কলকাতা, 11 অগস্ট: দলের অন্দরে ডার্বির সুরটা বেঁধে দিতে চাইছেন কার্লস কুয়াদ্রাত। ডুরান্ড কাপের ডার্বি ঘিরে সমর্থকদের প্রত্যাশার পারদ তুঙ্গে। টানা 8টি বড় ম্যাচে হার ৷ তবু সেই ধাক্কা সরিয়ে সাফল্যের খোঁজে শনিবাসরীয় বিকেলে যুবভারতীতে ভিড় জমাবেন লাল-হলুদ অনুরাগীরা। তাদের আবেগের কথা মাথায় রেখেই কুয়াদ্রাত বলছেন, "ইস্টবেঙ্গল হার না-মানা মানসিকতার জন্য পরিচিত। এবার ফুটবলারদের সেই মানসিকতা মাঠে দেখানোর সময় এসেছে।"
লেফট-ব্য়াক মন্দার রাও দেশাইকে নিয়ে শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে এসেছিলেন স্প্যানিশ কোচ। বাগাড়ম্বরপূর্ণ কোনও কথা নয়। বাস্তব পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে লাল-হলুদ কোচ জানাচ্ছেন, তাঁর দল প্রস্তুতির মধ্যে রয়েছে। অন্তত চার সপ্তাহ দরকার প্রস্তুতির জন্য। কিন্তু আমরা মাত্র দু'সপ্তাহ প্র্যাকটিস শুরু হয়েছে। সব ফুটবলার দলে যোগ দেননি। ফলে ডুরান্ড কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে ডার্বি খেলাটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন কুয়াদ্রাত ৷
কিন্তু লাল-হলুদের হেড স্যর বলছেন, "একজন কোচ এই চাপ নিতে ভালোবাসে। ফুটবলাররাও এই চাপ নিতে পছন্দ করে। ফুটবলারদের শিবিরে যোগ দেওয়ার বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। তবে যা নেই, তা নিয়ে ভেবে লাভ নেই। আমাদের পরিস্থিতি সামলাতে হবে ৷" গত তিন-চার বছরে ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলের টানা হার নিয়েও নিজস্ব ব্যাখ্যাও রয়েছে তাঁর।
আরও পড়ুন: ডুরান্ড কমিটির শর্ত শুনে ডার্বির টিকিট প্রত্যাখ্যান লাল-হলুদ কর্তাদের
কুয়াদ্রাতের কথায়, "পুরোটাই মানসিক ব্যাপার। মোহনবাগান অভিজ্ঞতা সম্পন্ন দল। একাধিক ভালো ফুটবলার রয়েছে। সামনে এএফসি কাপের জন্য তৈরি হচ্ছে। তবে এটাও ঠিক পঞ্জাব এফসি শেষ ম্যাচে দু'টো সুযোগ তৈরি করে ফেলেছিল ৷" সবমিলিয়ে প্রতিপক্ষকে সমীহ করলেও সুযোগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় লাল-হলুদ কোচ। নিজের দলের প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কুয়াদ্রাত বলেন, "অন্তত ছ'জন এমন ফুটবলার দরকার যারা নব্বই মিনিট খেলার মত জায়গায় রয়েছে। আমাদের দল প্রস্তুতির মধ্যে রয়েছে। দলকে গড়ে তুলতে সময় দরকার। সেটাও সমর্থকদের বুঝতে হবে।"
পাশে বসে কোচের কথায় সম্মতি মন্দার রাও দেশাইয়ের। প্রথমবার ডার্বি খেলবেন। গোয়ানিজ বলছেন, "দলে তিনজন রয়েছে যাদের ডার্বি খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। যাদের ডার্বিতে অভিষেক হচ্ছে তাদের কাছে এই ম্যাচ প্রমাণ করার ম্যাচ।"