কলকাতা, 8 অক্টোবর: সুযোগ নষ্ট করলে ম্যাচ বের করা প্রায় অসম্ভব। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের বিরুদ্ধে যদি কোনও দল সুযোগের সামান্য অপব্যবহার করে তাহলে তার জন্য পরাজয়ই বরাদ্দ। সে কথা আবারও প্রমাণিত হল। শনিবার ঘরের মাঠে চেন্নাইয়িন এফসি মুখোমুখি হয়েছিল সবুজ মেরুনের। দিনের শেষে ম্যাচের ফল জুয়ান ফেরান্দোর ছেলেদের পক্ষে, 3-1। দিমিত্রি পেত্রাতোস, জেসন কামিন্স এবং সাহাল আব্দুল সামাদের গোল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের পক্ষে। চেন্নাইয়িন এফসির পক্ষে গোল ক্রিভালোরোর। এই জয়ের ফলে তিন ম্যাচে 9 পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে চলে গেল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। তিন ম্যাচে চেন্নাইয়িনের বরাদ্দ শুধুই পরাজয়।
আইএসএলে প্রথমবার অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে গিয়ে জয়ের অভ্যাস বজায় রাখা চ্যালেঞ্জ বলেছিলেন জুয়ান ফেরান্দো। সবুজ-মেরুন কোচ তার দলের নৈপুণ্যতা, শারীরিক ফিটনেস ছাপিয়ে মানসিক ক্লান্তির কথা বলেন। কিন্তু তার দল কোনও এক অদৃশ্য বলে সব ছাপিয়ে প্রতিপক্ষের উপর স্টিমরোলার চালানোকে অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছে। এই মরশুমে 13টি ম্যাচ খেলে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট 12টিতে জয়ী। ট্রফি সংখ্যা এক। চেন্নাইয়ে এখন ক্রিকেট বিশ্বকাপের আসর বসেছে। ফুটবলের সৌরভ সেখানে ছড়িয়ে পড়া মুশকিল। তবুও যে কজন ফুটবল ভক্ত উপস্থিত ছিলেন তাঁরা দারুণ কিছু মুহূর্তের সাক্ষী রইলেন।
প্রথম 20 মিনিট ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষকে ভাঙার চেষ্টা করেছিল চেন্নাইয়িন। কিন্তু গোলমুখে ব্যর্থতা সেই চেষ্টাকে সাফল্যে পরিণত হতে দেয়নি। প্রতিপক্ষের এই রক্ষণ সামলে আক্রমণ হানার ছক মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের সামনে অচিরেই ভেঙে পড়ল। 22 মিনিটে সামাদের নৈপুণ্যের হদিশ পেতে ব্যর্থ চেন্নাইয়িন রক্ষণ। ডানদিক থেকে তাঁর বাড়ানো বল ধরেই ম্যাচে গোলের খাতা খুলে ফেললেন পেত্রাতোস। এরপর চেন্নাইয়িন আক্রমণ হানলেও তা আনোয়ার, হামিলদের বিব্রত করার পক্ষে যথেষ্ট ছিল না।
সামাদের শট চেন্নাইয়িনের এক ফুটবলারের গায়ে লেগে কামিন্সের কাছে পৌঁছলে তিনি গোল করতে ভুল করেননি। বিরতির পরে চেন্নাইয়িন মরিয়া হয়ে ওঠে। 55 মিনিটে ক্রিভেলারোর গোলে ব্যবধান কমায় তারা। কিন্তু ফের প্রতিপক্ষকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের তৃতীয় গোল। 56 মিনিটে সামাদের মাপা পাস ধরে দলের ব্যবধান বাড়ান মনবীর সিং। প্রথমবার সামাদ পুরো সময় মাঠে ছিলেন। গোল করেননি। তবে গোলের পথ তৈরি করে তিনিই নায়ক।
আরও পড়ুন: চেন্নাইয়িনকে সমীহ করলেও জয়ের অভ্যাস ধরে রাখাই চ্যালেঞ্জ বাগান কোচের