ETV Bharat / sports

ইনডোর স্টেডিয়াম এখন সরকারি গুদাম, বন্ধ খেলা - VVPAT

1 বছর ধরে বন্ধ অনুশীলন ৷ স্টেডিয়াম থাকলেও অনুশীলন করতে না পেরে হতাশ মালদা জেলার খেলোয়াড়রা । মালদার সত্য চৌধুরি ইনডোর স্টেডিয়াম এখন পরিণত হয়েছে সরকারি গুদামে ।

মালদা
author img

By

Published : Sep 9, 2019, 8:30 PM IST

Updated : Sep 9, 2019, 9:54 PM IST

মালদা, 9 সেপ্টেম্বর : স্টেডিয়াম এখন EVM ও VVPAT রাখার গুদাম ৷ 1 বছর ধরে বন্ধ অনুশীলন ৷ স্টেডিয়াম থাকলেও অনুশীলন করতে না পেরে হতাশ মালদা জেলার খেলোয়াড়রা । খেলোয়াড়দের ভবিষ্যৎ গড়ার জায়গা এখন পরিণত হয়েছে সরকারি গুদামে । জেলায় ইনডোর স্টেডিয়াম একটাই । সেটি সত্য চৌধুরি ইন্ডোর স্টেডিয়াম । সেই স্টেডিয়াম এখন দখল করে নিয়েছে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর । যেটুকু ফাঁকা জায়গা ছিল, তাও এখন ব্যবহার হয় জেলা প্রশাসনের গোডাউন হিসাবে । বিষয়টি স্বীকার করেছেন খোদ জেলাশাসকও ।

ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ব্যাডমিন্টন প্রশিক্ষণ দিয়েছেন উত্তীয় বড়াল । তিনি বলেন, "গত এক বছর ধরে স্টেডিয়াম বন্ধ হয়ে রয়েছে । এক বছর আগে 120 থেকে 140 জন ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় এখানে প্রশিক্ষণ নিত । তাদের মধ্যে কয়েকজন প্রতিভাবান খেলোয়াড়ও ছিল । তাদের মধ্যে একজন জাতীয় স্তরে ভালো ফল করেছে । এই স্টেডিয়াম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে তাদের অন্য জায়গায় পাঠাতে হয় । এই স্টেডিয়াম পুরোপুরি চালু করার জন্য অনেকের সঙ্গেই দেখা করেছি । কিন্তু কোনও লাভ হয়নি । আমরা চাই, স্টেডিয়ামকে খেলার জন্যই ব্যবহার করা হোক।"

জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য নিজেও গোটা ঘটনা স্বীকার করে নিয়েছেন । তিনি বলেন , "সত্য চৌধুরি ইনডোর স্টেডিয়াম খেলাধুলার জন্যই তৈরি করা হয়েছিল । তা নিয়ে কোনও প্রশ্নই নেই । বেশ কয়েক বছর ধরে সেখানে একাধিক সরকারি দপ্তর চলছে । সেখানে VVPAT ওয়্যারহাউজ় করা হয়েছে । আমরা সেই ওয়্যারহাউজ় সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি । অন্য জায়গায় ওয়্যারহাউজ় তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে । এ ছাড়া সরকারি দপ্তরগুলিও অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে । EVM ও VVPAT রাখায় ব্যাডমিন্টন কোর্টের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে ৷ আমরা পূর্ত দপ্তরকে আপাতত সেই ফ্লোর ঠিক করার দায়িত্ব দিয়েছি । পরবর্তীতে গোটা ফ্লোরটাই পালটে দেওয়া হবে।"

জেলা ক্রীড়া সংস্থার সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ । 1996 সালে মালদা শহরে একটি ইনডোর স্টেডিয়াম নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । সেই স্টেডিয়াম নির্মাণে উদ্যোগ নেন রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রী শৈলেন সরকার । বিভিন্ন উপায়ে স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছিল । জেলা ক্রীড়া সংস্থার স্টেডিয়ামের পাশে স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ শুরু হয় । 2001 সালের 22 ডিসেম্বর উত্তরবঙ্গের প্রথম ইনডোর স্টেডিয়ামটির উদ্বোধন করেন তৎকালীন ক্রীড়ামন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী । উদ্বোধনের পর এই স্টেডিয়ামে রাজ্যস্তরের ব্যাডমিন্টন ও টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতা হয়েছে । হয়েছে সরকারি ক্রীড়া প্রতিযোগিতাও পরবর্তী সময়ে এই স্টেডিয়ামে একাধিক সরকারি দপ্তর খোলা হয় । খোলা হয় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টও ৷ 2013 সালে সেই স্টেডিয়াম নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় জেলা প্রশাসন । বর্তমানে EVM রাখার গুদামে পরিণত হয়েছে সেই স্টেডিয়াম ।

ভিডিয়োয় দেখুন
জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রাক্তন সম্পাদক শুভাশিস সরকার বলেন, "আমিও বিষয়টি শুনেছি । জেলা প্রশাসন স্টেডিয়াম নিজেদের হাতে নেওয়ার পর প্রথমদিকে সেখানে তাও খেলাধুলো হত । কিন্তু বছরখানেক ধরে সেখানে খেলাধুলা সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে । এটা খুব দুঃখজনক ঘটনা । "

সংস্থার বর্তমান সম্পাদক শুভেন্দুনারায়ণ চৌধুরি বলেন,"এই ইনডোর স্টেডিয়াম যাতে খেলার জন্যই রাখা হয় তা নিয়ে আমি জেলাশাসকের উপর ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করে চলেছি । জেলাশাসককে বারবার বলেছি, ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস সহ অন্যান্য ইনডোর গেমসের জন্য স্টেডিয়াম আমাদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হোক । তা না হলে মালদার খেলাধুলো অকালে নষ্ট হয়ে যাবে । ছেলেমেয়েদের উদ্যমও নষ্ট হয়ে যাবে । কিন্তু জেলাশাসক স্টেডিয়ামটি আমাদের হাতে ফিরিয়ে দেননি । EVM আর VVPAT রেখে ইতিমধ্যেই স্টেডিয়ামের ফ্লোর নষ্ট হয়ে গেছে । এই ফ্লোর পুরোপুরি পালটে ফেলতে হবে । তার জন্য সম্প্রতি পূর্ত দপ্তর ফ্লোর পরিদর্শন করেছে । তারা এস্টিমেট করে জানিয়েছে, এই ফ্লোর পাল্টাতে প্রায় 26 লক্ষ টাকা খরচ হবে ৷ "

মালদা, 9 সেপ্টেম্বর : স্টেডিয়াম এখন EVM ও VVPAT রাখার গুদাম ৷ 1 বছর ধরে বন্ধ অনুশীলন ৷ স্টেডিয়াম থাকলেও অনুশীলন করতে না পেরে হতাশ মালদা জেলার খেলোয়াড়রা । খেলোয়াড়দের ভবিষ্যৎ গড়ার জায়গা এখন পরিণত হয়েছে সরকারি গুদামে । জেলায় ইনডোর স্টেডিয়াম একটাই । সেটি সত্য চৌধুরি ইন্ডোর স্টেডিয়াম । সেই স্টেডিয়াম এখন দখল করে নিয়েছে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর । যেটুকু ফাঁকা জায়গা ছিল, তাও এখন ব্যবহার হয় জেলা প্রশাসনের গোডাউন হিসাবে । বিষয়টি স্বীকার করেছেন খোদ জেলাশাসকও ।

ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ব্যাডমিন্টন প্রশিক্ষণ দিয়েছেন উত্তীয় বড়াল । তিনি বলেন, "গত এক বছর ধরে স্টেডিয়াম বন্ধ হয়ে রয়েছে । এক বছর আগে 120 থেকে 140 জন ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় এখানে প্রশিক্ষণ নিত । তাদের মধ্যে কয়েকজন প্রতিভাবান খেলোয়াড়ও ছিল । তাদের মধ্যে একজন জাতীয় স্তরে ভালো ফল করেছে । এই স্টেডিয়াম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে তাদের অন্য জায়গায় পাঠাতে হয় । এই স্টেডিয়াম পুরোপুরি চালু করার জন্য অনেকের সঙ্গেই দেখা করেছি । কিন্তু কোনও লাভ হয়নি । আমরা চাই, স্টেডিয়ামকে খেলার জন্যই ব্যবহার করা হোক।"

জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য নিজেও গোটা ঘটনা স্বীকার করে নিয়েছেন । তিনি বলেন , "সত্য চৌধুরি ইনডোর স্টেডিয়াম খেলাধুলার জন্যই তৈরি করা হয়েছিল । তা নিয়ে কোনও প্রশ্নই নেই । বেশ কয়েক বছর ধরে সেখানে একাধিক সরকারি দপ্তর চলছে । সেখানে VVPAT ওয়্যারহাউজ় করা হয়েছে । আমরা সেই ওয়্যারহাউজ় সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি । অন্য জায়গায় ওয়্যারহাউজ় তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে । এ ছাড়া সরকারি দপ্তরগুলিও অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে । EVM ও VVPAT রাখায় ব্যাডমিন্টন কোর্টের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে ৷ আমরা পূর্ত দপ্তরকে আপাতত সেই ফ্লোর ঠিক করার দায়িত্ব দিয়েছি । পরবর্তীতে গোটা ফ্লোরটাই পালটে দেওয়া হবে।"

জেলা ক্রীড়া সংস্থার সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ । 1996 সালে মালদা শহরে একটি ইনডোর স্টেডিয়াম নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । সেই স্টেডিয়াম নির্মাণে উদ্যোগ নেন রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রী শৈলেন সরকার । বিভিন্ন উপায়ে স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছিল । জেলা ক্রীড়া সংস্থার স্টেডিয়ামের পাশে স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ শুরু হয় । 2001 সালের 22 ডিসেম্বর উত্তরবঙ্গের প্রথম ইনডোর স্টেডিয়ামটির উদ্বোধন করেন তৎকালীন ক্রীড়ামন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী । উদ্বোধনের পর এই স্টেডিয়ামে রাজ্যস্তরের ব্যাডমিন্টন ও টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতা হয়েছে । হয়েছে সরকারি ক্রীড়া প্রতিযোগিতাও পরবর্তী সময়ে এই স্টেডিয়ামে একাধিক সরকারি দপ্তর খোলা হয় । খোলা হয় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টও ৷ 2013 সালে সেই স্টেডিয়াম নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় জেলা প্রশাসন । বর্তমানে EVM রাখার গুদামে পরিণত হয়েছে সেই স্টেডিয়াম ।

ভিডিয়োয় দেখুন
জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রাক্তন সম্পাদক শুভাশিস সরকার বলেন, "আমিও বিষয়টি শুনেছি । জেলা প্রশাসন স্টেডিয়াম নিজেদের হাতে নেওয়ার পর প্রথমদিকে সেখানে তাও খেলাধুলো হত । কিন্তু বছরখানেক ধরে সেখানে খেলাধুলা সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে । এটা খুব দুঃখজনক ঘটনা । "

সংস্থার বর্তমান সম্পাদক শুভেন্দুনারায়ণ চৌধুরি বলেন,"এই ইনডোর স্টেডিয়াম যাতে খেলার জন্যই রাখা হয় তা নিয়ে আমি জেলাশাসকের উপর ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করে চলেছি । জেলাশাসককে বারবার বলেছি, ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস সহ অন্যান্য ইনডোর গেমসের জন্য স্টেডিয়াম আমাদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হোক । তা না হলে মালদার খেলাধুলো অকালে নষ্ট হয়ে যাবে । ছেলেমেয়েদের উদ্যমও নষ্ট হয়ে যাবে । কিন্তু জেলাশাসক স্টেডিয়ামটি আমাদের হাতে ফিরিয়ে দেননি । EVM আর VVPAT রেখে ইতিমধ্যেই স্টেডিয়ামের ফ্লোর নষ্ট হয়ে গেছে । এই ফ্লোর পুরোপুরি পালটে ফেলতে হবে । তার জন্য সম্প্রতি পূর্ত দপ্তর ফ্লোর পরিদর্শন করেছে । তারা এস্টিমেট করে জানিয়েছে, এই ফ্লোর পাল্টাতে প্রায় 26 লক্ষ টাকা খরচ হবে ৷ "

