দোহা, 26 নভেম্বর: নেদারল্যান্ড বনাম ইকুয়েডর ম্যাচ ড্র হওয়ার সঙ্গেই আয়োজক দেশ কাতার বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল। একই সঙ্গে গ্রুপ এ থেকে পরের পর্বে যাওয়ার অঙ্কটা জমে গেল। 2টি করে ম্যাচ খেলে নেদারল্যান্ডস এবং ইকুয়েডরের পয়েন্ট চার। সমসংখ্যক ম্যাচে সেনেগালের পয়েন্ট তিন। কারণ তারা আয়োজক কাতারের বিরুদ্ধে শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রথম জয় পেয়েছে। গ্রুপের শেষ ম্যাচে জিতলেই নেদারল্যান্ডস এবং ইকুয়েডরের সামনে পরের রাউন্ডে যাওয়ার সুযোগ মিলবে (Both the teams may qualify for the next round by wining their last match)। সেক্ষেত্রে গ্রুপ শীর্ষে থেকে কোন দল শেষ করবে তা ঠিক হবে গোল পার্থক্যে । বর্তমানে দুটো দলের গোল পার্থক্য সমান ।
সবমিলিয়ে ইকুয়েডর বনাম সেনেগাল এবং নেদারল্যান্ডস বনাম কাতার ম্যাচটি ফুটবল প্রেমীদের কাছে আকর্ষনীয় হতে চলেছে। সেনেগাল যদি ইকুয়েডরকে হারায় এবং নেদারল্যান্ডসও যদি পরাজিত তাহলে সেনেগালের সামনে পরের পর্বের দরজা খুলে যেতে পারে। প্রথম ম্যাচে সেনেগালের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নেয় নেদারল্যান্ডস। আর তাই বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করেছিলেন ইকুয়েডরকেও সহজেই হারাতে পারবে ডাচরা । কিন্তু খেলায় একবার পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা সামলে ইকুয়েডর শেষমেশ রুখেই দিল ডাচদের। ম্যাচের ফল 1-1। 6 মিনিটের মাথায় গাপকোর গোলে এগিয়ে গিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। প্রথম ম্যাচের পরে দ্বিতীয় ম্যাচেও গোল পেলেন ডাচ ফুটবলারটি। এই সময় মনে হয়েছিল টোটাল ফুটবলের বুদ্ধিদীপ্ত প্রয়োগ আরও ভালোভাবে দেখা যাবে। কিন্তু পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা সরিয়ে পালটা দিতে থাকে ইকুয়েডর। তাদের একটি গোল অফসাইডে বাতিল হয় বিরতির আগে। এছাড়াও দ্বিতীয়ার্ধে একটি শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। শেষ পর্যন্ত 49 মিনিটে অধিনায়ক ইনার ভ্যালেন্সিয়া ইকুয়েডরকে সমতায় ফেরান। এরপর দুই দল আক্রমণ এবং প্রতিআক্রমণে ম্যাচের রাশ দখলে নেওয়ার চেষ্টা করলেও তা ফলপ্রসু হয়নি। গোলের সুযোগও সেভাবে তৈরি হয়নি ।
এদিকে, প্রথম ম্যাচে ইরানের বিরুদ্ধে গোল উৎসবের পরের ম্যাচেই আটকে গেল ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ম্যাচে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করল ব্রিটিশরা । গ্রুপ বি এর এই ম্যাচে হ্যারিরকেন, সাকা,ফডেনদের বিরুদ্ধে কুকড়ে না থেকে প্রথম থেকে দাপিয়ে খেলতে থাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর তাই একাধিকবার গোলের দরজাও তারা প্রায় খুলে ফেলেছিল । বিশেষ করে বিরতির আগে মাত্র একটি ছাড়া বাকি সময় ইংল্যান্ড কোনও গোলমুখী শট নিতে পারেনি। উলটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্তত তিনবার গোল করার মতো জায়গায় পৌঁছে যায় । যদিও কাজের কাজ হয়নি । বিরতির পরে তেড়েফুড়ে শুরু করলেও ইংল্যান্ড মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাই প্রেসিং ফুটবলের সামনে আটকে যায়। বরং প্রতি আক্রমণে এসে তারা ইংল্যান্ডকেই সমস্যায় ফেলে দিয়েছিল। ড্রয়ের ফলে শেষ ম্যাচের গ্যারেথ বেলের ওয়েলসের বিরুদ্ধে ম্যাচটি কঠিন হয়ে গেল ইংল্যান্ডের। পরের পর্বে যেতে হলে পয়েন্ট হারালে চলবে না।
আরও পড়ুন: শঙ্কা বাড়ছে, গ্রুপ পর্বে নেইমারকে ছাড়াই খেলবে ব্রাজিল ?