কলকাতা, 2 অগস্ট: জুয়ান ফেরান্দো নন, ডুরান্ড কাপে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের ডাগ আউটে বসবেন বাস্তব রায় ৷ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে ডুরান্ড কাপ ৷ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে প্রথম দিনেই মাঠে নামছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ৷ নতুন নামের সঙ্গে, এই মরশুমে নতুনভাবে শুরু করতে চাইছে সবুজ-মেরুন ৷ ক্লাবের তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতা লিগ, ডুরান্ড ও এএফসি কাপের ম্যাচের কারণে জুনিয়র ও সিনিয়র দলের কয়েকজন ফুটবলারকে নিয়ে ডুরান্ড খেলবে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ৷
ডুরান্ড কাপে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ আর্মি ৷ তারপর পাঞ্জাব এফসি এবং ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ম্যাচ রয়েছে ৷ এই মুহূর্তে কলকাতা লিগ চলছে ৷ ডুরান্ড কাপ শুরু হচ্ছে আগামিকাল থেকে ৷ কয়েকদিনের মধ্যে এএফসি কাপেও খেলতে হবে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে ৷ তিনটি টুর্নামেন্টের ঘেরাটোপে ফুটবলারদের ফিট রাখতে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট তাদের ফুটবলারদের ম্যানেজ করে খেলাবে ৷ ম্যানেজমেন্ট ডুরান্ড কাপে যুবদল এবং সিনিয়র দলের কয়েকজনকে নিয়ে খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷
যুবদল কলকাতা লিগে পাঁচটি ম্যাচ খেলে ফেলায় অনেক বেশি তৈরি ৷ সিনিয়র দলের ফুটবলাররা অনুশীলন শুরু করলেও, তাঁরা কতটা ম্যাচের জন্য ফিট ? সেই সংশয় থেকেই যাচ্ছে ৷ তাই গত তিনদিন বন্ধ দরজার আড়ালে যুব এবং সিনিয়র দলকে প্র্যাকটিস করিয়ে বোঝাপড়া তৈরির চেষ্টা করেছেন জুয়ান ফেরান্দো ৷ প্রতিটি ম্যাচের আগেই ফুটবলারদের অবস্থা দেখে সেই ম্যাচের দল তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ ফলে প্রতিটি ম্যাচের একাদশে বদলের সম্ভাবনা থাকছে ৷ তবে, সেই সম্ভাবনা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে ৷
আরও পড়ুন: উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী, ডুরান্ড কাপের টিকিট বিলি নিয়ে ঝামেলা
অন্যদিকে, কলকাতা লিগের পরে ডুরান্ড কাপের দায়িত্বেও রয়েছেন বাস্তব রায় ৷ প্রথম ম্যাচ খেলতে নামার আগে তাই সতর্ক বাস্তব রায় ৷ বলছেন গ্রুপ অফ ডেথে রয়েছে তাঁর দল ৷ তাই প্রথম ম্যাচ শুধু নয় ৷ প্রতিটি ম্যাচেই সতর্ক হয়ে খেলতে হবে ৷ তিনি বলেন, “সবুজ-মেরুন যখন জার্সি পড়ে খেলতে নামে, তখন সে জেতার জন্য নামে ৷ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য ঝাঁপায় ৷ আমরা সেটা মাথায় রেখেই নামব ৷ সিনিয়র দলের অনেকেই বেশি দিন প্র্যাকটিস করেছেন ৷ ফলে তাঁরা তৈরি ৷ যুব দল লিগে খেলছে ৷ আমরা তাই মিলিয়ে মিশিয়ে দল নামাব ৷ লিগের মত ডুরান্ড কাপ নিজেদের প্রমাণ করার মঞ্চ ৷”
প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ আর্মি কিছুটা হলেও অচেনা ৷ তারাও যে ডুরান্ড কাপে প্রতিপক্ষকে সহজে ছাড়বে না ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে ৷ বাংলাদেশ আর্মি দলের দু’জন ফুটবলার রয়েছেন, যাঁরা ছাতীয় দলে প্রতিধিত্ব করেন ৷ দশ থেকে বারোজন ফুটবলার রয়েছেন যাঁরা বাংলাদেশ লিগে বিভিন্ন দলে খেলেন ৷ বাংলাদেশ সেনা বিভাগ ফুটবলারদের পেশাদার স্তরে অন্য ক্লাব দলে খেলার অনুমতি দিয়ে রেখেছে ৷ তাই এপাড় বাংলায় এসে বাংলাদেশ সেনা দল সহজে জায়গা ছাড়তে নারাজ ৷ ফলে কঠিন অংক অপেক্ষা করছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের জন্য ৷
আরও পড়ুন: সবচেয়ে উঁচু বাড়ি থেকে দুই সেনাকর্মীর ঝাঁপ, অভিনব কায়দায় ডুরান্ড ট্রফির উন্মোচন কলকাতায়
বিষয়টি আন্দাজ করেই বাস্তব রায় বলছেন, “বাংলাদেশ সেনা দল যথেষ্ট শক্তিশালী ৷ তারা ইন্ডিপেনডেন্স কাপ জিতে এসেছে ৷ তাই হালকাভাবে নেওয়ার জায়গা নেই ৷ বেশকিছু ভালো ফুটবলার রয়েছে বলে শুনেছি ৷ আমাদের যুব দল লিগে অপরাজিত ৷ এই দলের সঙ্গে সিনিয়র দলের কয়েকজন যোগ দেবেন ৷ ফলে ম্যাচটা হাড্ডাহাড্ডি হবে ধরে নিচ্ছি ৷ চ্যালেঞ্জ নিতেও তৈরি ৷”
ডুরান্ড কাপের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন ৷ সেনাবাহিনীর আধিকারিকরাও থাকবেন ৷ ম্যাচের আগে সেনাবাহিনীর জওয়ানরা বিশেষ কিছু কলাকৌশল প্রদর্শন করবেন ৷ এক একথায় জমজমাট ভাবে উদ্বোধন হতে চলেছে 132তম ডুরান্ড কাপের ৷