Intro:মালদা, 09 সেপ্টেম্বর : আন্তর্জাতিক স্তরে এখন পিভি সিন্ধু, কামলেশ মেহতা কিংবা মৌমা দাসদের নাম কারোর অজানা নয়। অথচ তাঁদের মঞ্চে পা রাখার যোগ্যতা থাকলেও অনুশীলন থেকে বঞ্চিত হয়ে হতাশায় ভুগছেন মালদা জেলার খেলোয়াড়রা। খেলোয়াড়দের ভবিষ্যৎ গড়ার জায়গা এখন পরিণত হয়েছে সরকারি গুদামে। জেলার একমাত্র ইনডোর স্টেডিয়াম এখন দখল করে নিয়েছে আদালত সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর। যেটুকু ফাঁকা জায়গা রয়েছে, তা এখন ব্যবহার হয় জেলা প্রশাসনের গোডাউন হিসাবে। বিষয়টি মেনে নিয়েছেন খোদ জেলাশাসকও। তিনি এনিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
গত 4 বছর ধরে এই স্টেডিয়াম ক্ষুদে ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ দেন উত্তীয় বড়াল। তিনি বলেন, "গত এক বছর ধরে স্টেডিয়াম বন্ধ হয়ে রয়েছে। এখনও সেটা খোলার কোনও সম্ভাবনা দেখছি না। সেই সময় 120 থেকে 140 জন ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় এখানে প্রশিক্ষণ নিত। তাদের মধ্যে কয়েকজন প্রতিভাবান খেলোয়াড়ও ছিল। তাদের মধ্যে একজন জাতীয় স্তরে ভালো ফল করেছে। কিন্তু এখন ক'জন খেলার মধ্যে রয়েছে তা জানি না। এই স্টেডিয়াম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে তাদের অন্য জায়গায় পাঠাতে হয়। খেলাকে নিজের ভবিষ্যৎ হিসাবে গড়ে তোলার জন্য এখন এখানে কোনও পরিকাঠামো নেই। এই স্টেডিয়াম পুরোপুরি চালু করার জন্য অনেকের সঙ্গেই দেখা করেছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। আমরা চাই, স্টেডিয়ামকে খেলার জন্যই ব্যবহার করা হোক।"
জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য নিজেও গোটা ঘটনা করে নিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, "সত্য চৌধুরি ইনডোর স্টেডিয়াম খেলাধুলার জন্যই তৈরি করা হয়েছিল। তা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। বেশ কয়েক বছর ধরে সেখানে একাধিক সরকারি দপ্তর চলছে। সেখানে ভিভিপ্যাট ওয়্যারহাউজ করা হয়েছিল। আমরা সেই ওয়ারহাউজ সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি। ইতিমধ্যে ব্যাডমিন্টন কোর্ট থেকে ইভিএম ও ভিভিপ্যাটগুলি স্টেডিয়ামের অন্য জায়গায় আমরা সরিয়ে নিয়েছি। এর জন্য অন্য জায়গায় ওয়ারহাউজ তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে। আমরা সেখানকার ঘরগুলিও খেলোয়াড়দের জন্য খালি করার চেষ্টা করছি। সরকারি দপ্তরগুলি অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে একটি দপ্তর সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ইভিএম রাখায় ফ্লোরের কিছুটা ক্ষতি তো হয়েছেই। আমরা পূর্ত দপ্তরকে সেই ফ্লোর ঠিক করার দায়িত্ব দিয়েছি। তার এস্টিমেট হয়ে গেছে। পরবর্তীতে গোটা ফ্লোরটাই পালটে দেওয়া হবে।"


