ETV Bharat / sports

আমরা দর কষাকষি করতে আসিনি : হরিমোহন বাঙ্গুর

মঙ্গলবার রাতে প্রথমবার ক্লাব এবং বিনিয়োগ সংস্থার মধ্যে পাকিয়ে ওঠা জট নিয়ে মুখ খুললেন হরিমোহন বাঙ্গুর । এসসি ইস্টবেঙ্গলের চেয়ারম্যান বলছেন, "আমরা কাউকে বিরক্ত করতে আসিনি । বরং ক্লাবকে জিজ্ঞাসা করা হোক তারা কি চায় । ক্লাব কর্তারা আমাদের সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন কি না সেটা পরিষ্কার করে জানিয়ে দিক ।"

এসসি ইস্টবেঙ্গল
এসসি ইস্টবেঙ্গল
author img

By

Published : Mar 24, 2021, 9:31 AM IST

কলকাতা, 24 মার্চ : বাঙ্গুর গোষ্ঠীর বিনিয়োগে খুলেছিল আইএসএলের দরজা । তড়িঘড়ি দল গঠন করে খেলতে নেমে সাফল্য আসেনি । নতুন মরসুমে শক্তিশালী দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হলেও তাতে জোরালো হাওয়া লাগছে না ক্লাবের সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষর না হওয়াতে।

আইএসএল শেষ হয়েছে । কিন্তু চুক্তি বিতর্ক ক্রমেই বড় হয়ে চলেছে । ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সাবেক কর্তারা নানান যুক্তি জাল বিছিয়ে চূড়ান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করা নিয়ে ফন্দি ফিকির করে চলেছেন । ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার সোমবার প্রকাশ্যে চুক্তি জট নিয়ে মুখ খুলেছিলেন । সেখানে মউ চুক্তি এবং চূড়ান্ত চুক্তির খসড়ার মধ্যেকার পার্থক্য নিয়ে সরব হয়েছেন । পুরো বিষয়টি লাল হলুদ জনতার দরবারে নিয়ে গিয়ে রায় নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। যদিও ইস্টবেঙ্গলের ক্লাব প্রেসিডেন্ট প্রণব দাশগুপ্ত সমস্যা চলতি সপ্তাহে আলোচনার মধ্যে দিয়ে মিটিয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের আশ্বাস দিয়েছেন । কিন্তু বিনিয়োগ সংস্থার তরফে এই ব্যাপারে পদাধিকারীরা মুখ খুলছিলেন না । মঙ্গলবার রাতে প্রথমবার ক্লাব এবং বিনিয়োগ সংস্থার মধ্যে পাকিয়ে ওঠা জট নিয়ে মুখ খুললেন হরিমোহন বাঙ্গুর । এসসি ইস্টবেঙ্গলের চেয়ারম্যান বলছেন, "আমরা কাউকে বিরক্ত করতে আসিনি । বরং ক্লাবকে জিজ্ঞাসা করা হোক তারা কি চায় । ক্লাব কর্তারা আমাদের সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন কি না সেটা পরিষ্কার করে জানিয়ে দিক । উত্তরটা হ্যাঁ কিংবা না যাই হোক না কেন, দ্রুত জানানো হোক । আমরা জোর করে গাটছড়া বাঁধতে আসিনি ।"


বলা হচ্ছে মউ চুক্তিপত্রের সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তিপত্রের বিস্তর তফাৎ । ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা সেটাই জোর গলায় দাবি করছেন । বলছেন, তাঁরা ক্লাবকে বিক্রি করার অধিকারী নন । ব্যবহার করার স্বত্ত্ব তুলে দিতে পারেন মাত্র এবং ইতিমধ্যে আশি শতাংশ অংশীদারিত্ব ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে তাঁরা সম্মত । এমনকি বাঙ্গুরদের প্রশংসা করে দুপক্ষের সম্পর্কে তৃতীয় কাঁটার কথা বলেছেন লাল হলুদ শীর্ষকর্তা ।


"মউ চুক্তিপত্র এবং চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে কোনও তফাৎ নেই । মউ চুক্তির সময় সবকিছু পড়েই তো ক্লাব কর্তারা স্বাক্ষর করেছিলেন । তাহলে এখন সমস্যা, আপত্তি কোথায় । কেন আপত্তি তোলা হচ্ছে । যদি দরকার পরে তাহলে চূড়ান্ত চুক্তিপত্র আমরাও প্রকাশ করতে রাজি আছি," দৃঢ় স্বরে জানিয়েছেন হরিমোহন বাঙ্গুর ।
ক্লাবের ভবিষ্যৎ নিয়ে সমর্থকরা উৎকণ্ঠায় । তাঁরা ক্লাব কর্তাদের কাঠগড়ায় তুলছেন । সোশাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় বইছে । হরিমোহন বাঙ্গুর বিরক্তির সুরে বলছেন, "আমার হাতে কিছু নেই । এখন পুরো বিষয়টি ক্লাবের ওপর নির্ভর করবে । ক্লাবের হাতে বিকল্প পথ থাকলে আমাদের না বলে দিন । ক্লাব যা বলবে সেটাকেই স্বাগত জানাতে আমরা আসিনি । পরিষ্কার বলছি, আমরা এখানে দর কষাকষি করতে আসিনি ।"

আরও পড়ুন : সমাধানের আশ্বাসের মধ্যেও ইস্টবেঙ্গল-বিনিয়োগকারী সম্পর্কে কাঁটা


ইস্টবেঙ্গল ক্লাব প্রেসিডেন্ট চিকিৎসক প্রণব দাশগুপ্ত বলছেন, তাঁর সঙ্গে আলোচনা সামনের কয়েকদিনের মধ্যেই হবে । তিনি আশাবাদী আলোচনার টেবিলে যাবতীয় সমস্যা মিটবে । দীর্ঘায়িত চুক্তি সম্পাদিত হবে । হরিমোহনবাবু অবস্থান স্পষ্ট করে বলেন, "আমি আরও কয়েকদিন কলকাতায় আছি । দুই চার দিনের মধ্যে কথা হবে । ক্লাব প্রতিনিধিদের বক্তব্য শুনব । তারপর আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব ।"

