কলকাতা, 25 জুলাই: বস্তাপচা মানসিকতা সরিয়ে ফুটবলে নতুন ভাবনা নিয়ে আসতে চাইছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। আগামিকাল, বুধবার কলকাতা লিগের ম্যাচ রয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের। প্রতিপক্ষ কালিঘাট এমএস। সেই ম্যাচের বিরতিতে জেসন কামিংস, অনিরুদ্ধ থাপা, আনোয়ার আলি, আর্মান্দো সাদিকুকে সমর্থকদের সঙ্গে পরিচয় করানো হবে। এইভাবে নতুন ফুটবলারদের পরিচয়ের ছবি বিদেশি লিগে আকছার দেখা যায়। কিন্তু কলকাতায় বিষয়টি নতুন এবং অভিনব।
দলগঠন, অনুশীলন, জার্সি প্রকাশ এবং এমনকী নতুন ফুটবলারদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেও অভিনবত্ব মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের পরিবেশনায়। মঙ্গলবারের অনুশীলনে ফুটবলারদের ফুল ছড়িয়ে বরণ করে নেওয়া হল। এদিন সকালে আলবেনিয়ার সাদিকু কলকাতায় এসেছেন। তবে নতুন মরশুমে মেরিনার্সদের আলোচনার কেন্দ্রে বিশ্বকাপার জেসন কামিংস। কাতার বিশ্বকাপে দারুণ পারফরম্যান্স অস্ট্রেলিয়ার। গ্রুপ পর্ব থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল অস্ট্রেলিয়া। দুরন্ত ফুটবল খেলেছিলেন জেসন কামিংসরা। শেষ পর্যন্ত লিওনেল মেসির আর্জেন্তিনার বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল। মেসির বিরুদ্ধে ফুটবল খেলার অভিজ্ঞতা মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের জার্সি উদ্বোধনের মঞ্চে শোনালেন কামিংস।
মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের পক্ষে সই করার দিন, মেসির সঙ্গে কামিংসের তোলা ছবি ভাইরাল হয়েছিল। কিংবদন্তি মেসির সঙ্গে দেখা হওয়ার মুহূর্ত নিয়ে উচ্ছ্বসিত কামিংস। বলেছেন, "ওটা বিশেষ মুহূর্ত। মেসি বিশেষ ফুটবলার। ওকে দেখে নিজের খেলার আরও উন্নতি করার চেষ্টা করেছি। কথা বলে শেখার চেষ্টা করে গিয়েছি। শুধু মেসি নয়, এমবাপের সঙ্গে দেখা করাও একটা বড় ব্যাপার আমার জন্য। ওদের ফুটবল আমার কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।"
আরও পড়ুন: সবচেয়ে উঁচু বাড়ি থেকে দুই সেনাকর্মীর ঝাঁপ, অভিনব কায়দায় ডুরান্ড ট্রফির উন্মোচন কলকাতায়
তাঁকে ঘিরে যে মোহনবাগান সমর্থকদের উন্মাদনা ঊর্ধ্বমুখী তা শহরে পা-দেওয়ার সময়েই টের পেয়েছিলেন অজি বিশ্বকাপার। তবে ফুটবল নিয়ে এই শহরের উন্মাদনা এবং তাঁকে ঘিরে উচ্ছ্বাস দেখে গত 48 ঘণ্টায় কলকাতাকে আপন করে নিয়েছেন বাগানের বিশ্বকাপার। শুধু ডার্বি নয়, দলের জন্য প্রতি ম্যাচেই যত বেশি সম্ভব গোল করতে চান তিনি। কামিংস বলেছেন, "প্রত্যেক ম্যাচে প্রচুর গোল করার চেষ্টা করব। সেটা ডার্বি হোক বা অন্য ম্যাচ। তবে আমি ডার্বি নিয়ে উত্তেজিত। শহরে আসার আগেই, ডার্বির ব্যাপারে আমি জানি।"
মোহনবাগান সমর্থকদের আবেগকে কুর্নিশ জানান বিশ্বকাপার স্ট্রাইকার। ভোররাতে বিমানবন্দরে তাঁর জন্য সমর্থকদের উপস্থিত থাকতে দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন কামিংস। বিশ্বকাপারের কথায়, "আমি রাত তিনটের সময়, কলকাতায় এসে সমর্থকদের এত ভালোবাসা পেয়েছি, তা বলার মতো নয়। মোহনবাগানের ইতিহাসও আমাকে মুগ্ধ করেছে।"
আরও পড়ুন: কামিংসের উপস্থিতিতে বাগানের নয়া জার্সি উন্মোচন, অনুরাগীর ডিজাইন করা নকশাই বাছল ম্যানেজমেন্ট