কলকাতা, 8 জানুয়ারি: তিন গোলে মিশন হরিয়ানা শেষ করার পর এবার বাংলার সামনে দমন-দিউ (Bengal to Face Daman-Diu)। সন্তোষ ট্রফিতে (Santosh Trophy) পরের পর্বে যেতে এই ম্যাচে সাফল্য পাওয়া একান্ত প্রয়োজন। মাত্র একদিনের ব্যবধানে ফের খেলতে হবে নরহরি শ্রেষ্টাদের। ফলে ম্যাচের ঝক্কি সামলে পরের ম্যাচে নামার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বলছেন, তাঁরা দ্বিতীয় ম্যাচের জন্য তৈরি। মাঠ নিয়ে অসন্তোষ থাকলেও ফুটবলাররা মানিয়ে নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য।
প্রথম ম্যাচে হরিয়ানার বিরুদ্ধে তিন গোলে জয়ে ব্যক্তি নৈপুণ্যের চেয়ে দলগত সংহতির ঝলক দেখে খুশি বিশ্বজিৎ স্যর। সন্তোষের বাকি ম্যাচগুলোতেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখতে চাইছেন তিনি। খাতায় কলমে দমন-দিউ পিছিয়ে থাকলেও প্রতিপক্ষকে (Bengal to Face Daman Diu in Santosh Trophy) হালকাভাবে নেওয়ার কোনও ভাবনা বাংলা শিবিরে নেই। কারণ হরিয়ানার মতো দমন-দিউ'ও অজানা প্রতিপক্ষ। প্রথম পনেরো মিনিট অবস্থা বুঝে সেই অনুযায়ী ছক বদলের ভাবনা বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের মাথায়।
হরিয়ানার বিরুদ্ধে বেলা সাড়ে এগারোটায় ম্যাচ হলেও দমন দিউয়ের বিরুদ্ধে খেলা বিকেল সাড়ে তিনটেয়। হরিয়ানার ম্যাচে তোতন দাস, সুরজিৎ হাঁসদা, রবি হাঁসদা গোল পেয়েছেন। বাংলা শিবির বলছে, তারা কোনও ব্যক্তি বিশেষের গোল করার নৈপুণ্য়ের ওপর নির্ভরশীল নয়। হরিয়ানা ম্যাচে সেটাই প্রমাণিত হয়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচে সেটাই আবার করে দেখাতে চায় বাংলা দল। বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য আরও বলছেন, ছেলেরা যে শুধু গোলের সুযোগই তৈরি করছে তা নয় সেটাকে কাজেও লাগাচ্ছে। তাই কোচ হিসেবে তিনি কিছুটা হলেও আশ্বস্ত।
আরও পড়ুন: তিন গোলে জয় দিয়ে সন্তোষ অভিযান শুরু বাংলার
তবে আত্মতৃপ্ত নন তিনি। ফুটবলারদেরও আত্মতৃপ্ত হতে বারণ করেছেন। একই সঙ্গে বাংলা শিবিরের হেডস্যর জানিয়েছেন, দলের সকলেই পেশাদার এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেদের উজাড় করে দিতে তৈরি। প্রথম ম্যাচে তিন গোলে জয় শুধু তিন পয়েন্ট নিয়ে এসে দেয়নি তার সঙ্গে গোল পার্থক্যের সুবিধাও দিয়েছে। বাংলার থিঙ্ক ট্যাঙ্ক মনে করছে পরের পর্বে যেতে গোল পার্থক্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তাই ফের ব্যবধানে জয় চায় তারা। তবে তার জন্য বাড়তি চাপ নিতে বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য ফুটবলারদের বারণ করেছে। কারণ তিনি মনে করেন, তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করতে পারলে গোল পার্থক্যের বাড়তি চিন্তা ভাবতে হবে না।