কলকাতা, 14 জানুয়ারি: বাঙালি গোলরক্ষকের দিন আর নেই। ভারতীয় ফুটবলে অবাঙালি গোলরক্ষকরাই ভরসার হাত জুগিয়ে চলেছেন। অজান্তে কবে সুব্রত পাল, দেবজিৎ মজুমদাররা পিছনের সারিতে চলে গিয়েছেন, তাঁরাও জানেন না। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে শনিবাসরীয় সন্ধ্যায় মুখোমুখি হয়েছিল এটিকে মোহনবাগান এবং মুম্বই সিটি এফসি। 29 মিনিটে ছাংতের গোলে টানা ন'টি ম্যাচে জয়ের নজির গড়ে কলকাতা ছাড়ছে মুম্বই (Mumbai City FC Win)।
আইএসএলের পয়েন্ট টেবিলে 36 পয়েন্ট নিয়ে মগডালে তারা। ব্যবধান বাড়িয়ে মুম্বই সিটি এফসি'র জয়ের ছবি বিধ্বংসী হতে পারত। কিন্তু সেই পথে কাঁটা হয়ে রইলেন সবুজ-মেরুন গোলরক্ষক বিশাল কাইথ। শুরুর দশ মিনিটে দু'টো নিশ্চিত গোল তিনি বাঁচান ছাংতের পা থেকে। গ্রেগ স্টুয়ার্টের পা থেকেও তিনি দলের পতন রোধ করেন। শেষ পর্যন্ত 29 মিনিটে হার মানলেন। গ্রেগ স্টুয়ার্টের বাড়ানো বল আলবার্তো নগুয়েরা ধরে তা ছাংতেকে বাড়িয়ে দেন। বক্সের বাইরে ছাংতের নেওয়া শট এবং গোল। বিরতির আগে এটিকে মোহনবাগান সেভাবে গোলের মুখ খুলতে ব্যর্থ। এই সময় স্টুয়ার্ট, জাহু, বিপিন সিং, ছাংতেরা ফুল ফোটাচ্ছেন।
মনে হয়নি সবুজ-মেরুন ম্যাচে ফিরতে পারে। মাঠে উপস্থিত প্রায় তিরিশ হাজার সবুজ-মেরুন দর্শক প্রথমার্ধে হাততালি দিয়েছেন বিশাল কাইথের দুরন্ত গোলরক্ষার প্রশংসায়। বিরতির পরে ছবি বদল! ব্যাকফুটে থাকা এটিকে মোহনবাগান তখন ম্যাচের নিয়ন্ত্রক। হুগো বুমোস, দ্রিমিত্রি পেত্রাতোস, লিস্টন কোলাসোরা মুম্বইকে তাদের পেনাল্টি বক্সে ঢুকিয়ে দিয়েছিলোন। তবুও গোলের মুখ খুলতে পারেনি। কারণ পূর্বা লাচেনপার দুরন্ত গোলরক্ষক। অবিশ্বাস্য গোলরক্ষায় তিনি দলকে নিয়ে এসে দিলেন টানা ন'টি ম্যাচে জয়ের কৃতিত্ব।
আরও পড়ুন: ডার্বির প্রথম গোলকে মনে রেখে শীতকে চিঠি মেহতাবের
জুয়ান ফেরান্দো সবুজ-মেরুনের ডাগ-আউটে বসার পরে হারেননি। শনিবার সেই নজিরও হাতছাড়া। ভারতীয় ফুটবল বিশেষ করে আইএসএলের ভরকেন্দ্র এখন মুম্বই এবং হায়দরাবাদ। আইএসএলের পয়েন্ট টেবিলে প্রথম দুই স্থানাধিকারী দল। বিশেষ করে মুম্বই এখন প্রতিপক্ষের ওপর স্টিম রোলার চালাচ্ছে। ন'টি জয়ের সঙ্গে তারা চলতি আইএসএলে অপরাজিত। 41 টি গোলে মুম্বই আক্রমণভাগ নিরঙ্কুশ প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করল। যার সামনে বাকিদের 'বামন' মনে হচ্ছে।