কলকাতা, 19 ডিসেম্বর: বছর ঘুরলেই সুপার কাপ। ফেডারেশন আগেই জানিয়ে দিয়েছিল জানুয়ারিতে সুপার কাপ আয়োজন করবে। সোমবার ফেডারেশনের বৈঠকে গ্রুপ বিন্যাস ঠিক হয়। সেখানে একই গ্রুপ রাখা হয়েছে কলকাতার দুই প্রধানকে। অর্থাৎ গ্রুপ এ'তে রয়েছে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল। সুপার কাপের গ্রুপ পর্যায়েই ফের বড় ম্যাচ হবে। মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ছাড়াও এই গ্রুপে রয়েছে হায়দরাবাদ এফসি ও আই লিগের প্রথম স্থানে থাকা দল।
আগামী 24 ডিসেম্বর পর্যন্ত যে দল শীর্ষে থাকবে তাঁরা এই গ্রুপে যোগ দেবে। মহামেডান স্পোর্টিং যদি প্রথম স্থানে থাকে, সেক্ষেত্রে তাদের দেখা যাবে। সেক্ষেত্রে তিন প্রধানকে দেখার সম্ভাবনা। কিন্তু তারা তো সুপার কাপে খেলবে না-বলে জানিয়েছে। ফলে, তাদের পরবর্তী দ্বিতীয় স্থানে যে থাকবে, সেই দল সুযোগ পাবে। আগামী 9 জানুয়ারি থেকে শুরু সুপার কাপ। ভুবনেশ্বর ও কটক মিলিয়ে হবে গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচ। চারটে গ্রুপ থেকে একটি করে টিম সরাসরি যাবে সেমিফাইনালে। ফাইনাল 28 জানুয়ারি। এদিকে, কলিঙ্গ সুপার কাপে প্রতি দল একসঙ্গে 6 জন করে বিদেশি খেলাতে পারবে। সেক্ষেত্রে অবশ্য 6 বিদেশির একজনকে এশিয়ান কোটার ফুটবলার হতে হবে। সুপার কাপে চ্যাম্পিয়ন দল এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ-2 খেলার জন্য যোগ্যতা অর্জন করবে।
- গ্রুপ বি-কেরালা ব্লাস্টার্স, নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড, জামশেদপুর এফসি, আই লিগ 2
- গ্রুপ সি- পঞ্জাব এফসি, আই লিগ 3
- গ্রুপ ডি- গোয়া এফসি, ওড়িশা এফসি, বেঙ্গালুরু এফসি, আই লিগ 4
সুপার কাপের সূচি প্রকাশিত হতেই আইএফএকে কটাক্ষ মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্তর। বলেছেন, ডুরান্ড কাপ কিংবা আইএসএল বা সুপার কাপ ডার্বি যে কোনও টুর্নামেন্টের মূল আকর্ষণ। যা আয়োজন করার সুযোগ হারাল আইএফএ। এবং আর্থিক লাভ থেকে বঞ্চিত হল। সুপার কাপে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট খেলতে গেলেও অন্তত দশজন ভারতীয় ফুটবলারের সার্ভিস পাবেন না জুয়ান ফেরান্দো। কারণ তাদের ভারতের হয়ে খেলায় ব্যস্ত থাকতে হবে। তা নিয়ে কোনও অভিযোগ বা দোষারোগ করতে রাজি নন দেবাশিস দত্ত। বলেছেন যাদের পাওয়া যাবে তাদের নিয়েই দল সাজাবেন কোচ। ফুটবলাররা গত কয়েকটি ম্যাচে যে হার না-মানা মনোভাব দেখিয়েছে তাতে তারা আশাবাদী।
আরও পড়ুন: