি ময়দানে সম্ভবত এই প্রথম।
আরও পড়ুন: 'হেভিওয়েট হলেই ডার্বি জেতা যায় না', বলছেন সুব্রত; বাগানকে এগিয়ে রাখছেন দীপেন্দু-নবি
যা স্বাভাবিকভাবেই আরও পারদ চড়িয়ে দেই এই ম্যাচের ৷ গ্রুপের ম্যাচে টিকিট বণ্টন ঘিরেও অসন্তোষ ছিল ৷ যে কারণে ম্যাচ বয়কট করেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা ৷ ফাইনালের আগে সেই অসন্তোষ যেন দ্বিগুণ ৷ সবার একটাই প্রশ্ন, বাষট্টি হাজার টিকিট গেল কোথায়? কত টিকিট ছাড়া হয়েছে, ডুরান্ড কমিটি তার কোনও হিসেব দেয়নি। শোনা যাচ্ছে যুযুধান দুই ক্লাব 10 হাজার করে টিকিট কিনে নিয়েছে। রাজ্য সরকার ডুরান্ড কাপের সহযোগী স্পনসর। তাহলে সরকারের তরফ থেকে কি বড় সংখ্যায় টিকিট তুলে নেওয়ায় বঞ্চিত সাধারণ মানুষ? প্রশ্ন উঠছে ৷ এরই মধ্যে চলছে কালোবাজারিও ৷ পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খেল ঘোড়সওয়ার পুলিশও ৷ সবমিলিয়ে রবিবাসরীয় ডুরান্ড ফাইনাল মনে করাচ্ছে '97-এর ডায়মন্ড ম্যাচকে ৷