কলকাতা, 9 নভেম্বর: দলের নাছোড় মনোভাবের পিছনে মানসিক দৃঢ়তা বড় ভূমিকা পালন করে। বাড়তি হিসেবে সঙ্গে থাকে দলের সিনিয়রদের নেতৃত্ব। তাই পিছিয়ে থাকা অবস্থা হোক কিংবা লাল কার্ড দেখে একজনের বাইরে চলে যাওয়া, মেরিনার্সরা মানসিকভাবে সবসময় চাঙ্গা ৷ যার চূড়ান্ত নিদর্শন দেখা গিয়েছে গত ম্যাচে মুম্বই সিটি এফসি'র বিরুদ্ধে ৷ বৃহস্পতিবার ঘরের মাঠে নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে নামার আগে কোচ জুয়ান ফেরান্দোর (Juan Ferrando) পাশে বসে সাজঘরের লড়াকু মানসিকতা সামনে নিয়ে আসলেন শুভাশিস বসু (Subhashis Basu)।
পয়েন্ট টেবিলে খাতা না-খুলতে পারা আইল্যান্ডাররা ব্যাকফুটে থেকেই শুরু করবে ধরে নেওয়া যায়। যদিও বিশেষজ্ঞদের এই সরল বিশ্লেষণকে কড়া ট্যাকলে মাঠের বাইরে ফেলছেন সবুজ-মেরুনের স্প্যানিশ কোচ। তাঁর মতে, "এটা ঠিক প্রতিপক্ষ এখনও পয়েন্ট পায়নি। তবে তারা দুর্বল ভাবার কারণ নেই। আপনারা যদি বেঙ্গালুরু এফসি'র বিরুদ্ধে বা শেষ ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ওদের খেলা দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন কতটা মরিয়া লড়াই করেছে ওরা। নর্থ-ইস্ট পয়েন্ট পায়নি সেজন্য রেফারির সিদ্ধান্ত দায়ী। ওদের বিরুদ্ধে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।"
কেরালা ব্লাস্টার্স, ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে জয় পাওয়ার পর মুম্বই সিটি এফসির লড়াকু ড্র করেছে এটিকে মোহনবাগানের (ATK MB splits point with MCFC in previous match)। লাল কার্ড, পিছিয়ে পড়া অবস্থা থেকে সমতায় ফেরা দলের মানসিক দৃঢ়তার সাক্ষ্য বহন করে। যা দেখে কোচের হটসিটে বসে আবেগ চাপতে পারেননি সবুজ-মেরুন হেডস্যার। গোলের পর তাঁর উদযাপন নেটিজেনদের নজর কেড়েছে। জুয়ান ফেরান্দো বলছেন তিনি আবেগপ্রবণ মানুষ। তবে রেফারির সিদ্ধান্তের আতঙ্ক যে এখনও তাঁকে তাড়া করছে, আইল্যান্ডারদের বিরুদ্ধে নামার আগে তা জানাতে ভুললেন না ফেরান্দো (Juan Ferrando is Unhappy with refereeing in ISL) ৷
রেফারিং নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে সবুজ-মেরুন চাণক্য বলেন, "ম্যাচ পরিচালনা করতে গিয়ে রেফারিরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। রেফারি একটা সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন, সহকারি রেফারি আরেকটি সিদ্ধান্ত নির্দেশ করছেন ৷ চতুর্থ রেফারি আরেক কথা বলছেন। পুরোটাই দ্বিধাপূর্ণ। এইজন্য ভারতীয় ফুটবলের রেফারিং নিয়ে হাসাহাসি হয় ৷"
আরও পড়ুন: 'মৃত্যুঞ্জয়ী' এরিকসেনকে স্কোয়াডে রেখে কাতার যাচ্ছে ডেনমার্ক
পয়েন্ট টেবিলে সবার ওপরে যাওয়া তার লক্ষ্য। সেইভাবেই দলকে তৈরি করছেন স্প্যানিশ কোচ। যদিও কোনও পয়েন্টের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেননি তিনি। বরং একটি করে ম্যাচ জিতে মগডালে পৌছনোর কথা জুয়ান ফেরান্দোর মুখে।