নৈহাটি, 30 নভেম্বর: ডার্বিতে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের ওয়াকওভার। সরকারিভাবে 'ওয়াকওভার' কথাটা ঘোষণা করেননি ম্যাচ কমিশনার সুনন্দ কুমার বসু। ম্যাচটি না-হওয়ার 'সাসপেন্ডেট' কি নিয়ম মানা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করবেন ম্যাচ কমিশনার।
ইস্টবেঙ্গল কোচ বিনো জর্জ জানিয়েছেন, তাঁরা ম্যাচ খেলার জন্য তৈরি ছিলেন। ডার্বি ফুটবলের বড় মঞ্চ, সেই ম্যাচ না-খেলার আক্ষেপ রয়ে গেল। আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত বলছেন, ম্যাচ কমিশনার নিয়মের কথা জানিয়েছেন। ইস্টবেঙ্গল ডার্বি ওয়াকওভার পেল। আইএফএ সচিবের ডার্বি নিয়ে পদক্ষেপের সমালোচনায় মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে 24 নভেম্বরের মধ্যে সব ম্যাচ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তা রাখা হয়নি।
বাগান শিবিরের তরফে বলা হয়েছে, কলকাতা লিগে তারা ডার্বিতে পূর্ণ শক্তিতে নামতে চেয়েছিলেন। সেইজন্য সব ভারতীয় ফুটবলারকে নথিভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু আজ 30 নভেম্বর ম্যাচ দেওয়ায় ফুটবলারদের খেলা সম্ভব নয়। কারণ বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার পুরো দল ভুবনেশ্বর চলে যাচ্ছে। ডার্বি খেলার জন্য এসকর্ট পাঠানো হয়নি বলে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট অভিযোগ করেছে।
আইএফএ সচিব বলছেন, কোথায় গাড়ি পাঠাতে হবে তা মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট জানায়নি। নৈহাটি স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ দর্শক বসতে পারে বারো হাজার। সুপার জায়ান্ট ম্যানেজমেন্টের প্রশ্ন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডার্বি আয়োজন না-করার অর্থ নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রশ্নের সামনে ঠেলে দেওয়া। আইএফএ সচিব জানিয়েছেন, আগে আসার ভিত্তিতে টিকিট দেওয়া হত। যারা টিকিট পেত না তারা বাইরে থাকত। আইএফএ স্টেডিয়াম গেট বন্ধ রেখে ম্যাচ করতে পারে। লিগ সাব কমিটি নিয়মিত মিটিং করে। যে সব ম্যাচ ওয়াকওভার হয়েছে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত দ্রুত নেবে আইএফএ লিগ সাব কমিটি।
আরও পড়ুন: