কলকাতা, 22 ফেব্রুয়ারি: সন্তোষ ট্রফিতে সবার শেষে বাংলা ৷ রঞ্জি ট্রফিতে রানার্স-আপ ৷ ফুটবল-ক্রিকেটে সেরার মুকুটের দৌড়ে পিছিয়ে বাংলা। ব্যর্থতার কারণ নিয়ে কাঁটা ছেড়া চলছে দু’দিকেই ৷ সেসবের মধ্যেই ফুটবল এবং ক্রিকেটে বাংলার ব্যর্থতা নিয়ে সরব হলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ৷ নাম না-করে সিএবি এবং আইএফএ কর্তাদের সমালোচনা ক্রীড়ামন্ত্রীর ৷ রঞ্জি ট্রফি এবং সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার ব্যর্থতায় বিরক্ত মন্ত্রীর অভিযোগ, ফুটবল ও ক্রিকেটে দল বাছাইয়ে যোগ্যতার চেয়ে কোটাতন্ত্রকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে (Aroop Biswas Blames Quota System) ৷
মঙ্গলবার ভাষা দিবসে মোহনবাগান ক্লাবে স্পোর্টস লাইব্রেরি উদ্বোধন হল ৷ সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের খেলাধুলার সামগ্রিক মানোন্নয়ন নিয়ে কথা বলেন অরূপ বিশ্বাস ৷ সেই সময়ই সিএবি এবং আইএফএ কর্তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী ৷ বিশেষত, রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে বাংলার পারফর্মেন্সে নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন অরূপ বিশ্বাস ৷
রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, "33 বছর পর আমাদের সামনে রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ ছিল ৷ আমরা সবাই ইডেনে গিয়ে ক্রিকেটারদের উদ্বুদ্ধ করেছিলাম ৷ কিন্তু, বাংলা হেরে গিয়েছে ৷ পরে শুনলাম, এই মরসুমে রঞ্জিতে বাংলা দলে নাকি সাত জন ওপেনারকে খেলানো হয়েছে ৷ আরও অবাককাণ্ড, ফাইনালে এমন এক ওপেনারকে খেলানো হল, যার ক্লাব স্তরে কোনও ভাল পারফরম্যান্স নেই ৷ কোটার প্লেয়ার ৷ এই সব শুনলে খারাপ লাগে, দুঃখ হয় ৷"
বাংলা ফুটবল দল নিয়েও আক্ষেপ প্রকাশ করলেন অরূপ বিশ্বাস ৷ আক্ষেপের সঙ্গে জানালেন, 'সব খেলার সেরা বাঙালির ফুটবল' প্রবাদ এখন অস্তাচলে যেতে বসেছে ৷ ফুটবল বাঙালির গর্ব ৷ কিন্তু, সন্তোষ ট্রফিতে বাংলা সবার শেষে ৷ এরপরই ফুটবলার বাছাই নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি ৷ জানালেন, তিনি শুনেছেন হাতেগোনা কয়েকটি ক্লাব থেকে ফুটবলার নিয়ে বাংলার দল গঠন করা হয়েছিল ৷ তাঁর প্রশ্ন, এখানেও কোটার প্লেয়ার ? প্রশ্ন তুললেন, গতবছর যে ফুটবলার বাংলাকে ফাইনালে তুলেছিলেন, তিনি কেন বাদ পড়লেন ?
আরও পড়ুন: টেনিস তাঁর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ হলে সবকিছু নয়, জানালেন সানিয়া
এমনকী সৃঞ্জয় বসুও এনিয়ে কটাক্ষ করেছে ৷ বললেন, "শুনলাম রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে বাংলা শিবির তুকতাকে বিশ্বাস রেখে দল গড়েছিল ৷" তবে, সৃঞ্জয়ের এই কটাক্ষের পিছনে অন্য কারণ রয়েছে বলে মনে করছে ময়দান ৷ কারণ, ভবানীপুর ক্লাবের শীর্ষ পদে রয়েছেন তিনি ৷ আর সেই ক্লাবের দুই ক্রিকেটার কৌশিক ঘোষ এবং অভিষেক রামন বাংলার হয়ে এই মরশুমে রঞ্জির শুরুতে খেলেছিলেবন ৷ কিন্তু, কৌশিক ঘোষ এবং অভিষেক রামনকে ফাইনালের জন্য ভাবেনি টিম ম্যানেজমেন্ট ৷ তাঁদের বদলে মাঠে নামা বড়িশা ক্লাবের সুমন্ত গুপ্ত ও ইস্টবেঙ্গলের আকাশ ঘটকের পারফর্মেন্স খুবই খারাপ ছিল