কলকাতা, 24 মার্চ : বাঙ্গুর গোষ্ঠীর বিনিয়োগে খুলেছিল আইএসএলের দরজা । তড়িঘড়ি দল গঠন করে খেলতে নেমে সাফল্য আসেনি । নতুন মরসুমে শক্তিশালী দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হলেও তাতে জোরালো হাওয়া লাগছে না ক্লাবের সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষর না হওয়াতে।

আইএসএল শেষ হয়েছে । কিন্তু চুক্তি বিতর্ক ক্রমেই বড় হয়ে চলেছে । ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সাবেক কর্তারা নানান যুক্তি জাল বিছিয়ে চূড়ান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করা নিয়ে ফন্দি ফিকির করে চলেছেন । ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার সোমবার প্রকাশ্যে চুক্তি জট নিয়ে মুখ খুলেছিলেন । সেখানে মউ চুক্তি এবং চূড়ান্ত চুক্তির খসড়ার মধ্যেকার পার্থক্য নিয়ে সরব হয়েছেন । পুরো বিষয়টি লাল হলুদ জনতার দরবারে নিয়ে গিয়ে রায় নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। যদিও ইস্টবেঙ্গলের ক্লাব প্রেসিডেন্ট প্রণব দাশগুপ্ত সমস্যা চলতি সপ্তাহে আলোচনার মধ্যে দিয়ে মিটিয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের আশ্বাস দিয়েছেন । কিন্তু বিনিয়োগ সংস্থার তরফে এই ব্যাপারে পদাধিকারীরা মুখ খুলছিলেন না । মঙ্গলবার রাতে প্রথমবার ক্লাব এবং বিনিয়োগ সংস্থার মধ্যে পাকিয়ে ওঠা জট নিয়ে মুখ খুললেন হরিমোহন বাঙ্গুর । এসসি ইস্টবেঙ্গলের চেয়ারম্যান বলছেন, "আমরা কাউকে বিরক্ত করতে আসিনি । বরং ক্লাবকে জিজ্ঞাসা করা হোক তারা কি চায় । ক্লাব কর্তারা আমাদের সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন কি না সেটা পরিষ্কার করে জানিয়ে দিক । উত্তরটা হ্যাঁ কিংবা না যাই হোক না কেন, দ্রুত জানানো হোক । আমরা জোর করে গাটছড়া বাঁধতে আসিনি ।"


বলা হচ্ছে মউ চুক্তিপত্রের সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তিপত্রের বিস্তর তফাৎ । ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা সেটাই জোর গলায় দাবি করছেন । বলছেন, তাঁরা ক্লাবকে বিক্রি করার অধিকারী নন । ব্যবহার করার স্বত্ত্ব তুলে দিতে পারেন মাত্র এবং ইতিমধ্যে আশি শতাংশ অংশীদারিত্ব ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে তাঁরা সম্মত । এমনকি বাঙ্গুরদের প্রশংসা করে দুপক্ষের সম্পর্কে তৃতীয় কাঁটার কথা বলেছেন লাল হলুদ শীর্ষকর্তা ।


"মউ চুক্তিপত্র এবং চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে কোনও তফাৎ নেই । মউ চুক্তির সময় সবকিছু পড়েই তো ক্লাব কর্তারা স্বাক্ষর করেছিলেন । তাহলে এখন সমস্যা, আপত্তি কোথায় । কেন আপত্তি তোলা হচ্ছে । যদি দরকার পরে তাহলে চূড়ান্ত চুক্তিপত্র আমরাও প্রকাশ করতে রাজি আছি," দৃঢ় স্বরে জানিয়েছেন হরিমোহন বাঙ্গুর ।
ক্লাবের ভবিষ্যৎ নিয়ে সমর্থকরা উৎকণ্ঠায় । তাঁরা ক্লাব কর্তাদের কাঠগড়ায় তুলছেন । সোশাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় বইছে । হরিমোহন বাঙ্গুর বিরক্তির সুরে বলছেন, "আমার হাতে কিছু নেই । এখন পুরো বিষয়টি ক্লাবের ওপর নির্ভর করবে । ক্লাবের হাতে বিকল্প পথ থাকলে আমাদের না বলে দিন । ক্লাব যা বলবে সেটাকেই স্বাগত জানাতে আমরা আসিনি । পরিষ্কার বলছি, আমরা এখানে দর কষাকষি করতে আসিনি ।"

আরও পড়ুন : সমাধানের আশ্বাসের মধ্যেও ইস্টবেঙ্গল-বিনিয়োগকারী সম্পর্কে কাঁটা


ইস্টবেঙ্গল ক্লাব প্রেসিডেন্ট চিকিৎসক প্রণব দাশগুপ্ত বলছেন, তাঁর সঙ্গে আলোচনা সামনের কয়েকদিনের মধ্যেই হবে । তিনি আশাবাদী আলোচনার টেবিলে যাবতীয় সমস্যা মিটবে । দীর্ঘায়িত চুক্তি সম্পাদিত হবে । হরিমোহনবাবু অবস্থান স্পষ্ট করে বলেন, "আমি আরও কয়েকদিন কলকাতায় আছি । দুই চার দিনের মধ্যে কথা হবে । ক্লাব প্রতিনিধিদের বক্তব্য শুনব । তারপর আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.