কলকাতা, 28 নভেম্বর: এএফসি কাপের স্বপ্ন শেষ। এবার লক্ষ্য আইএসএল ট্রফি ধরে রাখা। কোচ জুয়ান ফেরান্দো ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, তাঁরা আইএসএলের জন্য মনসংযোগ করতে চান। ডিসেম্বর মাসের 2 তারিখ ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট মুখোমুখি হবে হায়দরাবাদ এফসির। এই ম্যাচে মাঠে নামার আগে সবুজ-মেরুন শিবিরের প্রধান সমস্যা চোট আঘাত।
মনবীর সিং, দিমিত্রি পেত্রাতোস, আনোয়ার, আশিক কুরুনিয়ানের চোট। তাঁদের মাঠে ফিরতে সময় লাগবে। এই অবস্থায় সোমবার এএফসি কাপের ম্যাচের শেষে হুগো বুমোসকে খোঁড়াতে দেখে অনেকেই প্রমাদ গুনেছিলেন। কিন্তু সবুজ-মেরুন শিবির জানাচ্ছে ফরাসি মিডফিল্ডারের চোট গুরুতর নয়। তিনি খেলার মতো জায়গাতেই রয়েছেন। এদিকে, কলকাতা লিগ ডার্বি নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। 30 নভেম্বর বৃহস্পতিবার আইএফএ নৈহাটি স্টেডিয়ামে কলকাতা লিগের ডার্বি আয়োজন করতে চায়। কিন্তু ওই দিন খেলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট।
কারণ হিসেবে তারা বলেছে, 2 ডিসেম্বর আইএসএলের ম্যাচ রয়েছে। চোট আঘাতের জন্য কলকাতা লিগের আট ফুটবলার সিনিয়র দলে যুক্ত। ফলে মাত্র একদিনের ব্যবধানে দু'টো ম্যাচ খেলা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। পরবর্তী কোনও একদিন তারা ডার্বি খেলতে রাজি রয়েছে। মোহনবাগানের এই অবস্থান জেনে আইএফএ কী পদক্ষেপ নেয় সেটা দেখার। সচিব অনির্বাণ দত্ত আগে বলেছিলেন 30 নভেম্বর ডার্বির দিন চূড়ান্ত। যে দল উপস্থিত থাকবে না বা খেলতে রাজি হবে না সেক্ষেত্রে অপর দলকে ওয়াকওভার দিয়ে দেওয়া হবে।
আইএফএ-র এই অনড় অবস্থানে ক্ষুব্ধ মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। রাজ্য ফুটবল নিয়ামক সংস্থা যদি সিদ্ধান্ত বিবেচনা না-করে তাহলে তারাও কড়া অবস্থানের দিকে এগোতে পারে। এমনকী আইনি পথে যাওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত আরও জানিয়েছেন মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের জন্য অপেক্ষা করে থাকলে লিগ শেষ করা যাবে না। মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট 30 নভেম্বর মাঠে দল না-নামালে অপর দল ওয়াকওভার পাবে।
এদিকে, মোহনবাগান ক্লাব বকেয়া নিয়ে চিঠি দিল। ক্লাব সচিব দেবাশিস দত্ত বলেছেন, বকেয়ার প্রথম কিস্তু আইএফএ দিয়ে দিলেও পরবর্তী সময়ে বাকি টাকা প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও মেলেনি। এই বিষয়ে আইএফএ সচিব জানিয়েছেন অনির্বাণ দত্ত বলেছেন তিনি চিঠি পেয়েছেন। এটা ঠিক প্রথম কিস্তির পরে বকেয়া টাকা দেওয়া যায়নি। লিগ সম্পূর্ণ করলে টাকা হাতে আসবে। তারপর কতটা দেওয়া যাবে সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: