নয়াদিল্লি, 1 জুন: রাজধানীর গণ্ডি ছাড়িয়ে নিজেদের আন্দোলনকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কুস্তিগীররা ৷ সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়া, ভিনেশ ফোগতদের আন্দোলনের সঙ্গী হয়েছে কিষাণ মোর্চা ৷ এবার ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের রাজ্যেই বড়সড় কর্মসূচি নিলেন আন্দোলনকারীরা ৷ যন্তর মন্তর, নয়া সংসদ ভবনের সামনে, ইন্ডিয়া গেটের পর প্রতিবাদস্থল বদল হল কুস্তিগীরদের ৷ আজ ভিনেশ-সাক্ষী-বজরংরা উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরের সোরাম গ্রামে তাঁদের আন্দোলন করবেন ৷ তাঁদের নয়া সংসদ ভবনের সামনে, ইন্ডিয়া গেটে কুস্তিগীরদের বসতে দেওয়া হয়নি ৷
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার, সন্ধ্যা 6টায় হরিদ্বারের গঙ্গায় আন্তর্জাতিক এবং অলিম্পিক পদক ভাসিয়ে দিতে যান কুস্তিগীর সাক্ষী মালিক, ভিনেশ ফোগতরা। কিন্তু, তাঁদের এই চরম পদক্ষেপ না-নেওয়ার আহ্বান জানান কৃষক ও রাজনৈতিক নেতারা। কৃষক নেতা নরেশ টিকায়েতের হস্তক্ষেপে সাক্ষী, ভিনেশরা সেদিনের মতো গঙ্গাপাড় থেকে উঠে এলেও, যৌন হেনস্তায় অভিযুক্ত ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদ ব্রিজ ভূষণ সিংকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলনে অনড় তাঁরা। এই ইস্যুতে কেন্দ্রকে পাঁচদিনের সময়সীমা দিয়েছেন আন্দোলনরত কুস্তিগীররা। এর মধ্যে ব্রিজভূষণ শরণ সিংকে গ্রেফতারির আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: কুস্তিগীরদের আমরণ অনশনে 'না', কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হল ইন্ডিয়া গেট
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার, মোদি সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগরে এক বিবৃতিতে কুস্তিগীররা বলেন, "আপনারা সবাই দেখেছেন 28 মে, রবিবার কী হয়েছিল ৷ পুলিশ আমাদের সঙ্গে কেমন আচরণ করেছে? কীভাবে আমাদের টেনে হিঁচড়ে আটক করা হয়েছিল। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলাম। আমাদের আন্দোলনের জায়গাটাও পুলিশ ভাংচুর করে ৷ পরদিন আমাদের বিরুদ্ধে গুরুতর মামলায় এফআইআর দায়ের করা হয় দিল্লি পুলিশের তরফে। পুলিশ ও প্রশাসন আমাদের সঙ্গে অপরাধীর মতো আচরণ করছে। যেখানে অভিযুক্তরা প্রকাশ্য সভা-সমাবেশে আমাদের গালাগাল করছে।" কুস্তিগীরদের প্রতি পুলিশের আচরণ নিয়ে সরব আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স কমিটিও। কড়া বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, কুস্তিগীরদের প্রতি পুলিশের আচরণ হতাশাজনক এবং উদ্বেগের। 45 দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধান না-হলে ভারতীয় কুস্তি সংস্থাকে বরখাস্ত করা হবে ৷