Body:জেলা ক্রীড়া সংস্থার সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষে, 1996 সালে মালদা শহরে একটি ইনডোর স্টেডিয়াম নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই স্টেডিয়াম নির্মাণে উদ্যোগ নেন রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রী শৈলেন সরকার। বিভিন্ন উপায়ে স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছিল। অবশেষে জেলা ক্রীড়া সংস্থার স্টেডিয়ামের পাশে একটি সরকারি জায়গায় সেই স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। 2001 সালের 22 ডিসেম্বর উত্তরবঙ্গের প্রথম ইনডোর স্টেডিয়ামটির উদ্বোধন করেন তৎকালীন ক্রীড়ামন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী। উদ্বোধনের পর এই স্টেডিয়ামে রাজ্যস্তরের ব্যাডমিন্টন ও টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতা হয়েছে। হয়েছে সরকারি ক্রীড়া প্রতিযোগিতাও। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এই স্টেডিয়ামে একাধিক সরকারি দপ্তর খোলা হয়। খোলা হয় ফাস্ট ট্রাক কোর্টও। 2013 সালে সেই স্টেডিয়াম নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় জেলা প্রশাসন। বর্তমানে ইভিএম রাখার গুদামে পরিণত হয়েছে সেই স্টেডিয়াম।
এপ্রসঙ্গে জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রাক্তন সম্পাদক শুভাশিস সরকার বলেন, "আমিও বিষয়টি শুনেছি। জেলা প্রশাসন স্টেডিয়াম নিজেদের হাতে নেওয়ার পর প্রথমদিকে সেখানে খেলাধুলো অনিয়মিত ছিল। কিন্তু বছরখানেক ধরে সেখানে খেলাধুলা সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এটা খুব দুঃখজনক ঘটনা। ইনডোর গেমসে মালদা জেলার একটা ভালো ভবিষ্যৎ রয়েছে। রাজ্যস্তরের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায় সাব-জুনিয়র ও জুনিয়র বিভাগে মালদার ছেলেমেয়েরা চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ হয়েছে। টেবিল টেনিসেও মালদার ভালো সাফল্য ছিল। সেই সাফল্য ধরে রাখার জন্যই আমরা ইনডোর স্টেডিয়ামটি তৈরি করেছিলাম। কিন্তু এখন সেটিতেভোটের ইভিএম রাখা হচ্ছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।" সংস্থার বর্তমান সম্পাদক শুভেন্দুনারায়ণ চৌধুরি জানাচ্ছেন, "এই ইনডোর স্টেডিয়াম যাতে খেলার জন্যই রাখা হয় তা নিয়ে আমি জেলাশাসকের উপর চাপ সৃষ্টি করে চলেছি। এর আগেও জেলাশাসককে বারবার বলেছি, ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস সহ অন্যান্য ইনডোর গেমসের জন্য স্টেডিয়ামটি আমাদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। তা না হলে মালদার খেলাধুলো অকালে নষ্ট হয়ে যাবে। ছেলেমেয়েদের উদ্যমও নষ্ট হয়ে যাবে। কিন্তু কোনও কারণে জেলাশাসক স্টেডিয়ামটি আমাদের হাতে ফিরিয়ে দেননি। গত বৈঠকে জেলাশাসক বলেছেন, আপাতত স্টেডিয়ামটিকে আমাদের হাতে তুলে দেবেন। কিন্তু আমরা তাঁকে জানিয়ে দিই, খেলাধুলো চালিয়ে যেতে গেলে স্টেডিয়ামটিকে পুরোপুরি আমাদের হাতে তুলে দিতে হবে। ইভিএম রাখার জন্য ইতিমধ্যে স্টেডিয়ামের ফ্লোর নষ্ট হয়ে গেছে। এই ফ্লোর পুরোপুরি পালটে ফেলতে হবে। তার জন্য সম্প্রতি পূর্ত দপ্তর ফ্লোর পরিদর্শন করেছে। তারা এস্টিমেট করে জানিয়েছে, এই ফ্লোর পাল্টাতে প্রায় 26 লক্ষ টাকা খরচ হবে। প্রশাসনই এই টাকা দেবে।"



Conclusion:নির্বাচন জাতীয় ইস্যু। এনিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। সরকারি কাজকর্ম পরিচালনার জন্য দপ্তরও থাকতে হবে। কিন্তু এসবের জন্য কি খেলোয়াড়দের ভবিষ্যৎ নিয়েই খেলতে হবে? প্রশ্ন তা নিয়েই।
Last Updated : Sep 9, 2019, 9:54 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.