দোহা, 27 নভেম্বর: ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাঁকর ওঁকে অন্য দেশের লিগে না-খেলতে অনুরোধ করেছেন। ক্লাব প্যারিস স্যাঁজা তাঁকে যে কোনও মুল্যে দলে ধরে রাখতে মরিয়া। ক্লাব ফুটবলে দুই মহাতারকা নেইমার এবং লিও মেসির পাশে নিজেকে সহজেই মানিয়ে নিতে অসুবিধা হয় না তাঁর। তিনি কিলিয়ান এমবাপে (France beats Denmark in FIFA World Cup)। শিল্পের দেশ ফ্রান্সে তিনিও একজন শিল্পী । হাতে তুলি দিয়ে নয়, পায়ে বল নাচিয়ে যিনি সবুজ গালিচায় নিত্যনতুন ইতিহাস লেখেন । তাঁর এমনই ক্যারিশমা যে করিম বেঞ্জিমা (Karim Benzema),পল পোগবা (Paul Pogba) মতো মহাতারকা বিশ্বকাপের আগে চোট পেয়ে ছিটকে গেলেও প্রশিক্ষক চিন্তামুক্তই থাকেন। কারণ একটাই, তাঁর কাছে আছেন এমবাপে ।
'উই আর রেড/ উই আর হোয়াইট/ উই আর ড্যানিশ ডিনামাইট...'। একসময় ডেনমার্কের ফুটবল দলকে নিয়ে এমনই গান বাঁধতেন সমর্থকরা। সেই বারুদ আর নেই ড্যানিশ ডিনামাইটে। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে বিরতির আগে নিজেদের পতন রুখলেও পরের অর্ধে ডেনমার্ক পরাজিত এমবাপে নামক তুখর ফুটবল প্রতিভার কাছে। মাত্র 23 বছর বয়স। ইতিমধ্যে তাঁর বাড়ির শোকেসে বিশ্বকাপ জয়ের পদক ঝুলছে। চারবছর আগে ফ্রান্সকে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জয়ী হতে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন সেদিনের উনিশ বছরের কিশোর। চার বছর পর যুবক এমবাপে প্রতিপক্ষের কাছে নিঃশব্দ ঘাতক।
আরও পড়ুন: নেদারল্যান্ডস ইকুয়েডর ম্যাচ ড্র, ছিটকে গেল আয়োজক কাতার, আটকে গেল ইংল্যান্ডও
60 মিনিটে প্রথম গোল ফ্রান্সের। জিরুঁর ব্যাক সেন্টার ধরে অতর্কিতে উঠে এসে গোল করে যান এমবাপে । চকিত গতিতে তাঁর পেছন থেকে উঠে আসার খবর ড্যানিশ ডিফেন্ডারদের কাছে ছিল না। পিছিয়ে পড়ার ধাক্কায় কিছুটা জ্বলে উঠেছিল ডেনমার্ক । ফলশ্রুতিতে 67 মিনিটে আন্ডারসেনের গোল আদতে চমৎকার আক্রমনের ফসল। এইসময় মনে হচ্ছিল দুই দেশের ট্যাকটিক্যাল ফুটবল যুদ্ধ বোধহয় অমিমাংসিতভাবে শেষ হবে। কিন্তু ফুটবল দেবতা এখন নতুন ছড়া লেখা অভ্যাস করছেন- 'যেখানে এমবাপের ভয়, সেখানেই গোল হয়...' গ্রিজমানের সেন্টার থেকে ফের গোল এমবাপের 2-1 । বাকি দশমিনিট ডেনমার্কের সমতায় ফেরার চেষ্টা যথেষ্ট ছিল না। কিন্তু এমবাপে সুযোগ নষ্ট না করলে হ্যাটট্রিক সারতে পারতেন। ফ্রান্স পরের পর্বে যাচ্ছে। এমবাপের নামের পাশে ইতিমধ্যে দুটি ম্যাচে তিন গোল লেখা হয়ে গিয়েছে। কাতারের সর্বোচ্চ গোলদাতার দৌড়ে তিনি বাকিদের পেছনে ফেলে দিতে পারেন কিনা সেটাই দেখার ।