দোহা, 4 ডিসেম্বর: কাতার বিশ্বকাপ (FIFA World Cup 2022) রাজনৈতিক বিদ্যুতের ছড়িতে পরিণত হয়েছে ৷ তাই এটা কোনও আশ্চর্যের বিষয় নয় যে, ফুটবল অনুরাগীদের পোশাকের ধরন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে ৷ যেখানে চিরাচরিত ফুটবল জার্সি ভুলে যেতে হবে ৷ ফ্যাশনের দিক থেকে দোহার রাস্তা বিশৃঙ্খল রানওয়ে শোতে রূপান্তরিত হয়েছে ৷ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ফুটবল অনুরাগীরা ঐতিহ্যবাহী উপসাগরীয় আরব হেডড্রেস এবং থোবসের পরিমার্জিত সংস্করণ পরা শুরু করেছেন (Fans Wild World Cup Fashion Draws Praise and Scorn in Qatar) ৷ যেখান ইংল্যান্ডের সমর্থকরা ক্রুসেডার পোশাক পরেছেন ৷
প্রসঙ্গত, কাতারের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা রামধনু পোশাক এবং সেই রকমের অন্যান্য সামগ্রিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ৷ মূলত তাঁরাই, যারা সমকামকে অপরাধ বলে ঘোষণা করেছে ৷ আর এই পরিস্থিতিতে কাতারের স্থানীয় পোশাককে নিজেদের মতো করে ব্যবহার করতে শুরু করেছেন বিদেশি ফুটবল অনুরাগীরা ৷ যা এর আগে কোনও বিশ্বকাপে দেখা যায়নি ৷ আর এবারের বিশ্বকাপে বিদেশি দর্শকদের সবচেয়ে বেশি যা পরতে দেখা যাচ্ছে, তা হল ঘুতরা ৷ অর্থাৎ, আরব দেশগুলির পুরুষরা মাথায় যে কাপড় বাঁধেন, সেই ঘুতরা পরে স্টেডিয়ামে ম্যাচ দেখতে আসছেন বিভিন্ন দেশের ফুটবল সমর্থকরা ৷
আরও পড়ুন: কেরিয়ারের 1000 তম ম্যাচে রেকর্ডের জোয়ার লিও মেসির
তবে, বিষয়টি নিয়ে মজাই করছেন ভিনদেশি ফুটবল সমর্থকরা ৷ দক্ষিণ আফ্রিকার 60 বছরের গ্যাভিন কোয়েটজি জানিয়েছেন, হ্যালোইন পার্টিতে ছবি তোলার সময় যদি, তিনি এই পোশাক পরেন ৷ তাহলে তা অকল্পনীয় মনে হতে পারে ৷ তিনি জানিয়েছেন, কাতারের এক দরজির কাছে গিয়ে 4টি দক্ষিণ আফ্রিকান পতাকাকে সেলাই করে ঘুতরা বানিয়ে দিতে বলেছেন ৷ পাশাপাশি, কাতারের পুরুষরা যে সাদা আপাদমস্তক ঢাকা পোশাক পরেন, সেটিও বানিয়েছেন জাতীয় পতাকা সেলাই করে ৷ তবে, নিজের দেশে বা অন্যকোনও দেশে গিয়ে তিনি এটা পড়বেন না বলেও জানিয়েছেন গ্যাভিন ৷
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ অ্যান্থেমে ব়্যাপার লিল বেবি’র সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার সিদ্ধান্ত চতুর্বেদির
কিন্ত, যে বিষয়টি তাঁকে সবচেয়ে বেশি অবাক করেছে, তা হল কাতারের স্থানীয়রা তাঁর এই পোশাক দেখে প্রশংসা ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ৷ সেদেশের সব মানুষ তাঁদের ছবি তুলে রাখছে বলেও জানিয়েছেন গ্যাভিন ৷ এমনকি তাঁরা কোন দেশ থেকে এসেছেন ও কেন সবাই একসঙ্গে তাঁদের স্থানীয় পোশাক পড়ছেন, তা জানতে চাইছেন কাতারের বাসিন্দারা ৷