ETV Bharat / sports

Jaidip Mukerjea : ‘দেশ সম্মান দেয়নি’, পদ্মশ্রী না পাওয়ার আক্ষেপ অশীতিপর জয়দীপের - Jaidip Mukerjea

বৃহস্পতিবার 80তম জন্মদিন পালন করছেন জয়দীপ মুখোপাধ্যায় ৷ নিজের অ্যাকাডেমিতে ছুটি । গত দু'দিন ধরে দক্ষিণ কলকাতার একটি অভিজাত ক্লাবে রয়েছেন টেনিস কিংবদন্তি । জন্মদিনের অভিনন্দন বার্তার পরেই ‘ডাউন দ্য মেমোরি লেনে’ হাঁটলেন তিনি । আক্ষেপ ঝরল সম্মান না পাওয়া নিয়ে (Tennis Star Jaidip Mukerjea on his Birthday) ৷

Jaidip Mukerjea
আশিতে পা দিয়েও আক্ষেপ জয়দীপের
author img

By

Published : Apr 21, 2022, 10:08 PM IST

কলকাতা, 21 এপ্রিল : 1996 সালের অলিম্পিকস টেনিসে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন লিয়েন্ডার পেজ । সেই দলের কোচ ছিলেন জয়দীপ মুখোপাধ্যায় । “লিয়েন্ডারের অলিম্পিকস পদকের জন্য আমার নাম দ্রোণাচার্যের জন্য বিবেচিত হওয়া উচিত ছিল । কিন্তু হয়নি । অর্জুন পেলেও পদ্মশ্রী পাইনি । অথচ রামনাথন পেয়েছে । আমি ডেভিড কাপে ভারতীয় দলের নন-প্লেয়িং ক্যাপ্টেন থাকার সময়ে মহেশ ভূপতি-লিয়েন্ডার পেজকে জুটি করে ডাবলস খেলিয়েছিলাম । তারপর ওরা বিশ্বের এক নম্বর জুটি হয়েছে । আমাকে আর্ন্তজাতিক সংস্থা সেরার মনোনয়ন দিয়েছে । কিন্তু দেশে সেভাবে পাইনি ।’’ আক্ষেপ যাচ্ছে না সদ্য 80 বছরে পা দেওয়া বঙ্গীয় টেনিসের সাদা-কালো যুগের শেষ কিংবদন্তি জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের (Tennis Star Jaidip Mukerjea on his Birthday) ।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলার খেলাধুলা ফুটবল-হকি-টেনিসের কৃতীদের কৃতিত্বে ছিল রঙিন । আজ যখন অলিম্পিকসে যোগ্যতা অর্জন বিশেষ কৃতিত্বের সঙ্গে সংবর্ধিত হয়, তখন পাঁচ-ছয়ের দশকে বাংলার ক্রীড়াক্ষেত্র অলিম্পিয়ানের অভাবে ভোগেনি । শুনতে আশ্চর্য লাগলেও ক্রিকেটাররাই ছিলেন পিছনের সারিতে । ফুটবলে বাংলার দাপটের দিনেও সোনা ঝরা বিকেল উপহার দিতেন হকি এবং টেনিসের তারকারা । সেই অনেক তারার মাঝে উজ্জ্বল ধ্রুবতারা অবশ্যই জয়দীপ মুখোপাধ্যায় । দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের নাতি, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের নিকট আত্মীয় জয়দীপ মুখোপাধ্যায় ছিলেন বাংলার টেনিসের ‘পোস্টার বয়’ । শুধু টেনিস খেলোয়াড় হিসেবেই নন, ডেভিস কাপের নন প্লেয়িং ক্যাপ্টেন, কোচ এবং সংগঠক হিসেবেও যথেষ্ট সফল জয়দীপ মুখোপাধ্যায় ।

বৃহস্পতিবার তাঁর আশি বছরের জন্মদিনে নিজের অ্যাকাডেমিতে ছুটি । ফলে গত দু'দিন ধরে দক্ষিণ কলকাতার একটি অভিজাত ক্লাবে রয়েছেন টেনিস কিংবদন্তি । জন্মদিনের অভিনন্দন বার্তার পরেই ‘ডাউন দ্য মেমোরি লেনে’ হাঁটলেন তিনি । জয়দীপ বলেন, “দেখো পিছনের দিকে তাকালে মনে হয় সুখ-দুঃখ, পাওয়া-না পাওয়া সবকিছু মিলিয়েই আজকের আমি । কি পেয়েছি, কি পাইনি তার হিসেব না করাই বোধহয় ভাল । দিনের শেষে আমি সুখী, একথা বলতে পারি ৷”

ভারতীয় ফুটবলে ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর যদি প্রদীপ-চুনী-বলরাম হয়ে থাকেন, তাহলে লিয়েন্ডার পূর্ববর্তী যুগে বাংলার টেনিসের মুখ অবশ্যই জয়দীপ এবং প্রেমজিৎলাল । সত্তরের দশকের টেনিস তারকা বলেন, “প্রদীপ খুব ভাল বন্ধু ছিল । একটি অনুষ্ঠানে আমি এবং প্রদীপ দুজনেই ছিলাম । সেখানে প্রদীপ বলেছিল, আর্ন্তজাতিক খেলাধুলায় বাংলার উজ্জ্বল মুখ অবশ্যই জয়দীপ । কারণ আর্ন্তজাতিক ক্রীড়ামহলের দিকপালরা সকলেই ওকে জানে । সেদিন ওর মুখে প্রশংসা শুনে ভাল লেগেছিল ৷”

আরও পড়ুন : ভূপতির প্রতি 'অবিচার' নিয়ে সরব জয়দীপ

ডেভিস কাপে ভারত জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরেই ফাইনালে উঠেছিল । “অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছিলাম । তবে অসহায় আত্মসমর্পণ করিনি । লড়াই করেছিলাম আমি এবং রামনাথন কৃষ্ণণ । উইম্বলডনে টনি রোশ, কেন রেজোয়াল, রড লেভারদের বিরুদ্ধে দাপিয়ে খেলেছি । বিশ্বের ক্রমপর্যায়ে প্রথম ষোলোতে থেকেছি । সেদিক থেকে দেখলে তৃপ্তি লাগে ৷” বলছিলেন ভারতীয় টেনিসের প্রপিতামহ । প্রায় একই সঙ্গে বলে ওঠেন, “প্রেমজিৎ আর আমি ছিলাম জুটি । পরের দিকে আখতার আলি এসেছে । তবে খেলোয়াড়ের চেয়ে কোচ হিসেবে অনেক বড় আখতার ।”

কলকাতা, 21 এপ্রিল : 1996 সালের অলিম্পিকস টেনিসে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন লিয়েন্ডার পেজ । সেই দলের কোচ ছিলেন জয়দীপ মুখোপাধ্যায় । “লিয়েন্ডারের অলিম্পিকস পদকের জন্য আমার নাম দ্রোণাচার্যের জন্য বিবেচিত হওয়া উচিত ছিল । কিন্তু হয়নি । অর্জুন পেলেও পদ্মশ্রী পাইনি । অথচ রামনাথন পেয়েছে । আমি ডেভিড কাপে ভারতীয় দলের নন-প্লেয়িং ক্যাপ্টেন থাকার সময়ে মহেশ ভূপতি-লিয়েন্ডার পেজকে জুটি করে ডাবলস খেলিয়েছিলাম । তারপর ওরা বিশ্বের এক নম্বর জুটি হয়েছে । আমাকে আর্ন্তজাতিক সংস্থা সেরার মনোনয়ন দিয়েছে । কিন্তু দেশে সেভাবে পাইনি ।’’ আক্ষেপ যাচ্ছে না সদ্য 80 বছরে পা দেওয়া বঙ্গীয় টেনিসের সাদা-কালো যুগের শেষ কিংবদন্তি জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের (Tennis Star Jaidip Mukerjea on his Birthday) ।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলার খেলাধুলা ফুটবল-হকি-টেনিসের কৃতীদের কৃতিত্বে ছিল রঙিন । আজ যখন অলিম্পিকসে যোগ্যতা অর্জন বিশেষ কৃতিত্বের সঙ্গে সংবর্ধিত হয়, তখন পাঁচ-ছয়ের দশকে বাংলার ক্রীড়াক্ষেত্র অলিম্পিয়ানের অভাবে ভোগেনি । শুনতে আশ্চর্য লাগলেও ক্রিকেটাররাই ছিলেন পিছনের সারিতে । ফুটবলে বাংলার দাপটের দিনেও সোনা ঝরা বিকেল উপহার দিতেন হকি এবং টেনিসের তারকারা । সেই অনেক তারার মাঝে উজ্জ্বল ধ্রুবতারা অবশ্যই জয়দীপ মুখোপাধ্যায় । দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের নাতি, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের নিকট আত্মীয় জয়দীপ মুখোপাধ্যায় ছিলেন বাংলার টেনিসের ‘পোস্টার বয়’ । শুধু টেনিস খেলোয়াড় হিসেবেই নন, ডেভিস কাপের নন প্লেয়িং ক্যাপ্টেন, কোচ এবং সংগঠক হিসেবেও যথেষ্ট সফল জয়দীপ মুখোপাধ্যায় ।

বৃহস্পতিবার তাঁর আশি বছরের জন্মদিনে নিজের অ্যাকাডেমিতে ছুটি । ফলে গত দু'দিন ধরে দক্ষিণ কলকাতার একটি অভিজাত ক্লাবে রয়েছেন টেনিস কিংবদন্তি । জন্মদিনের অভিনন্দন বার্তার পরেই ‘ডাউন দ্য মেমোরি লেনে’ হাঁটলেন তিনি । জয়দীপ বলেন, “দেখো পিছনের দিকে তাকালে মনে হয় সুখ-দুঃখ, পাওয়া-না পাওয়া সবকিছু মিলিয়েই আজকের আমি । কি পেয়েছি, কি পাইনি তার হিসেব না করাই বোধহয় ভাল । দিনের শেষে আমি সুখী, একথা বলতে পারি ৷”

ভারতীয় ফুটবলে ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর যদি প্রদীপ-চুনী-বলরাম হয়ে থাকেন, তাহলে লিয়েন্ডার পূর্ববর্তী যুগে বাংলার টেনিসের মুখ অবশ্যই জয়দীপ এবং প্রেমজিৎলাল । সত্তরের দশকের টেনিস তারকা বলেন, “প্রদীপ খুব ভাল বন্ধু ছিল । একটি অনুষ্ঠানে আমি এবং প্রদীপ দুজনেই ছিলাম । সেখানে প্রদীপ বলেছিল, আর্ন্তজাতিক খেলাধুলায় বাংলার উজ্জ্বল মুখ অবশ্যই জয়দীপ । কারণ আর্ন্তজাতিক ক্রীড়ামহলের দিকপালরা সকলেই ওকে জানে । সেদিন ওর মুখে প্রশংসা শুনে ভাল লেগেছিল ৷”

আরও পড়ুন : ভূপতির প্রতি 'অবিচার' নিয়ে সরব জয়দীপ

ডেভিস কাপে ভারত জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরেই ফাইনালে উঠেছিল । “অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছিলাম । তবে অসহায় আত্মসমর্পণ করিনি । লড়াই করেছিলাম আমি এবং রামনাথন কৃষ্ণণ । উইম্বলডনে টনি রোশ, কেন রেজোয়াল, রড লেভারদের বিরুদ্ধে দাপিয়ে খেলেছি । বিশ্বের ক্রমপর্যায়ে প্রথম ষোলোতে থেকেছি । সেদিক থেকে দেখলে তৃপ্তি লাগে ৷” বলছিলেন ভারতীয় টেনিসের প্রপিতামহ । প্রায় একই সঙ্গে বলে ওঠেন, “প্রেমজিৎ আর আমি ছিলাম জুটি । পরের দিকে আখতার আলি এসেছে । তবে খেলোয়াড়ের চেয়ে কোচ হিসেবে অনেক বড় আখতার ।”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.